6 |
তারপর আমি আমার দাসীর দেহটাকে টুকরো টুকরো করলাম এবং ইস্রায়েল পরিবারগোষ্ঠীর প্রত্যেককে একটা করে টুকরো পাঠিয়ে দিলাম| যে সমস্ত প্রদেশ আমরা পেয়েছিলাম সেই সব জায়গাতেই আমার দাসীর 12 টি দেহ খণ্ড পাঠিয়ে দিয়েছিলাম| পাঠিয়েছিলাম এই জন্যই, যে দেখাতে চেয়েছিলাম বিন্যামীনদের লোকরা ইস্রায়েলে এরকম কদর্য় কাজ করেছে|
|
10 |
আমরা ইস্রায়েলের সমস্ত পরিবারগোষ্ঠী থেকে প্রতি 100 জনের মধ্যে 10 জন করে লোক বেছে নেব| এইভাবে প্রতি 1,000 জনে 100 জন আর 10,000 জনে 1,000 জন লোক বেছে নেব| এই বাছাই করা লোকরা সৈন্যদের যা যা দরকার সব পাবে| তারপরে তারা বিন্যামীন এলাকার গিবিয়া শহরে পৌঁছাবে| সেখানে যারা ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে জঘন্য কাজ করেছিল ওরা তাদের শাস্তি দেবে|”
|
22 |
ইস্রায়েলবাসীরা প্রভুর কাছে গেল| সন্ধ্যা পর্য়ন্ত তারা ক্রন্দন করল| প্রভুকে তারা জিজ্ঞাসা করল, “আমরা কি আবার বিন্যামীনদের সঙ্গে যুদ্ধ করব? ওরা তো আমাদের আত্মীযস্বজন|”প্রভু উত্তর দিলেন, “যাও, তাদের সঙ্গে যুদ্ধ কর|” ইস্রায়েলের লোকরা এ ওকে উত্সাহ দিতে লাগল| তারপর প্রথম দিনের মতো এবারও তারা যুদ্ধ করতে বেরিয়ে পড়ল|
|
31 |
বিন্যামীন সৈন্যবাহিনী গিবিয়া থেকে বেরিয়ে এল ইস্রায়েলীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করতে| ইস্রায়েলবাহিনী তাদের বাধা না দিয়ে সুয়োগ দিতে থাকল যেন তারা ওদের পিছু পিছু তাড়া করে| এই ভাবে তারা কৌশল করে বিন্যামীনদের শহর থেকে অনেক খানি দূরে বের করে আনল|বিন্যামীন সৈন্যরা আগের মত এবারও কিছু ইস্রায়েল সৈন্য হত্যা করতে শুরু করল| তারা প্রায় 30 জন ইস্রায়েলীয়কে হত্যা করল| কয়েকজনকে হত্যা করল মাঠে আর কয়েকজনকে হত্যা করল রাস্তায়| একটা রাস্তা গেছে বৈথেলের দিকে| আর একটা গিবিয়ার দিকে|
|
39 |
বিন্যামীন সৈন্যরা কমবেশী 30 জন ইস্রায়েল সেনা হত্যা করেছিল| এতেই তারা বলতে লাগল, “আমরা আগের বারের মতো এবারও জিতছি|” কিন্তু তখনই শহর থেকে ধোঁযার মেঘ উঠতে লাগলো| বিন্যামীনের লোকরা সেদিকে ঘাড় ফিরিযে দেখলো সমস্ত শহরে আগুন লেগেছে| এবার ইস্রায়েলীয়রা আর পেছন ফিরল না, তারা ঘুরে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করতে লাগল| বিন্যামীনের লোকরা ভয় পেয়ে গেল| এবার তারা বুঝতে পারলো, কি তাদের অবস্থা|
|