16 |
আমি শুনেছি তুমি য়ে কোন জিনিস ব্যাখ্যা করতে পারো এবং য়ে কোন সমস্যার সমাধান করতে পারো| তুমি যদি দেওয়ালের এই লেখা পড়ে তার অর্থ আমার কাছে ব্যাখ্যা করতে পারো তাহলে আমি তোমাকে বেগুনী রঙের বস্ত্রাদি প্রদান করব ও তোমার গলায় একটি সোনার হার পরিযে দেব| এরপর তুমিই হবে আমার রাজ্যের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ শাসক|”
|
19 |
অনেক দেশের এবং অনেক ভাষার লোকরা নবূখদ্নিত্সরকে ভয় পেত| কেন? কারণ পরাত্পর তাঁকে এক গুরুত্বপূর্ণ রাজা বানিয়েছিলেন| নবূখদ্নিত্সর কাউকে মারতে চাইলে মেরে ফেলতেন আর বাঁচিয়ে রাখতে চাইলে বাঁচিয়ে রাখতেন| তিনি যাদের গুরুত্বপূর্ণ করতে চাইতেন তাদের করতেন এবং তিনি যাদের গুরুত্বহীন করতে চাইতেন তাদের গুরুত্বহীন করতেন|
|
21 |
নবূখদ্নিত্সর লোকদের ছেড়ে চলে য়েতে বাধ্য হলেন| তাঁর মানসিকতাকে একটি পশুর মনের মত করা হয়েছিল| তিনি বন্য গাধাদের সাথে বাস করতে লাগলেন এবং গরুর মতো ঘাস খেতে লাগলেন| তাঁর শরীর শিশিরে ভিজে গেল| এসব তত দিন পর্য়ন্ত ঘটল যতদিন না তিনি বুঝলেন য়ে পরাত্পর সমস্ত মানুষের রাজত্বের ওপর কর্তৃত্ব করেন এবং যাকে খুশী রাজ্য দেন|
|
23 |
তার বদলে আপনি স্বর্গের ঈশ্বরের বিরুদ্ধাচরণ করেছেন| আপনি প্রভুর মন্দির থেকে আনা পাত্রে আপনার রাজকর্মচারী, আপনার পত্নী ও উপপত্নীদের দ্রাক্ষারস পান করার আদেশ দিয়েছেন| আপনি সোনা, রূপা, পিতল, লোহা, কাঠ ও পাথরের তৈরী সেই সব দেবতাদের প্রশংসা করেছেন| তারা কিছু দেখতে পায় না, শুনতে পায় না বা বুঝতে পারে না| কিন্তু আপনি সেই ঈশ্বরকে সম্মান দেন নি যাঁর আপনার জীবন ও কর্মের ওপর নিয়ন্ত্রণ রযেছে|
|