পবিত্র বাইবেল

গডস গ্রেইস গিফট
যেরেমিয়া

যেরেমিয়া অধ্যায় 15

1 তখন সদাপ্রভু আমাকে কহিলেন, যদ্যপি মোশি ও শমূয়েল আমার সম্মুখে দাঁড়াইত, তথাপি আমার প্রাণ এই জাতির অনুকূল হইত না; তুমি আমার সম্মুখ হইতে তাহাদিগকে বিদায় কর, তাহারা চলিয়া যাউক। 2 আর যদি তাহারা তোমাকে বলে, কোথায় চলিয়া যাইব? তবে তাহাদিগকে বলিও, সদাপ্রভু এই কথা কহেন, মৃত্যুর পাত্র মৃত্যুর স্থানে, খড়্‌গের পাত্র খড়্‌গের স্থানে, দুর্ভিক্ষের পাত্র দুর্ভিক্ষের স্থানে, ও বন্দিত্বের পাত্র বন্দিত্বের স্থানে গমন করুক। 3 সদাপ্রভু কহেন, আমি চারি জাতিকে তাহাদের উপরে নিযুক্ত করিব; বধ করিবার জন্য খড়্‌গ, টানাটানি করিবার জন্য কুকুর, ভক্ষণ ও বিনাশ করিবার জন্য আকাশের পক্ষী ও ভূমির পশু। 4 আর আমি এমন করিব যে তাহারা পৃথিবীর সমস্ত রাজ্যে ভাসিয়া বেড়াইবে; যিহূদার রাজা হিষ্কিয়ের পুত্র মনঃশির নিমিত্ত, যিরূশালেমে কৃত তাহার কার্য্যের নিমিত্ত ইহা করিব। 5 হে যিরূশালেম, কে তোমাকে দয়া করিবে? কেই বা তোমার নিমিত্ত বিলাপ করিবে? কেই বা তোমার মঙ্গল জিজ্ঞাসা করিতে আসিবে? 6 সদাপ্রভু কহেন, তুমিই আমাকে ত্যাগ করিয়াছ, তুমি পিছাইয়া পড়িয়াছ, এই জন্য আমি তোমার বিরুদ্ধে আপন হস্ত বিস্তার করিয়া তোমাকে নষ্ট করিয়াছি; আমি ক্ষমা করিতে করিতে ক্লান্ত হইলাম। 7 আমি তাহাদিগকে দেশের পুরদ্বার সমূহে কুলাতে করিয়া ঝাড়িয়াছি, তাহাদিগকে সন্তান-বিরহিত করিয়াছি, আমার প্রজাগণকে বিনষ্ট করিয়াছি, তাহারা আপনাদের পথ হইতে ফিরে নাই। 8 তাহাদের বিধবা সকল আমার সম্মুখে সমুদ্রের বালি হইতেও বহুসংখ্যক হইয়াছে; আমি তাহাদের কাছে যুকবগণের জননীর বিরুদ্ধে মধ্যাহ্নকালে বিনাশক এক জনকে আনিয়াছি, অকস্মাৎ তাহার প্রতি দুঃখ ও বিহ্বলতা উপস্থিত করিয়াছি। 9 সপ্তপ্রসূতা ক্ষীণা হইয়াছে, প্রাণত্যাগ করিয়াছে, দিন থাকিতে তাহার সূর্য্য অস্তগমন করিয়াছে, সে লজ্জিতা ও হতাশা হইয়াছে; আর আমি তাহাদের অবশিষ্টাংশকেও শত্রুদের সম্মুখে খড়্‌গে সমর্পণ করিব, ইহা সদাপ্রভু কহেন। 10 হায়! হায়! মা আমার, আমি সমস্ত পৃথিবীর বিরোধের ও বিবাদের পাত্র, তুমি আমাকে কেন প্রসব করিয়াছ? আমি ত কাহাকেও সুদের জন্য ঋণ দিই নাই, আমাকেও কেহ দেয় নাই, তথাপি সকলে আমাকে শাপ দিতেছে। 11 সদাপ্রভু কহিলেন, আমি নিশ্চয়ই তোমাকে মুক্ত করিয়া তোমার মঙ্গল করিব; নিশ্চয়ই শত্রুগণকে সঙ্কটকালে ও দুর্দ্দশার সময়ে তোমার কাছে বিনতি করাইব। 12 লৌহ, উত্তর দেশীয় লৌহ ও পিত্তল কি ভাঙ্গিতে পারা যায়? 13 আমি তোমার ঐশ্বর্য্য ও ধনকোষ সকল লুটদ্রব্য করিয়া বিনামূল্যে বিতরণ করিব; তোমার পাপসমূহের জন্য তোমার সীমার সর্ব্বত্রই *করিব 14 আর তোমার শত্রুগণের দ্বারা তোমার অজ্ঞাত এক দেশে তাহা লইয়া যাইব; কেননা আমার ক্রোধে অগ্নি প্রজ্বলিত হইল, তাহা তোমাদের উপরে জ্বলিয়া উঠিবে। 15 হে সদাপ্রভু, তুমিই জ্ঞাত আছ; আমাকে স্মরণ কর, আমার তত্ত্বানুসন্ধান কর, আমার তাড়নাকারীদিগকে অন্যায়ের প্রতিশোধ দেও, তোমার দীর্ঘসহিষ্ণুতায় আমাকে হরণ করিও না; জানিও আমি তোমার নিমিত্ত টিট্‌কারি সহ্য করিয়াছি। 