পবিত্র বাইবেল

গডস গ্রেইস গিফট
যেরেমিয়া

যেরেমিয়া অধ্যায় 8

1 সদাপ্রভু কহেন, তৎকালে লোকেরা যিহূদার রাজগণের অস্থি, তাহার অধ্যক্ষবর্গের অস্থি, যাজকগণের অস্থি, ভাববাদিগণের অস্থি ও যিরূশালেমনিবাসী লোকদের অস্থি তাহাদের কবর হইতে বাহির করিবে। 2 আর তাহারা সূর্য্যের, চন্দ্রের ও সমস্ত আকাশবাহিনীর সম্মুখে —তাহারা যাহাদিগকে ভক্তি ও সেবা করিত, যাহাদের অনুগামী হইত, যাহাদিগকে অন্বেষণ করিত, ও যাহাদের কাছে প্রণিপাত করিত, আহাদের সম্মুখে—সে সকল অস্থি ছড়াইয়া দিবে। সেগুলি আর একত্রীকৃত কিম্বা কবরে স্থাপিত হইবে না; সারের ন্যায় ভূমির উপরে থাকিবে। 3 আর এই দুষ্ট গোষ্ঠীর অবশিষ্ট যে সমস্ত লোক থাকিবে,—যে সকল স্থানে আমি তাহাদিগকে তাড়াইয়া দিয়াছি, সেই সমস্ত স্থানে থাকিবে,—তাহারা জীবন অপেক্ষা মরণই বাঞ্ছনীয় জ্ঞান করিব, ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু কহেন। 4 তুমি তাহাদিগকে আরও বলিবে, সদাপ্রভু এই কথা কহেন, মনুষ্য পতিত হইলে কি আর উঠে না? বিপথে গেলে কি আর ফিরিয়া আইসে না? 5 তবে যিরূশালেমের এই জাতি কেন নিত্যস্থায়ী বিপথগমন দ্বারা বিপথগামী হইয়াছে? তাহারা খলতাকে দৃঢ়রূপে ধরিয়া রহিয়াছে, তাহারা ফিরিয়া আসিতে অসম্মত। 6 আমি কর্ণপাত করিয়া শুনিলাম, কিন্তু তাহারা যথার্থ কথা কহিল না; কেহ আপন দুষ্টতার জন্য অনুতাপ করিয়া বলে না, ‘হায়, আমি কি করিলাম!’ অশ্ব যেমন ঊর্দ্ধশ্বাসে যুদ্ধে দৌড়িয়া যায়, তেমনি প্রত্যেক জন, আপন আপন ধাবন পথে ফিরে। 7 আকাশে হাড়গিলাও আপনার সময় জানে, এবং ঘুঘু, তালচোঁচ ও বক আপন আপন আগমনের কাল রক্ষা করে, কিন্তু আমার প্রজারা সদাপ্রভুর বিধান জানে না। 8 তোমরা কেমন করিয়া বলিতে পার, আমরা জ্ঞানী, এবং আমাদের কাছে সদাপ্রভুর ব্যবস্থা আছে? দেখ, অধ্যাপকদের মিথ্যা-লেখনী তাহা মিথ্যা করিয়া ফেলিয়াছে। 9 জ্ঞানীরা লজ্জিত হইল, ব্যাকুল ও ধৃত হইল; দেখ, তাহারা সদাপ্রভুর বাক্য অগ্রাহ্য করিয়াছে, তবে তাহাদের জ্ঞান কি প্রকার? 10 এই জন্য আমি অন্য লোকদিগকে তাহাদের স্ত্রী, এবং অন্য অধিকারীদিগকে তাহাদের ক্ষেত্র দিব; কেননা ক্ষুদ্র কি মহান সকলেই লোভে লুব্ধ, ভাববাদী ও যাজকশুদ্ধ সমস্ত লোক প্রবঞ্চনায় রত। 