পবিত্র বাইবেল

গডস গ্রেইস গিফট
ইসাইয়া

ইসাইয়া অধ্যায় 7

1 যিহূদা-রাজ উষিয়ের পৌত্র যোথমের পুত্র আহসের সময়ে অরাম-রাজ রৎসীন ও ইস্রায়েল-রাজ, রমলিয়ের পুত্র পেকহ, যিরূশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে গেলেন, কিন্তু যুদ্ধে তাহা জয় করিতে পারিলেন না। 2 তখন দায়ূদের কুলকে জ্ঞাত করা গেল যে, অরাম ইফ্রয়িমের সহায় হইয়াছে। তাহাতে তাঁহার হৃদয় ও তাঁহার প্রজাদের হৃদয় আলোড়িত হইল, যেমন বনের বৃক্ষ সকল বায়ুর দ্বারা আলোড়িত হয়। 3 তখন সদাপ্রভু যিশাইয়কে কহিলেন, তুমি ও তোমার পুত্র শার-যাশূব উভয়ে আহসের সহিত সাক্ষাৎ করণার্থে উপরিস্থ পুষ্করিণীর প্রণালীর মুখের নিকটে রজকদের ক্ষেত্রস্থ রাজপথে যাও, এবং তাহাকে বল, সাবধান, সুস্থির হও; 4 এই দুই ধূমময় কাষ্ঠের পুচ্ছ হইতে, রৎসীন ও অরামের, এবং রমলিয়ের পুত্রের, ক্রোধানল হইতে ভীত হইও না, তোমার হৃদয়কে দ্রব হইতে দিও না। 5 অরাম, ইফ্রয়িম ও রমলিয়ের পুত্র তোমার বিরুদ্ধে এই হিংসার মন্ত্রণা করিয়াছে, বলিয়াছে, 6 আইস, আমরা যিহূদার বিরুদ্ধে যাত্রা করি, তাহাকে ত্রাসযুক্ত করি, ও আপনাদের জন্য তথায় বিনাশ সাধন করিয়া তাহার মধ্যে এক জনকে, টাবেলের পুত্রকে, রাজা করি। 7 এই জন্য প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহিতেছেন, তাহা স্থির থাকিবে না, এবং সিদ্ধও হইবে না। 8 কেননা অরামের মস্তক দম্মেশক ও দম্মেশকের মস্তক রৎসীন। আর পঁয়ষট্টি বৎসর গত হইলে ইফ্রয়িম বিনষ্ট হইবে, আর জাতি থাকিবে না। 9 আর ইফ্রয়িমের মস্তক শমরিয়া, ও শমরিয়ার মস্তক রমলিয়ের পুত্র। স্থিরবিশ্বাসী না হইলে তোমরা কোন ক্রমে স্থির থাকিতে পারিবে না। 10 সদাপ্রভু আহসকে আবার কহিলেন, 11 তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে কোন চিহ্ন যাচ্ঞা কর, অধোলোকে কি ঊর্দ্ধলোকে যাচ্ঞা কর। 12 কিন্তু আহস কহিলেন, আমি যাচ্ঞা করিব না, সদাপ্রভুর পরীক্ষাও করিব না। 13 তিনি কহিলেন, হে দায়ূদের কুল, তোমরা একবার শুন, মনুষ্যকে ক্লান্ত করা কি তোমাদের দৃষ্টিতে ক্ষুদ্র বিষয় যে, আমার ঈশ্বরকেও ক্লান্ত করিবে? 14 অতএব প্রভু আপনি তোমাদিগকে এক চিহ্ন দিবেন; দেখ, এক কন্যা গর্ভবতী হইয়া পুত্র প্রসব করিবে, ও তাঁহার নাম ইম্মানূয়েল *আমাদের সহিত ঈশ্বর রাখিবে। 15 যাহা মন্দ তাহা অগ্রাহ্য করিবার, এবং যাহা ভাল তাহা মনোনীত করিবার জ্ঞান পাইবার সময়ে বালকটী দধি ও মধু খাইবে। 16 বাস্তবিক যাহা মন্দ তাহা অগ্রাহ্য করিবার ও যাহা ভাল তাহা মনোনীত করিবার জ্ঞান বালকটীর না হইতে, যে দেশের দুই রাজাকে তুমি ঘৃণা করিতেছ, সে দেশ পরিত্যক্ত হইবে। 17 যিহূদা হইতে ইফ্রয়িমের পৃথক্‌ হইবার দিনাবধি যাদৃশ সময় কখনও হয় নাই, সদাপ্রভু তোমার প্রতি, তোমার প্রজাদের প্রতি ও তোমার পিতৃকুলের প্রতি তাদৃশ সময় উপস্থিত করিবেন, অশূরের রাজাকে আনিবেন। 18 আর সেই দিন সদাপ্রভু মিসরের নদী সকলের প্রান্তস্থ মক্ষিকার প্রতি ও অশূর দেশীয় মৌমাছির প্রতি শিশ্‌ দিবেন। 19 তাহাতে তাহারা সকলে আসিয়া উৎসন্ন উপত্যকাসমূহে, শৈলের ছিদ্র সকলে, কন্টকবনে ও মাঠে মাঠে বসিবে। 20 সেই দিন প্রভু *ফরাৎ নদীর পারস্থ ভাড়াটিয়া ক্ষুর দ্বারা, অশূর-রাজের দ্বারা, মস্তক ও পদের লোম ক্ষৌরি করিয়া দিবেন, এবং তদ্দ্বারা দাড়িও ফেলিবেন। 21 সেই দিন যদি কেহ একটী যুবতী গাভী ও দুইটী মেষ পোষে, 22 তবে তাহারা যে দুগ্ধ দিবে, সেই দুগ্ধের আধিক্যে সে দধি খাইবে; বস্তুতঃ দেশের মধ্যে অবশিষ্ট সমস্ত লোক দধি ও মধু খাইবে। 23 আর সেই দিন, যে যে স্থানে সহস্র রৌপ্য-মুদ্রা মূল্যের সহস্র দ্রাক্ষালতা আছে, সেই সকল স্থান শ্যাকুল ও কন্টকময় হইবে; 24 লোকে তীর ধনুক লইয়া সে স্থানে যাইবে, কেননা সমস্ত দেশ শ্যাকুল ও কন্টকের জঙ্গল হইবে; 25 এবং যে সকল পার্ব্বত্য-ভূমি কোদালি দ্বারা খনন করা যায়, সেই সকল স্থানে শ্যাকুলের ও কাঁটার ভয়ে তুমি গমন করিবে না; তাহা বলদের চরাণিস্থান ও মেষের পদতলে দলিত হইবার স্থান হইবে।