16 তোমার বাক্য সকল পাওয়া গেল, আর আমি সেগুলি ভক্ষণ করিলাম, তোমার বাক্য সকল আমার আমোদ ও চিত্তের হর্ষজনক ছিল; কেননা হে সদাপ্রভু, বাহিনীগণের ঈশ্বর, আমার উপরে তোমার নাম কীর্ত্তিত। 17 আমি পরিহাসকারীদের সভাতে বসি নাই, উল্লাস করি নাই; তোমার হস্ত প্রযুক্ত একাকী বসিতাম, কেননা তুমি আমাকে ক্রোধে পূর্ণ করিয়াছ। 18 আমার যাতনা নিত্যস্থায়ী ও আমার ক্ষত অপ্রতিকার্য্য কেন? তাহা চিকিৎসা অগ্রাহ্য করিতেছে। তুমি কি আমার কাছে মিথ্যা স্রোতের ও অস্থায়ী জলের ন্যায় হইবে? 19 অতএব সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তুমি যদি ফিরিয়া আইস, তবে আমি তোমাকে ফিরাইয়া আনিব, তুমি আমার সাক্ষাতে দাঁড়াইবে; এবং যদি অপকৃষ্ট বস্তু হইতে কাঞ্চন বাহির করিয়া লও, তবে আমার মুখস্বরূপ হইবে; উহারা তোমার কাছে ফিরিয়া আসিবে, কিন্তু তুমি উহাদের কাছে ফিরিয়া যাইবে না। 20 আর আমি এই জাতির কাছে তোমাকে পিত্তলের দৃঢ় প্রাচীরস্বরূপ করিব; তাহারা তোমার সহিত যুদ্ধ করিবে, কিন্তু তোমাকে পরাভব করিতে পারিবে না, কেননা তোমার ত্রাণের ও তোমার উদ্ধারের জন্য আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি, ইহা সদাপ্রভু কহেন। 21 আর আমি দুষ্টদের হস্ত হইতে তোমাকে উদ্ধার করিব, দুর্দ্দান্তদের করতল হইতে তোমাকে মুক্ত করিব।
1 তখন সদাপ্রভু আমাকে কহিলেন, যদ্যপি মোশি ও শমূয়েল আমার সম্মুখে দাঁড়াইত, তথাপি আমার প্রাণ এই জাতির অনুকূল হইত না; তুমি আমার সম্মুখ হইতে তাহাদিগকে বিদায় কর, তাহারা চলিয়া যাউক। .::. 2 আর যদি তাহারা তোমাকে বলে, কোথায় চলিয়া যাইব? তবে তাহাদিগকে বলিও, সদাপ্রভু এই কথা কহেন, মৃত্যুর পাত্র মৃত্যুর স্থানে, খড়্‌গের পাত্র খড়্‌গের স্থানে, দুর্ভিক্ষের পাত্র দুর্ভিক্ষের স্থানে, ও বন্দিত্বের পাত্র বন্দিত্বের স্থানে গমন করুক। .::. 3 সদাপ্রভু কহেন, আমি চারি জাতিকে তাহাদের উপরে নিযুক্ত করিব; বধ করিবার জন্য খড়্‌গ, টানাটানি করিবার জন্য কুকুর, ভক্ষণ ও বিনাশ করিবার জন্য আকাশের পক্ষী ও ভূমির পশু। .::. 4 আর আমি এমন করিব যে তাহারা পৃথিবীর সমস্ত রাজ্যে ভাসিয়া বেড়াইবে; যিহূদার রাজা হিষ্কিয়ের পুত্র মনঃশির নিমিত্ত, যিরূশালেমে কৃত তাহার কার্য্যের নিমিত্ত ইহা করিব। .::. 5 হে যিরূশালেম, কে তোমাকে দয়া করিবে? কেই বা তোমার নিমিত্ত বিলাপ করিবে? কেই বা তোমার মঙ্গল জিজ্ঞাসা করিতে আসিবে? .::. 6 সদাপ্রভু কহেন, তুমিই আমাকে ত্যাগ করিয়াছ, তুমি পিছাইয়া পড়িয়াছ, এই জন্য আমি তোমার বিরুদ্ধে আপন হস্ত বিস্তার করিয়া তোমাকে নষ্ট করিয়াছি; আমি ক্ষমা করিতে করিতে ক্লান্ত হইলাম। .::. 7 আমি তাহাদিগকে দেশের পুরদ্বার সমূহে কুলাতে করিয়া ঝাড়িয়াছি, তাহাদিগকে সন্তান-বিরহিত করিয়াছি, আমার প্রজাগণকে বিনষ্ট করিয়াছি, তাহারা আপনাদের পথ হইতে ফিরে নাই। .::. 8 তাহাদের বিধবা সকল আমার সম্মুখে সমুদ্রের বালি হইতেও বহুসংখ্যক হইয়াছে; আমি তাহাদের কাছে যুকবগণের জননীর বিরুদ্ধে মধ্যাহ্নকালে বিনাশক এক জনকে আনিয়াছি, অকস্মাৎ তাহার প্রতি দুঃখ ও বিহ্বলতা উপস্থিত করিয়াছি। .::. 9 সপ্তপ্রসূতা ক্ষীণা হইয়াছে, প্রাণত্যাগ করিয়াছে, দিন থাকিতে তাহার সূর্য্য অস্তগমন করিয়াছে, সে লজ্জিতা ও হতাশা হইয়াছে; আর আমি তাহাদের অবশিষ্টাংশকেও শত্রুদের সম্মুখে খড়্‌গে সমর্পণ করিব, ইহা সদাপ্রভু কহেন। .::. 