11 আর তাহারা আমার জাতির কন্যার ক্ষত কেবল একটুমাত্র সুস্থ করিয়াছে; যখন শান্তি নাই, তখন বলিয়াছে, শান্তি, শান্তি। 12 তাহারা ঘৃণাই কার্য্য করিয়াছে বলিয়া কি লজ্জিত হইল? তাহারা মোটে লজ্জিত হয় নাই, তাহারা বিষণ্ণ হইতে জানেও না। এই জন্য তাহারা পতিতগণের মধ্যে পতিত হইবে; আমি যখন তাহাদের প্রতিফল দিব, তখন তাহাদের নিপাত হইবে, ইহা সদাপ্রভু কহেন। 13 আমি তাহাদিগকে নিঃশেষে সংহার করিব, ইহা সদাপ্রভু কহেন; দ্রাক্ষালতায় দ্রাক্ষাফল, কিম্বা ডুমুরগাছে ডুমুরফল থাকিবে না, পত্রও জীর্ণ হইবে; হাঁ, আমি তাহাদের জন্য আক্রমণকারী লোকদিগকে নিরূপণ করিয়াছি। 14 আমরা কেন বসিয়া থাকি? আইস আমরা একত্র হইয়া প্রাচীরবেষ্টিত নগরে নগরে প্রবেশ করি, সেখানে ক্ষয়প্রাপ্ত হই; কেননা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদিগকে ক্ষয়ের পাত্র করিলেন, ও বিষবৃক্ষের রস পান করাইলেন, কারণ আমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করিয়াছি। 15 আমরা শান্তির অপেক্ষা করিলাম, কিন্তু কিছুই মঙ্গল হইল না; আরোগ্যকালের অপেক্ষা করিলাম, কিন্তু দেখ, উদ্বেগ উপস্থিত। 16 দান নগর হইতে শত্রুর অশ্বগণের নাসারব শুনা যাইতেছে; তাহার বাজীদের হেষ্রাশব্দে সমস্ত দেশ কাঁপিতেছে; তাহারা আসিয়াছে, জনপদ ও তন্মধ্যস্থ সমস্ত দ্রব্য এবং নগর ও তন্নিবাসিবর্গকে গ্রাস করিয়াছে। 17 বস্তুতঃ দেখ, আমি তোমাদের মধ্যে সর্প, কালসর্প প্রেরণ করিব, তাহারা কোন মন্ত্র মানিবে না, তোমাদিগকে দংশন করিবে, ইহা সদাপ্রভু কহেন। 18 আহা, আমি যদি দুঃখে সাত্ত্বনা পাইতাম! আমার মধ্যে হৃদয় মূর্চ্ছিত। 19 দেখ, দূর দেশ হইতে আমার জাতির কন্যার আর্ত্তনাদ শুনা যাইতেছে; সদাপ্রভু কি সিয়োনে নাই? তাহার রাজা কি তাহার মধ্যবর্ত্তী নহেন? তাহারা আপনাদের ক্ষোদিত প্রতিমা ও বিজাতীয় অসার বস্তুসমূহ দ্বারা আমাকে কেন অসন্তুষ্ট করিয়াছে? 20 শস্য কাটিবার সময় গেল, ফলচয়নের কাল শেষ হইল, কিন্তু আমাদের পরিত্রাণ হয় নাই। 21 আমি আমার জাতির কন্যার ভগ্নতা প্রযুক্ত ভগ্ন হইয়াছি, আমি মলিন ও চকিত হইয়াছি। 22 গিলিয়দে কি তরুসার নাই? সেখানে কি চিকিৎসক নাই? তবে আমার জাতির কন্যা কেন স্বাস্থ্য লাভ করে নাই?