1 যিহূদা-রাজ উষিয়ের পৌত্র যোথমের পুত্র আহসের সময়ে অরাম-রাজ রৎসীন ও ইস্রায়েল-রাজ, রমলিয়ের পুত্র পেকহ, যিরূশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে গেলেন, কিন্তু যুদ্ধে তাহা জয় করিতে পারিলেন না। .::. 2 তখন দায়ূদের কুলকে জ্ঞাত করা গেল যে, অরাম ইফ্রয়িমের সহায় হইয়াছে। তাহাতে তাঁহার হৃদয় ও তাঁহার প্রজাদের হৃদয় আলোড়িত হইল, যেমন বনের বৃক্ষ সকল বায়ুর দ্বারা আলোড়িত হয়। .::. 3 তখন সদাপ্রভু যিশাইয়কে কহিলেন, তুমি ও তোমার পুত্র শার-যাশূব উভয়ে আহসের সহিত সাক্ষাৎ করণার্থে উপরিস্থ পুষ্করিণীর প্রণালীর মুখের নিকটে রজকদের ক্ষেত্রস্থ রাজপথে যাও, এবং তাহাকে বল, সাবধান, সুস্থির হও; .::. 4 এই দুই ধূমময় কাষ্ঠের পুচ্ছ হইতে, রৎসীন ও অরামের, এবং রমলিয়ের পুত্রের, ক্রোধানল হইতে ভীত হইও না, তোমার হৃদয়কে দ্রব হইতে দিও না। .::. 5 অরাম, ইফ্রয়িম ও রমলিয়ের পুত্র তোমার বিরুদ্ধে এই হিংসার মন্ত্রণা করিয়াছে, বলিয়াছে, .::. 6 আইস, আমরা যিহূদার বিরুদ্ধে যাত্রা করি, তাহাকে ত্রাসযুক্ত করি, ও আপনাদের জন্য তথায় বিনাশ সাধন করিয়া তাহার মধ্যে এক জনকে, টাবেলের পুত্রকে, রাজা করি। .::. 7 এই জন্য প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহিতেছেন, তাহা স্থির থাকিবে না, এবং সিদ্ধও হইবে না। .::. 8 কেননা অরামের মস্তক দম্মেশক ও দম্মেশকের মস্তক রৎসীন। আর পঁয়ষট্টি বৎসর গত হইলে ইফ্রয়িম বিনষ্ট হইবে, আর জাতি থাকিবে না। .::. 9 আর ইফ্রয়িমের মস্তক শমরিয়া, ও শমরিয়ার মস্তক রমলিয়ের পুত্র। স্থিরবিশ্বাসী না হইলে তোমরা কোন ক্রমে স্থির থাকিতে পারিবে না। .::. 10 সদাপ্রভু আহসকে আবার কহিলেন, .::. 11 তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে কোন চিহ্ন যাচ্ঞা কর, অধোলোকে কি ঊর্দ্ধলোকে যাচ্ঞা কর। .::. 12 কিন্তু আহস কহিলেন, আমি যাচ্ঞা করিব না, সদাপ্রভুর পরীক্ষাও করিব না। .::. 13 তিনি কহিলেন, হে দায়ূদের কুল, তোমরা একবার শুন, মনুষ্যকে ক্লান্ত করা কি তোমাদের দৃষ্টিতে ক্ষুদ্র বিষয় যে, আমার ঈশ্বরকেও ক্লান্ত করিবে? .::. 14 অতএব প্রভু আপনি তোমাদিগকে এক চিহ্ন দিবেন; দেখ, এক কন্যা গর্ভবতী হইয়া পুত্র প্রসব করিবে, ও তাঁহার নাম ইম্মানূয়েল *আমাদের সহিত ঈশ্বর রাখিবে। .::. 15 যাহা মন্দ তাহা অগ্রাহ্য করিবার, এবং যাহা ভাল তাহা মনোনীত করিবার জ্ঞান পাইবার সময়ে বালকটী দধি ও মধু খাইবে। .::. 16 বাস্তবিক যাহা মন্দ তাহা অগ্রাহ্য করিবার ও যাহা ভাল তাহা মনোনীত করিবার জ্ঞান বালকটীর না হইতে, যে দেশের দুই রাজাকে তুমি ঘৃণা করিতেছ, সে দেশ পরিত্যক্ত হইবে। .::. 17 যিহূদা হইতে ইফ্রয়িমের পৃথক্‌ হইবার দিনাবধি যাদৃশ সময় কখনও হয় নাই, সদাপ্রভু তোমার প্রতি, তোমার প্রজাদের প্রতি ও তোমার পিতৃকুলের প্রতি তাদৃশ সময় উপস্থিত করিবেন, অশূরের রাজাকে আনিবেন। .::. 18 আর সেই দিন সদাপ্রভু মিসরের নদী সকলের প্রান্তস্থ মক্ষিকার প্রতি ও অশূর দেশীয় মৌমাছির প্রতি শিশ্‌ দিবেন। .::. 19 তাহাতে তাহারা সকলে আসিয়া উৎসন্ন উপত্যকাসমূহে, শৈলের ছিদ্র সকলে, কন্টকবনে ও মাঠে মাঠে বসিবে। .::. 20 সেই দিন প্রভু *ফরাৎ নদীর পারস্থ ভাড়াটিয়া ক্ষুর দ্বারা, অশূর-রাজের দ্বারা, মস্তক ও পদের লোম ক্ষৌরি করিয়া দিবেন, এবং তদ্দ্বারা দাড়িও ফেলিবেন। .::. 21 সেই দিন যদি কেহ একটী যুবতী গাভী ও দুইটী মেষ পোষে, .::. 22 তবে তাহারা যে দুগ্ধ দিবে, সেই দুগ্ধের আধিক্যে সে দধি খাইবে; বস্তুতঃ দেশের মধ্যে অবশিষ্ট সমস্ত লোক দধি ও মধু খাইবে। .::. 23 আর সেই দিন, যে যে স্থানে সহস্র রৌপ্য-মুদ্রা মূল্যের সহস্র দ্রাক্ষালতা আছে, সেই সকল স্থান শ্যাকুল ও কন্টকময় হইবে; .::. 24 লোকে তীর ধনুক লইয়া সে স্থানে যাইবে, কেননা সমস্ত দেশ শ্যাকুল ও কন্টকের জঙ্গল হইবে; .::. 25 এবং যে সকল পার্ব্বত্য-ভূমি কোদালি দ্বারা খনন করা যায়, সেই সকল স্থানে শ্যাকুলের ও কাঁটার ভয়ে তুমি গমন করিবে না; তাহা বলদের চরাণিস্থান ও মেষের পদতলে দলিত হইবার স্থান হইবে। .::.
  • ইসাইয়া অধ্যায় 1  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 2  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 3  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 4  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 5  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 6  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 7  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 8  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 9  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 10  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 11  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 12  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 13  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 14  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 15  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 16  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 17  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 18  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 19  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 20  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 21  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 22  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 23  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 24  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 25  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 26  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 27  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 28  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 29  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 30  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 31  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 32  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 33  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 34  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 35  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 36  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 37  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 38  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 39  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 40  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 41  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 42  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 43  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 44  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 45  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 46  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 47  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 48  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 49  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 50  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 51  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 52  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 53  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 54  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 55  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 56  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 57  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 58  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 59  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 60  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 61  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 62  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 63  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 64  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 65  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 66  
×

Alert

×

Bengali Letters Keypad References