পবিত্র বাইবেল

গডস গ্রেইস গিফট
ইসাইয়া

ইসাইয়া অধ্যায় 11

1 আর যিশয়ের গুঁড়ি হইতে এক পল্লব নির্গত হইবেন, ও তাহার মূল হইতে উৎপন্ন এক চারা ফল প্রদান করিবেন। 2 আর সদাপ্রভুর আত্মা—প্রজ্ঞার ও বিবেচনার আত্মা, মন্ত্রণার ও পরাক্রমের আত্মা, জ্ঞানের ও সদাপ্রভুভয়ের আত্মা—তাঁহাতে অধিষ্ঠান করিবেন; আর তিনি সদাপ্রভুর-ভয়ে আমোদিত হইবেন । 3 তিনি চক্ষুর দৃষ্টি অনুসারে বিচার করিবেন না, কর্ণের শ্রবণানুসারে নিষ্পত্তি করিবেন না; 4 কিন্তু ধর্ম্মশীলতায় দীনহীনের বিচার করিবেন, সরলতায় পৃথিবীস্থ নম্রদের জন্য নিষ্পত্তি করিবেন; তিনি আপন মুখস্থিত দণ্ড দ্বারা পৃথিবীকে আঘাত করিবেন, আপন ওষ্ঠাধরের নিঃশ্বাস দ্বারা দুষ্টকে বধ করিবেন। 5 আর ধর্ম্মশীলতা তাঁহার কটিদেশের পটুকা ও বিশ্বস্ততা তাঁহার কক্ষের পটুকা হইবে। 6 আর কেন্দুয়াব্যাঘ্র মেষশাবকের সহিত একত্র বাস করিবে; চিতাব্যাঘ্র ছাগবৎসের সহিত শয়ন করিবে; গোবৎস, যুবসিংহ ও হৃষ্টপুষ্ট পশু একত্র থাকিবে; এবং ক্ষুদ্র বালক তাহাদিগকে চালাইবে। 7 ধেনু ও ভল্লুকী চরিবে, তাহাদের বৎস সকল একত্র শয়ন করিবে, এবং সিংহ বলদের ন্যায় বিচালি খাইবে। 8 আর স্তন্যপায়ী শিশু কেউটিয়া সর্পের গর্ত্তের উপরে খেলা করিবে, ত্যক্তস্তন্য বালক কৃষ্ণসর্পের বিবরের উপরে হস্ত রাখিবে। 9 সে সকল আমার পবিত্র পর্ব্বতের কোন স্থানে হিংসা কিম্বা বিনাশ করিবে না; কারণ সমুদ্র যেমন জলে আচ্ছন্ন, তেমনি পৃথিবী সদাপ্রভু-বিষয়ক জ্ঞানে পরিপূর্ণ হইবে। 10 আর সেই দিন এই ঘটিবে, যিশয়ের মূল, যিনি লোকবৃন্দের পতাকারূপে দাঁড়ান, তাঁহার কাছে জাতিগণ অন্বেষণ করিবে; আর তাঁহার বিশ্রামস্থান প্রতাপান্বিত হইবে। 11 আর সেই দিন এই ঘটিবে, প্রভু আপন প্রজাগণের অবশিষ্টাংশকে মুক্ত করিয়া আনিবার জন্য দ্বিতীয়বার হস্তক্ষেপ করিবেন, অর্থাৎ অশূর হইতে, মিসর হইতে, পথ্রোষ হইতে, কূশ হইতে, এলম হইতে, শিনিয়র হইতে হমাৎ হইতে ও সমুদ্রের উপকূলসমূহ হইতে অবশিষ্ট লোকদিগকে আনিবেন। 12 আর তিনি জাতিগণের নিমিত্ত পতাকা তুলিবেন, ইস্রায়েলের তাড়িত লোকদিগকে একত্র করিবেন, ও পৃথিবীর চারি কোণ হইতে যিহূদার ছিন্নভিন্ন লোকদিগকে সংগ্রহ করিবেন। 13 আর ইফ্রয়িমের ঈর্ষা দূর হইবে, ও যাহারা যিহূদাকে ক্লেশ দেয়, তাহারা উচ্ছিন্ন হইবে; ইফ্রয়িম যিহূদার উপর ঈর্ষা করিবে না, ও যিহূদা ইফ্রয়িমকে ক্লেশ দিবে না। 14 আর তাহারা পশ্চিশ দিকে পলেষ্টীয়দের স্কন্ধদেশে ছোঁ মারিবে, উভয়ে একত্র হইয়া পূর্ব্বদেশের লোকদের দ্রব্য লুট করিবে; তাহারা ইদোম ও মোয়াবের উপরে হস্তক্ষেপ করিবে, এবং অম্মোন-সন্তানেরা তাহাদের আজ্ঞাবহ হইবে। 15 আর সদাপ্রভু মিস্রীয় সমুদ্রের খাড়ী নিঃশেষে বিনষ্ট করিবেন, *ফরাৎ নদীর উপরে নিজ উত্তপ্ত বায়ু সহকারে হস্ত দোলাইবেন, তাহাকে প্রহার করিয়া সপ্ত প্রণালী করিবেন, ও লোকদিগকে পাদুকা-চরণে পার করিবেন। 16 আর মিসর দেশ হইতে ইস্রায়েলের বাহির হইয়া আসিবার সময়ে যেমন তাহার নিমিত্ত পথ হইয়াছিল, তেমনি তাঁহার প্রজাদের অবশিষ্টাংশের, অশূর হইতে অবশিষ্ট লোকদের নিমিত্ত এক রাজপথ হইবে।
1 আর যিশয়ের গুঁড়ি হইতে এক পল্লব নির্গত হইবেন, ও তাহার মূল হইতে উৎপন্ন এক চারা ফল প্রদান করিবেন। .::. 2 আর সদাপ্রভুর আত্মা—প্রজ্ঞার ও বিবেচনার আত্মা, মন্ত্রণার ও পরাক্রমের আত্মা, জ্ঞানের ও সদাপ্রভুভয়ের আত্মা—তাঁহাতে অধিষ্ঠান করিবেন; আর তিনি সদাপ্রভুর-ভয়ে আমোদিত হইবেন । .::. 3 তিনি চক্ষুর দৃষ্টি অনুসারে বিচার করিবেন না, কর্ণের শ্রবণানুসারে নিষ্পত্তি করিবেন না; .::. 