1 পরে ঐ তিন জন ইয়োবকে উত্তর দিতে ক্ষান্ত হইলেন, কারণ তিনি নিজের দৃষ্টিতে আপনাকে ধার্ম্মিক মনে করিয়াছিলেন।2 তখন রাম গোষ্ঠীজাত বূষীয় বারখেলের পুত্র ইলীহূর ক্রোধ প্রজ্বলিত হইল; ইয়োবের প্রতি তাঁহার ক্রোধ প্রজ্বলিত হইল, কারণ তিনি ঈশ্বর অপেক্ষা আপনাকে ধার্ম্মিক জ্ঞান করিয়াছিলেন।3 আবার তাঁহার তিন জন বন্ধুর প্রতি তাঁহার ক্রোধ প্রজ্বলিত হইল, কারণ তাঁহারা উত্তর করিতে না পারিয়াও ইয়োবকে দোষী করিয়াছিলেন।4 ইলীহূর বয়ঃক্রম অপেক্ষা তাঁহাদের সকলের বয়ঃক্রম অধিক ছিল, তাই তিনি ইয়োবের কাছে কথা কহিবার জন্য অপেক্ষা করিয়াছিলেন।5 পরে ঐ তিন ব্যক্তির মুখে আর উত্তর নাই দেখিয়া ইলীহূর ক্রোধ প্রজ্বলিত হইল।6 আর বূষীয় বারখেলের পুত্র ইলীহূ এই কথা বলিলেন, আমি যুবক, আর আপনারা প্রাচীন, তাই সঙ্কুচিত ছিলাম, আপনাদের কাছে আপন মত প্রকাশ করিতে ভয় করিলাম।7 আমি কহিলাম, বয়সই কথা বলুক, বৎসরের বাহুল্যই প্রজ্ঞা শিক্ষা দিউক।8 কিন্তু মানুষের মধ্যে আত্মা আছে, সর্ব্বশক্তিমানের নিঃশ্বাস তাহাদিগকে বিবেচক করে।9 মহতেরাই যে জ্ঞানবান, তাহা নয়, প্রাচীনেরাই যে বিচার বুঝেন, তাহাও নয়।10 অতএব আমি বলি, আমার কথা শুনুন, আমিও আপন মত প্রকাশ করি।11 দেখুন, আমি আপনাদের কথার অপেক্ষা করিয়াছি; আপনাদের হেতুবাদে কাণ দিয়াছি, যাবৎ আপনারা কি বলিবেন, খুঁজিতেছিলেন।12 আমি আপনাদের কথায় নিবিষ্টমনা ছিলাম, কিন্তু দেখুন, আপনাদের মধ্যে কেহই ইয়োবের দোষ ব্যক্ত করেন নাই, তাঁহার কথার উত্তর দেন নাই।13 তবে বলিবেন না, আমরা জ্ঞান পাইয়াছি; উহাঁকে পরাস্ত করা ঈশ্বরেরই সাধ্য, মনুষ্যের অসাধ্য।14 ফলে, তিনি আমার বিরুদ্ধে কিছুই বলেন নাই, আমিও আপনাদের বক্তৃতায় তাঁহাকে উত্তর দিব না।15 উহাঁরা ক্ষুব্ধ হইলেন, আর উত্তর করেন না, উহাঁদের বলিবার আর কথা নাই।16 আর কেন অপেক্ষা করিব? উহাঁরা ত কিছুই বলেন না, উহাঁরা স্থগিত হইলেন, কিছু উত্তর করেন না।17 আমিও যথাসাধ্য উত্তর করিব, আমিও আপন মত প্রকাশ করিব।18 কেননা আমি কথায় পরিপূর্ণ, আমার অন্তরস্থ আত্মা আমাকে প্রবর্ত্তনা করিতেছে।19 দেখুন, আমার উদর বদ্ধ দ্রাক্ষারসের মত, তাহা নূতন কুপার ন্যায় ফাটিয়া যায় যায় হইয়াছে।20 আমি কথা কহিব, কহিলে উপশম পাইব, আমি ওষ্ঠাধর খুলিয়া উত্তর করিব।21 আমি কোন লোকের মুখাপেক্ষাও করিব না, কোন মনুষ্যের চাটুবাদ করিব না।22 কেননা আমি চাটুবাদ করিতে জানি না, করিলে আমার নির্ম্মাতা শীঘ্রই আমাকে সংহার করিবেন।