2. যিরূশালেমকে চিত্ততোষক কথা বল; আর তাহার নিকটে ইহা প্রচার কর যে, তাহার সৈন্যবৃত্তি সমাপ্ত হইয়াছে, তাহার অপরাধের ক্ষমা হইয়াছে; তাহার যত পাপ, তাহার দ্বিগুণ ফল সে সদাপ্রভুর হস্ত হইতে পাইয়াছে।
|
3. এক জনের রব, সে ঘোষণা করিতেছে, ‘তোমরা প্রান্তরে সদাপ্রভুর পথ প্রস্তুত কর, মরুভূমিতে আমাদের ঈশ্বরের জন্য রাজপথ সরল কর।
|
4. প্রত্যেক উপত্যকা উচ্চীকৃত হইবে, প্রত্যেক পর্ব্বত ও উপপর্ব্বত নিম্ন করা যাইবে; বক্র স্থান সরল হইবে, উচ্চনীচ ভূমি সমস্থলী হইবে;
|
5. আর সদাপ্রভুর প্রতাপ প্রকাশ পাইবে, আর সমস্ত মর্ত্ত্য একসঙ্গে তাহা দেখিবে, কারণ সদাপ্রভুর মুখ ইহা বলিয়াছে।’
|
6. এক জনের রব, সে বলিতেছে, ‘ঘোষণা কর,’ এক জন কহিল, ‘কি ঘোষণা করিব?’ ‘মর্ত্ত্যমাত্র তৃণস্বরূপ, তাহার সমস্ত কান্তি ক্ষেত্রস্থ পুষ্পের তুল্য।
|
7. তৃণ শুষ্ক হইয়া যায়, পুষ্প ম্লান হইয়া পড়ে, কারণ তাহার উপরে সদাপ্রভুর নিঃশ্বাস বহে; সত্যই লোকেরা তৃণস্বরূপ।
|
9. হে সিয়োনের কাছে সুসমাচার-প্রচারকারিণি! উচ্চ পর্ব্বতে আরোহণ কর; হে যিরূশালেমের কাছে সুসমাচার-প্রচারকারিণি! সবলে উচ্চৈঃস্বর কর, উচ্চৈঃস্বর কর, ভয় করিও না; যিহূদার নগর সকলকে বল, দেখ, তোমাদের ঈশ্বর!
|
10. দেখ, প্রভু সদাপ্রভু সপরাক্রমে আসিতেছেন, তাঁহার বাহু তাঁহার জন্য কর্ত্তৃত্ব করে; দেখ, তাঁহার সঙ্গে তাঁহার দাতব্য বেতন আছে, তাঁহার অগ্রে তাঁহার দাতব্য পুরস্কার আছে।
|
11. তিনি মেষপালকের ন্যায় আপন পাল চরাইবেন, তিনি শাবকদিগকে বাহুতে সংগ্রহ করিবেন, এবং কোলে করিয়া বহন করিবেন; দুগ্ধবতী সকলকে তিনি ধীরে ধীরে চালাইবেন।
|
12. কে আপন করতলে জলরাশি মাপিয়াছে, বিঘত দিয়া আকাশমণ্ডল পরিমাণ করিয়াছে, পৃথিবীর ধূলা পালিতে ভরিয়াছে, পাল্লাতে পর্ব্বতগণকে, ও নিক্তিতে উপপর্ব্বতগণকে তৌল করিয়াছে?
|
14. তিনি কাহার কাছে মন্ত্রণা গ্রহণ করিয়াছেন? কে তাঁহাকে বুদ্ধি দিয়াছে, ও বিচারপথ দেখাইয়াছে, তাঁহাকে জ্ঞান শিক্ষা দিয়াছে, ও বিবেচনার মার্গ জানাইয়াছে?
|
15. দেখ, জাতিগণ কলসের একটী জলবিন্দুর তুল্য, আর পাল্লাতে লগ্ন ধূলিকণার ন্যায় গণ্য; দেখ, তিনি দ্বীপ সকলকে একটী পরমাণুর ন্যায় তুলেন।
|
19. শিল্পকর প্রতিমা ছাঁচে ঢালে, স্বর্ণকার তাহা স্বর্ণপত্রে মোড়ে, ও তাহার নিমিত্ত রৌপ্যের শৃঙ্খল প্রস্তুত করে।
|
20. যে ব্যক্তি এইরূপ উপহার দিতে পারে না, সে দুষ্পচ্য কোন কাষ্ঠ মনোনীত করে; আপনার জন্য এক জন বিজ্ঞ শিল্পকর খুঁজে, যেন সে এমন একটী প্রতিমা প্রস্তুত করে, যাহা টলিবে না।
|
21. তোমরা কি জ্ঞাত হও নাই? তোমরা কি শুন নাই? আদি অবধি কি তোমাদিগকে সংবাদ দেওয়া হয় নাই? পৃথিবীর পত্তনাবধি তোমরা কি বুঝ নাই?
|
22. তিনিই পৃথিবীর সীমাচক্রের উপরে উপবিষ্ট; তন্নিবাসিগণ ফড়িঙ্গস্বরূপ; তিনি চন্দ্রাতপের ন্যায় আকাশমণ্ডল বিস্তার করেন, বাসতাম্বুর ন্যায় তাহা টাঙ্গাইয়া দেন।
|
24. তাহারা রোপিত হয় নাই, তাহারা উপ্ত হয় নাই, ভূমিতে তাহাদের কাণ্ড বদ্ধমূল হয় নাই, অমনি তিনি তাহাদের উপরে ফুৎকার দেন, তাহারা শুকাইয়া যায়, ঘূর্ণবায়ু তাহাদিগকে নাড়ার ন্যায় উড়াইয়া দেয়।
|
26. ঊর্দ্ধদিকে চক্ষু তুলিয়া দেখ, ঐ সকলের সৃষ্টি কে করিয়াছে? তিনি বাহিনীর ন্যায় সংখ্যানুসারে তাহাদিগকে বাহির করিয়া আনেন, সকলের নাম ধরিয়া তাহাদিগকে আহ্বান করেন; তাঁহার সামর্থ্যের আধিক্য ও শক্তির প্রাবল্য প্রযুক্ত তাহাদের একটাও অনুপস্থিত থাকে না।
|
27. যে যাকোব, তুমি কেন কহিতেছ, হে ইস্রায়েল, কেন তুমি বলিতেছ, আমার পথ সদাপ্রভু হইতে লুক্কায়িত, আমার বিচার আমার ঈশ্বর হইতে সরিয়া গিয়াছে? তুমি কি জ্ঞাত হও নাই?
|
28. তুমি কি শুন নাই? অনাদি অনন্ত ঈশ্বর, সদাপ্রভু, পৃথিবীর প্রান্ত সকলের সৃষ্টিকর্ত্তা ক্লান্ত হন না, শ্রান্ত হন না; তাঁহার বুদ্ধির অনুসন্ধান করা যায় না।
|
31. কিন্তু যাহারা সদাপ্রভুর অপেক্ষা করে, তাহারা উত্তরোত্তর নূতন শক্তি পাইবে; তাহারা ঈগল পক্ষীর ন্যায় পক্ষসহকারে ঊর্দ্ধে উঠিবে; তাহারা দৌড়িলে শ্রান্ত হইবে না; তাহারা গমন করিলে ক্লান্ত হইবে না।
|