10 হায়! হায়! মা আমার, আমি সমস্ত পৃথিবীর বিরোধের ও বিবাদের পাত্র, তুমি আমাকে কেন প্রসব করিয়াছ? আমি ত কাহাকেও সুদের জন্য ঋণ দিই নাই, আমাকেও কেহ দেয় নাই, তথাপি সকলে আমাকে শাপ দিতেছে। .::. 11 সদাপ্রভু কহিলেন, আমি নিশ্চয়ই তোমাকে মুক্ত করিয়া তোমার মঙ্গল করিব; নিশ্চয়ই শত্রুগণকে সঙ্কটকালে ও দুর্দ্দশার সময়ে তোমার কাছে বিনতি করাইব। .::. 12 লৌহ, উত্তর দেশীয় লৌহ ও পিত্তল কি ভাঙ্গিতে পারা যায়? .::. 13 আমি তোমার ঐশ্বর্য্য ও ধনকোষ সকল লুটদ্রব্য করিয়া বিনামূল্যে বিতরণ করিব; তোমার পাপসমূহের জন্য তোমার সীমার সর্ব্বত্রই *করিব .::. 14 আর তোমার শত্রুগণের দ্বারা তোমার অজ্ঞাত এক দেশে তাহা লইয়া যাইব; কেননা আমার ক্রোধে অগ্নি প্রজ্বলিত হইল, তাহা তোমাদের উপরে জ্বলিয়া উঠিবে। .::. 15 হে সদাপ্রভু, তুমিই জ্ঞাত আছ; আমাকে স্মরণ কর, আমার তত্ত্বানুসন্ধান কর, আমার তাড়নাকারীদিগকে অন্যায়ের প্রতিশোধ দেও, তোমার দীর্ঘসহিষ্ণুতায় আমাকে হরণ করিও না; জানিও আমি তোমার নিমিত্ত টিট্‌কারি সহ্য করিয়াছি। .::. 16 তোমার বাক্য সকল পাওয়া গেল, আর আমি সেগুলি ভক্ষণ করিলাম, তোমার বাক্য সকল আমার আমোদ ও চিত্তের হর্ষজনক ছিল; কেননা হে সদাপ্রভু, বাহিনীগণের ঈশ্বর, আমার উপরে তোমার নাম কীর্ত্তিত। .::. 17 আমি পরিহাসকারীদের সভাতে বসি নাই, উল্লাস করি নাই; তোমার হস্ত প্রযুক্ত একাকী বসিতাম, কেননা তুমি আমাকে ক্রোধে পূর্ণ করিয়াছ। .::. 18 আমার যাতনা নিত্যস্থায়ী ও আমার ক্ষত অপ্রতিকার্য্য কেন? তাহা চিকিৎসা অগ্রাহ্য করিতেছে। তুমি কি আমার কাছে মিথ্যা স্রোতের ও অস্থায়ী জলের ন্যায় হইবে? .::. 19 অতএব সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তুমি যদি ফিরিয়া আইস, তবে আমি তোমাকে ফিরাইয়া আনিব, তুমি আমার সাক্ষাতে দাঁড়াইবে; এবং যদি অপকৃষ্ট বস্তু হইতে কাঞ্চন বাহির করিয়া লও, তবে আমার মুখস্বরূপ হইবে; উহারা তোমার কাছে ফিরিয়া আসিবে, কিন্তু তুমি উহাদের কাছে ফিরিয়া যাইবে না। .::. 20 আর আমি এই জাতির কাছে তোমাকে পিত্তলের দৃঢ় প্রাচীরস্বরূপ করিব; তাহারা তোমার সহিত যুদ্ধ করিবে, কিন্তু তোমাকে পরাভব করিতে পারিবে না, কেননা তোমার ত্রাণের ও তোমার উদ্ধারের জন্য আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি, ইহা সদাপ্রভু কহেন। .::. 21 আর আমি দুষ্টদের হস্ত হইতে তোমাকে উদ্ধার করিব, দুর্দ্দান্তদের করতল হইতে তোমাকে মুক্ত করিব। .::.
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 1  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 2  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 3  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 4  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 5  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 6  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 7  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 8  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 9  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 10  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 11  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 12  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 13  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 14  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 15  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 16  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 17  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 18  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 19  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 20  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 21  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 22  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 23  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 24  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 25  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 26  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 27  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 28  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 29  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 30  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 31  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 32  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 33  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 34  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 35  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 36  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 37  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 38  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 39  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 40  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 41  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 42  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 43  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 44  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 45  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 46  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 47  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 48  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 49  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 50  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 51  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 52  
×

Alert

×

Bengali Letters Keypad References