পবিত্র বাইবেল

গডস গ্রেইস গিফট
ইসাইয়া

ইসাইয়া অধ্যায় 54

1 অয়ি বন্ধ্যে, অপ্রসূতে, তুমি আনন্দগান কর, অয়ি গর্ভব্যথা-রহিতে, তুমি উচ্চৈঃস্বরে আনন্দগান কর, ও হর্ষনাদ কর; কেননা সধবার সন্তান অপেক্ষা অনাথার সন্তান অধিক, ইহা সদাপ্রভু কহেন। 2 তুমি আপন তাম্বুর স্থান পরিসর কর, তোমার শিবিরের যবনিকা বিস্তারিত হউক, ব্যয়শঙ্কা করিও না; তোমার রজ্জু সকল দীর্ঘ কর, তোমার গোঁজ সকল দৃঢ় কর। 3 কেননা তুমি দক্ষিণে ও বামে বিস্তীর্ণা হইবে, তোমার বংশ জাতিগণের অধিকার পাইবে, এবং ধ্বংসিত নগরসমূহে লোক বসাইবে। 4 ভয় করিও না, কেননা তুমি লজ্জা পাইবে না; বিষণ্ণ হইও না, কেননা তুমি অপ্রতিভ হইবে না; কারণ তুমি আপন যৌবনের অপমান ভুলিয়া যাইবে, আর তোমার বৈধব্যের দুর্নাম স্মরণে থাকিবে না। 5 কেননা তোমার নির্ম্মাতা তোমার পতি, তাঁহার নাম বাহিনীগণের সদাপ্রভু; আর ইস্রায়েলের পবিত্রতম তোমার মুক্তিদাতা, তিনি সমস্ত পৃথিবীর ঈশ্বর বলিয়া আখ্যাত হইবেন। 6 কারণ সদাপ্রভু তোমাকে পরিত্যক্তা ও আত্মায় দুঃখিতা স্ত্রীর ন্যায়, কিম্বা দূরীকৃতা যৌবনকালীয় ভার্য্যার ন্যায় ডাকিয়াছেন; ইহা তোমার ঈশ্বর কহেন। 7 আমি ক্ষুদ্র নিমেষ কালের জন্য তোমাকে ত্যাগ করিয়াছি, কিন্তু মহাকরুণায় তোমাকে সংগ্রহ করিব। 8 আমি কোপাবেশে এক নিমেষমাত্র তোমা হইতে আপন মুখ লুকাইয়াছিলাম, কিন্তু অনন্তকালস্থায়ী দয়াতে তোমার প্রতি করুণা করিব, ইহা তোমার মুক্তিদাতা সদাপ্রভু কহেন। 9 বস্তুতঃ আমার নিকটে ইহা নোহের জলসমূহের সদৃশ; কারণ আমি যেমন শপথ করিয়াছি যে, নোহের জলসমূহ আর ভূতল আপ্লাবিত করিবে না, তেমনি এই শপথ করিলাম যে, তোমার প্রতি আর ক্রুদ্ধ হইব না, তোমাকে আর ভর্ৎসনাও করিব না। 10 বস্তুতঃ পর্ব্বতগণ সরিয়া যাইবে, উপপর্ব্বতগণ টলিবে; কিন্তু আমার দয়া তোমা হইতে সরিয়া যাইবে না, এবং আমার শান্তি-নিয়ম টলিবে না; যিনি তোমার প্রতি অনুকম্পা করেন, সেই সদাপ্রভু ইহা কহেন। 11 অয়ি দুঃখিনি, অয়ি ঝটিকা-দুলিতে ও সান্ত্বনাবিহীনে, দেখ, আমি রসাঞ্জন দিয়া তোমার প্রস্তর বসাইব, নীলমণি দ্বারা তোমার ভিত্তিমূল স্থাপন করিব; 12 আর পদ্মরাগমণি দ্বারা তোমার আলিসা, ও সূর্য্যকান্তমণি দ্বারা তোমার পুরদ্বার সকল, ও মনোহর প্রস্তর দ্বারা তোমার সমস্ত পরিসীমা নির্ম্মাণ করিব। 13 আর তোমার সন্তানেরা সকলে সদাপ্রভুর কাছে শিক্ষা পাইবে, আর তোমার সন্তানদের পরম শান্তি হইবে। 14 তুমি ধার্ম্মিকতায় স্থিরীকৃত হইবে; তুমি উপদ্রব হইতে দূরে থাকিবে, বস্তুতঃ তুমি ভীত হইবে না; এবং ত্রাস হইতে দূরে থাকিবে, বাস্তবিক তাহা তোমার নিকটে আসিবে না। 15 দেখ, লোকে যদি দল বাঁধে, তাহা আমা হইতে হয় না; যে কেহ তোমার বিপক্ষে দল বাঁধে, সে তোমা হেতু পতিত হইবে। 16 দেখ, যে কর্ম্মকার জ্বলদঙ্গারে বাতাস দেয়, আর আপন কার্য্যের জন্য অস্ত্র গঠন করে, আমিই তাহার সৃষ্টি করিয়াছি, বিনাশ করণার্থে নাশকের সৃষ্টিও আমিই করিয়াছি। 17 যে কোন অস্ত্র তোমার বিপরীতে গঠিত হয়, তাহা সার্থক হইবে না; যে কোন জিহ্বা বিচারে তোমার প্রতিবাদিনী হয়, তাহাকে তুমি দোষী করিবে। সদাপ্রভুর দাসদের এই অধিকার, এবং আমা হইতে তাহাদের এই ধার্ম্মিকতা লাভ হয়, ইহা সদাপ্রভু কহেন।