1 সদাপ্রভু কহেন, তৎকালে লোকেরা যিহূদার রাজগণের অস্থি, তাহার অধ্যক্ষবর্গের অস্থি, যাজকগণের অস্থি, ভাববাদিগণের অস্থি ও যিরূশালেমনিবাসী লোকদের অস্থি তাহাদের কবর হইতে বাহির করিবে। .::. 2 আর তাহারা সূর্য্যের, চন্দ্রের ও সমস্ত আকাশবাহিনীর সম্মুখে —তাহারা যাহাদিগকে ভক্তি ও সেবা করিত, যাহাদের অনুগামী হইত, যাহাদিগকে অন্বেষণ করিত, ও যাহাদের কাছে প্রণিপাত করিত, আহাদের সম্মুখে—সে সকল অস্থি ছড়াইয়া দিবে। সেগুলি আর একত্রীকৃত কিম্বা কবরে স্থাপিত হইবে না; সারের ন্যায় ভূমির উপরে থাকিবে। .::. 3 আর এই দুষ্ট গোষ্ঠীর অবশিষ্ট যে সমস্ত লোক থাকিবে,—যে সকল স্থানে আমি তাহাদিগকে তাড়াইয়া দিয়াছি, সেই সমস্ত স্থানে থাকিবে,—তাহারা জীবন অপেক্ষা মরণই বাঞ্ছনীয় জ্ঞান করিব, ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু কহেন। .::. 4 তুমি তাহাদিগকে আরও বলিবে, সদাপ্রভু এই কথা কহেন, মনুষ্য পতিত হইলে কি আর উঠে না? বিপথে গেলে কি আর ফিরিয়া আইসে না? .::. 5 তবে যিরূশালেমের এই জাতি কেন নিত্যস্থায়ী বিপথগমন দ্বারা বিপথগামী হইয়াছে? তাহারা খলতাকে দৃঢ়রূপে ধরিয়া রহিয়াছে, তাহারা ফিরিয়া আসিতে অসম্মত। .::. 6 আমি কর্ণপাত করিয়া শুনিলাম, কিন্তু তাহারা যথার্থ কথা কহিল না; কেহ আপন দুষ্টতার জন্য অনুতাপ করিয়া বলে না, ‘হায়, আমি কি করিলাম!’ অশ্ব যেমন ঊর্দ্ধশ্বাসে যুদ্ধে দৌড়িয়া যায়, তেমনি প্রত্যেক জন, আপন আপন ধাবন পথে ফিরে। .::. 7 আকাশে হাড়গিলাও আপনার সময় জানে, এবং ঘুঘু, তালচোঁচ ও বক আপন আপন আগমনের কাল রক্ষা করে, কিন্তু আমার প্রজারা সদাপ্রভুর বিধান জানে না। .::. 8 তোমরা কেমন করিয়া বলিতে পার, আমরা জ্ঞানী, এবং আমাদের কাছে সদাপ্রভুর ব্যবস্থা আছে? দেখ, অধ্যাপকদের মিথ্যা-লেখনী তাহা মিথ্যা করিয়া ফেলিয়াছে। .::. 9 জ্ঞানীরা লজ্জিত হইল, ব্যাকুল ও ধৃত হইল; দেখ, তাহারা সদাপ্রভুর বাক্য অগ্রাহ্য করিয়াছে, তবে তাহাদের জ্ঞান কি প্রকার? .::. 10 এই জন্য আমি অন্য লোকদিগকে তাহাদের স্ত্রী, এবং অন্য অধিকারীদিগকে তাহাদের ক্ষেত্র দিব; কেননা ক্ষুদ্র কি মহান সকলেই লোভে লুব্ধ, ভাববাদী ও যাজকশুদ্ধ সমস্ত লোক প্রবঞ্চনায় রত। .::. 11 আর তাহারা আমার জাতির কন্যার ক্ষত কেবল একটুমাত্র সুস্থ করিয়াছে; যখন শান্তি নাই, তখন বলিয়াছে, শান্তি, শান্তি। .::. 12 তাহারা ঘৃণাই কার্য্য করিয়াছে বলিয়া কি লজ্জিত হইল? তাহারা মোটে লজ্জিত হয় নাই, তাহারা বিষণ্ণ হইতে জানেও না। এই জন্য তাহারা পতিতগণের মধ্যে পতিত হইবে; আমি যখন তাহাদের প্রতিফল দিব, তখন তাহাদের নিপাত হইবে, ইহা সদাপ্রভু কহেন। .::. 13 আমি তাহাদিগকে নিঃশেষে সংহার করিব, ইহা সদাপ্রভু কহেন; দ্রাক্ষালতায় দ্রাক্ষাফল, কিম্বা ডুমুরগাছে ডুমুরফল থাকিবে না, পত্রও জীর্ণ হইবে; হাঁ, আমি তাহাদের জন্য আক্রমণকারী লোকদিগকে নিরূপণ করিয়াছি। .::. 14 আমরা কেন বসিয়া থাকি? আইস আমরা একত্র হইয়া প্রাচীরবেষ্টিত নগরে নগরে প্রবেশ করি, সেখানে ক্ষয়প্রাপ্ত হই; কেননা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদিগকে ক্ষয়ের পাত্র করিলেন, ও বিষবৃক্ষের রস পান করাইলেন, কারণ আমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করিয়াছি। .::. 15 আমরা শান্তির অপেক্ষা করিলাম, কিন্তু কিছুই মঙ্গল হইল না; আরোগ্যকালের অপেক্ষা করিলাম, কিন্তু দেখ, উদ্বেগ উপস্থিত। .::. 16 দান নগর হইতে শত্রুর অশ্বগণের নাসারব শুনা যাইতেছে; তাহার বাজীদের হেষ্রাশব্দে সমস্ত দেশ কাঁপিতেছে; তাহারা আসিয়াছে, জনপদ ও তন্মধ্যস্থ সমস্ত দ্রব্য এবং নগর ও তন্নিবাসিবর্গকে গ্রাস করিয়াছে। .::. 17 বস্তুতঃ দেখ, আমি তোমাদের মধ্যে সর্প, কালসর্প প্রেরণ করিব, তাহারা কোন মন্ত্র মানিবে না, তোমাদিগকে দংশন করিবে, ইহা সদাপ্রভু কহেন। .::. 18 আহা, আমি যদি দুঃখে সাত্ত্বনা পাইতাম! আমার মধ্যে হৃদয় মূর্চ্ছিত। .::. 19 দেখ, দূর দেশ হইতে আমার জাতির কন্যার আর্ত্তনাদ শুনা যাইতেছে; সদাপ্রভু কি সিয়োনে নাই? তাহার রাজা কি তাহার মধ্যবর্ত্তী নহেন? তাহারা আপনাদের ক্ষোদিত প্রতিমা ও বিজাতীয় অসার বস্তুসমূহ দ্বারা আমাকে কেন অসন্তুষ্ট করিয়াছে? .::. 20 শস্য কাটিবার সময় গেল, ফলচয়নের কাল শেষ হইল, কিন্তু আমাদের পরিত্রাণ হয় নাই। .::. 21 আমি আমার জাতির কন্যার ভগ্নতা প্রযুক্ত ভগ্ন হইয়াছি, আমি মলিন ও চকিত হইয়াছি। .::. 22 গিলিয়দে কি তরুসার নাই? সেখানে কি চিকিৎসক নাই? তবে আমার জাতির কন্যা কেন স্বাস্থ্য লাভ করে নাই? .::.
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 1  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 2  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 3  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 4  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 5  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 6  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 7  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 8  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 9  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 10  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 11  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 12  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 13  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 14  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 15  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 16  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 17  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 18  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 19  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 20  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 21  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 22  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 23  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 24  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 25  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 26  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 27  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 28  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 29  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 30  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 31  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 32  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 33  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 34  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 35  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 36  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 37  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 38  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 39  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 40  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 41  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 42  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 43  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 44  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 45  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 46  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 47  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 48  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 49  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 50  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 51  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 52  
×

Alert

×

Bengali Letters Keypad References