4 কিন্তু ধর্ম্মশীলতায় দীনহীনের বিচার করিবেন, সরলতায় পৃথিবীস্থ নম্রদের জন্য নিষ্পত্তি করিবেন; তিনি আপন মুখস্থিত দণ্ড দ্বারা পৃথিবীকে আঘাত করিবেন, আপন ওষ্ঠাধরের নিঃশ্বাস দ্বারা দুষ্টকে বধ করিবেন। .::. 5 আর ধর্ম্মশীলতা তাঁহার কটিদেশের পটুকা ও বিশ্বস্ততা তাঁহার কক্ষের পটুকা হইবে। .::. 6 আর কেন্দুয়াব্যাঘ্র মেষশাবকের সহিত একত্র বাস করিবে; চিতাব্যাঘ্র ছাগবৎসের সহিত শয়ন করিবে; গোবৎস, যুবসিংহ ও হৃষ্টপুষ্ট পশু একত্র থাকিবে; এবং ক্ষুদ্র বালক তাহাদিগকে চালাইবে। .::. 7 ধেনু ও ভল্লুকী চরিবে, তাহাদের বৎস সকল একত্র শয়ন করিবে, এবং সিংহ বলদের ন্যায় বিচালি খাইবে। .::. 8 আর স্তন্যপায়ী শিশু কেউটিয়া সর্পের গর্ত্তের উপরে খেলা করিবে, ত্যক্তস্তন্য বালক কৃষ্ণসর্পের বিবরের উপরে হস্ত রাখিবে। .::. 9 সে সকল আমার পবিত্র পর্ব্বতের কোন স্থানে হিংসা কিম্বা বিনাশ করিবে না; কারণ সমুদ্র যেমন জলে আচ্ছন্ন, তেমনি পৃথিবী সদাপ্রভু-বিষয়ক জ্ঞানে পরিপূর্ণ হইবে। .::. 10 আর সেই দিন এই ঘটিবে, যিশয়ের মূল, যিনি লোকবৃন্দের পতাকারূপে দাঁড়ান, তাঁহার কাছে জাতিগণ অন্বেষণ করিবে; আর তাঁহার বিশ্রামস্থান প্রতাপান্বিত হইবে। .::. 11 আর সেই দিন এই ঘটিবে, প্রভু আপন প্রজাগণের অবশিষ্টাংশকে মুক্ত করিয়া আনিবার জন্য দ্বিতীয়বার হস্তক্ষেপ করিবেন, অর্থাৎ অশূর হইতে, মিসর হইতে, পথ্রোষ হইতে, কূশ হইতে, এলম হইতে, শিনিয়র হইতে হমাৎ হইতে ও সমুদ্রের উপকূলসমূহ হইতে অবশিষ্ট লোকদিগকে আনিবেন। .::. 12 আর তিনি জাতিগণের নিমিত্ত পতাকা তুলিবেন, ইস্রায়েলের তাড়িত লোকদিগকে একত্র করিবেন, ও পৃথিবীর চারি কোণ হইতে যিহূদার ছিন্নভিন্ন লোকদিগকে সংগ্রহ করিবেন। .::. 13 আর ইফ্রয়িমের ঈর্ষা দূর হইবে, ও যাহারা যিহূদাকে ক্লেশ দেয়, তাহারা উচ্ছিন্ন হইবে; ইফ্রয়িম যিহূদার উপর ঈর্ষা করিবে না, ও যিহূদা ইফ্রয়িমকে ক্লেশ দিবে না। .::. 14 আর তাহারা পশ্চিশ দিকে পলেষ্টীয়দের স্কন্ধদেশে ছোঁ মারিবে, উভয়ে একত্র হইয়া পূর্ব্বদেশের লোকদের দ্রব্য লুট করিবে; তাহারা ইদোম ও মোয়াবের উপরে হস্তক্ষেপ করিবে, এবং অম্মোন-সন্তানেরা তাহাদের আজ্ঞাবহ হইবে। .::. 15 আর সদাপ্রভু মিস্রীয় সমুদ্রের খাড়ী নিঃশেষে বিনষ্ট করিবেন, *ফরাৎ নদীর উপরে নিজ উত্তপ্ত বায়ু সহকারে হস্ত দোলাইবেন, তাহাকে প্রহার করিয়া সপ্ত প্রণালী করিবেন, ও লোকদিগকে পাদুকা-চরণে পার করিবেন। .::. 16 আর মিসর দেশ হইতে ইস্রায়েলের বাহির হইয়া আসিবার সময়ে যেমন তাহার নিমিত্ত পথ হইয়াছিল, তেমনি তাঁহার প্রজাদের অবশিষ্টাংশের, অশূর হইতে অবশিষ্ট লোকদের নিমিত্ত এক রাজপথ হইবে। .::.
  • ইসাইয়া অধ্যায় 1  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 2  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 3  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 4  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 5  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 6  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 7  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 8  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 9  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 10  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 11  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 12  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 13  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 14  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 15  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 16  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 17  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 18  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 19  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 20  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 21  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 22  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 23  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 24  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 25  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 26  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 27  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 28  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 29  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 30  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 31  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 32  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 33  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 34  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 35  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 36  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 37  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 38  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 39  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 40  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 41  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 42  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 43  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 44  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 45  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 46  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 47  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 48  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 49  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 50  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 51  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 52  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 53  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 54  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 55  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 56  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 57  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 58  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 59  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 60  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 61  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 62  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 63  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 64  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 65  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 66  
×

Alert

×

Bengali Letters Keypad References