1 অয়ি বন্ধ্যে, অপ্রসূতে, তুমি আনন্দগান কর, অয়ি গর্ভব্যথা-রহিতে, তুমি উচ্চৈঃস্বরে আনন্দগান কর, ও হর্ষনাদ কর; কেননা সধবার সন্তান অপেক্ষা অনাথার সন্তান অধিক, ইহা সদাপ্রভু কহেন। .::. 2 তুমি আপন তাম্বুর স্থান পরিসর কর, তোমার শিবিরের যবনিকা বিস্তারিত হউক, ব্যয়শঙ্কা করিও না; তোমার রজ্জু সকল দীর্ঘ কর, তোমার গোঁজ সকল দৃঢ় কর। .::. 3 কেননা তুমি দক্ষিণে ও বামে বিস্তীর্ণা হইবে, তোমার বংশ জাতিগণের অধিকার পাইবে, এবং ধ্বংসিত নগরসমূহে লোক বসাইবে। .::. 4 ভয় করিও না, কেননা তুমি লজ্জা পাইবে না; বিষণ্ণ হইও না, কেননা তুমি অপ্রতিভ হইবে না; কারণ তুমি আপন যৌবনের অপমান ভুলিয়া যাইবে, আর তোমার বৈধব্যের দুর্নাম স্মরণে থাকিবে না। .::. 5 কেননা তোমার নির্ম্মাতা তোমার পতি, তাঁহার নাম বাহিনীগণের সদাপ্রভু; আর ইস্রায়েলের পবিত্রতম তোমার মুক্তিদাতা, তিনি সমস্ত পৃথিবীর ঈশ্বর বলিয়া আখ্যাত হইবেন। .::. 6 কারণ সদাপ্রভু তোমাকে পরিত্যক্তা ও আত্মায় দুঃখিতা স্ত্রীর ন্যায়, কিম্বা দূরীকৃতা যৌবনকালীয় ভার্য্যার ন্যায় ডাকিয়াছেন; ইহা তোমার ঈশ্বর কহেন। .::. 7 আমি ক্ষুদ্র নিমেষ কালের জন্য তোমাকে ত্যাগ করিয়াছি, কিন্তু মহাকরুণায় তোমাকে সংগ্রহ করিব। .::. 8 আমি কোপাবেশে এক নিমেষমাত্র তোমা হইতে আপন মুখ লুকাইয়াছিলাম, কিন্তু অনন্তকালস্থায়ী দয়াতে তোমার প্রতি করুণা করিব, ইহা তোমার মুক্তিদাতা সদাপ্রভু কহেন। .::. 9 বস্তুতঃ আমার নিকটে ইহা নোহের জলসমূহের সদৃশ; কারণ আমি যেমন শপথ করিয়াছি যে, নোহের জলসমূহ আর ভূতল আপ্লাবিত করিবে না, তেমনি এই শপথ করিলাম যে, তোমার প্রতি আর ক্রুদ্ধ হইব না, তোমাকে আর ভর্ৎসনাও করিব না। .::. 10 বস্তুতঃ পর্ব্বতগণ সরিয়া যাইবে, উপপর্ব্বতগণ টলিবে; কিন্তু আমার দয়া তোমা হইতে সরিয়া যাইবে না, এবং আমার শান্তি-নিয়ম টলিবে না; যিনি তোমার প্রতি অনুকম্পা করেন, সেই সদাপ্রভু ইহা কহেন। .::. 11 অয়ি দুঃখিনি, অয়ি ঝটিকা-দুলিতে ও সান্ত্বনাবিহীনে, দেখ, আমি রসাঞ্জন দিয়া তোমার প্রস্তর বসাইব, নীলমণি দ্বারা তোমার ভিত্তিমূল স্থাপন করিব; .::. 12 আর পদ্মরাগমণি দ্বারা তোমার আলিসা, ও সূর্য্যকান্তমণি দ্বারা তোমার পুরদ্বার সকল, ও মনোহর প্রস্তর দ্বারা তোমার সমস্ত পরিসীমা নির্ম্মাণ করিব। .::. 13 আর তোমার সন্তানেরা সকলে সদাপ্রভুর কাছে শিক্ষা পাইবে, আর তোমার সন্তানদের পরম শান্তি হইবে। .::. 14 তুমি ধার্ম্মিকতায় স্থিরীকৃত হইবে; তুমি উপদ্রব হইতে দূরে থাকিবে, বস্তুতঃ তুমি ভীত হইবে না; এবং ত্রাস হইতে দূরে থাকিবে, বাস্তবিক তাহা তোমার নিকটে আসিবে না। .::. 15 দেখ, লোকে যদি দল বাঁধে, তাহা আমা হইতে হয় না; যে কেহ তোমার বিপক্ষে দল বাঁধে, সে তোমা হেতু পতিত হইবে। .::. 16 দেখ, যে কর্ম্মকার জ্বলদঙ্গারে বাতাস দেয়, আর আপন কার্য্যের জন্য অস্ত্র গঠন করে, আমিই তাহার সৃষ্টি করিয়াছি, বিনাশ করণার্থে নাশকের সৃষ্টিও আমিই করিয়াছি। .::. 17 যে কোন অস্ত্র তোমার বিপরীতে গঠিত হয়, তাহা সার্থক হইবে না; যে কোন জিহ্বা বিচারে তোমার প্রতিবাদিনী হয়, তাহাকে তুমি দোষী করিবে। সদাপ্রভুর দাসদের এই অধিকার, এবং আমা হইতে তাহাদের এই ধার্ম্মিকতা লাভ হয়, ইহা সদাপ্রভু কহেন। .::.
  • ইসাইয়া অধ্যায় 1  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 2  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 3  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 4  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 5  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 6  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 7  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 8  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 9  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 10  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 11  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 12  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 13  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 14  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 15  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 16  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 17  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 18  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 19  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 20  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 21  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 22  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 23  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 24  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 25  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 26  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 27  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 28  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 29  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 30  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 31  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 32  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 33  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 34  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 35  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 36  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 37  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 38  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 39  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 40  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 41  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 42  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 43  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 44  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 45  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 46  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 47  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 48  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 49  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 50  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 51  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 52  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 53  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 54  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 55  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 56  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 57  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 58  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 59  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 60  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 61  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 62  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 63  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 64  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 65  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 66  
×

Alert

×

Bengali Letters Keypad References