1. আর সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন,
2. তুমি ইস্রায়েল-সন্তানগণকে কহ, তাহাদিগকে বল, তোমরা সদাপ্রভুর যে সকল পর্ব্ব পবিত্র সভা বলিয়া ঘোষণা করিবে, আমার সেই সকল পর্ব্ব এই।
3. ছয় দিন কার্য্য করিতে হইবে, কিন্তু সপ্তম দিবসে বিশ্রামার্থক বিশ্রামপর্ব্ব, পবিত্র সভা হইবে, তোমরা কোন কার্য্য করিবে না; সে দিন তোমাদের সকল নিবাসে সদাপ্রভুর উদ্দেশে বিশ্রামদিন।
4. তোমরা নিরূপিত সময়ে যে সকল পবিত্র সভা ঘোষণা করিবে, সদাপ্রভুর সেই সকল পর্ব্ব এই।
5. প্রথম মাসে, মাসের চতুর্দ্দশ দিবস সন্ধ্যাকালে সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিস্তারপর্ব্ব হইবে।
6. এবং সেই মাসের পঞ্চদশ দিবসে সদাপ্রভুর উদ্দেশে তাড়ীশূন্য রুটীর উৎসব হইবে; তোমরা সাত দিন তাড়ীশূন্য রুটী ভোজন করিবে।
7. প্রথম দিবসে তোমাদের পবিত্র সভা হইবে; তোমরা কোন শ্রমসাধ্য কর্ম্ম করিবে না।
8. কিন্তু সাত দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহার নিবেদন করিবে; সপ্তম দিবসে পবিত্র সভা হইবে; তোমরা কোন শ্রমসাধ্য কর্ম্ম করিবে না।
9. আর সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন,
10. তুমি ইস্রায়েল-সন্তানগণকে কহ, তাহাদিগকে বল, আমি তোমাদিগকে যে দেশ দিব, সেই দেশে প্রবিষ্ট হইয়া তোমরা যখন তদুৎপন্ন শস্য ছেদন করিবে, তখন তোমাদের কাটা শস্যের অগ্রিমাংশ বলিয়া এক আটি যাজকের নিকটে আনিবে।
11. সে সদাপ্রভুর সম্মুখে ঐ আটি দোলাইবে, যেন তোমাদের জন্য তাহা গ্রাহ্য হয়; বিশ্রামবারের পরদিন যাজক তাহা দোলাইবে।
12. আর যে দিন তোমরা ঐ আটি দোলাইবে, সে দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশে হোমার্থে একবর্ষীয় নির্দ্দোষ এক মেষশাবক উৎসর্গ করিবে।
13. তাহার ভক্ষ্য-নৈবেদ্য [এক ঐফার] দুই দশমাংশ তৈল মিশ্রিত সূক্ষ্ম সূজি; তাহা সদাপ্রভুর উদ্দেশে সৌরভার্থক অগ্নিকৃত উপহার হইবে; ও তাহার পেয় নৈবেদ্য এক হিন দ্রাক্ষারসের চতুর্থাংশ হইবে।
14. আর তোমরা যাবৎ আপন ঈশ্বরের উদ্দেশে এই উপহার না আন, সেই দিন পর্য্যন্ত রুটী কি ভাজা শস্য কি তাজা শীষ ভোজন করিবে না; তোমাদের সকল নিবাসে ইহা পুরুষানুক্রমে পালনীয় সকল চিরস্থায়ী বিধি।
15. আর সেই বিশ্রামবারের পরদিন হইতে, দোলনীয় নৈবেদ্যরূপ আটি আনিবার দিন হইতে, তোমরা পূর্ণ সাত বিশ্রামবার গণনা করিবে।
16. এইরূপে সপ্তম বিশ্রামবারের পরদিন পর্য্যন্ত তোমরা পঞ্চাশ দিবস গণনা করিয়া সদাপ্রভুর উদ্দেশে নূতন ভক্ষ্যের উপহার নিবেদন করিবে।
17. তোমরা আপন আপন নিবাস হইতে দোলনীয় নৈবেদ্যার্থে [এক ঐফার] দুই দশমাংশের দুই খান রুটী আনিবে; সূক্ষ্ম সূজি দ্বারা তাহা প্রস্তুত করিও, ও তাড়ীতে পাক করিও; তাহা সদাপ্রভুর উদ্দেশে আশুপক্বাংশ হইবে।
18. আর তোমরা সেই রুটীর সহিত একবর্ষীয় নির্দ্দোষ সাত মেষশাবক, এক যুব বৃষ ও দুই মেষ উৎসর্গ করিবে; তাহা সদাপ্রভুর উদ্দেশে হোমবলি হইবে, এবং তৎসম্বন্ধীয় ভক্ষ্য-নৈবেদ্যের ও পেয় নৈবেদ্যের সহিত সদাপ্রভুর উদ্দেশে সৌরভার্থক অগ্নিকৃত উপহার হইবে।
19. পরে তোমরা পাপার্থক বলির জন্য এক ছাগবৎস, ও মঙ্গলার্থক বলির জন্য একবর্ষীয় দুই মেষশাবক বলিদান করিবে।
20. আর যাজক ঐ আশুপক্বাংশের রুটীর সহিত ও দুই মেষশাবকের সহিত সদাপ্রভুর উদ্দেশে দোলনীয় নৈবেদ্যরূপে তাহাদিগকে দোলাইবে; সে সকল যাজকের জন্য সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র হইবে।
21. আর সেই দিনেই তোমরা ঘোষণা করিবে; তোমাদের পবিত্র সভা হইবে তোমরা কোন শ্রমসাধ্য কর্ম্ম করিবে না; ইহা তোমাদের সকল নিবাসে পুরুষানুক্রমে পালনীয় চিরস্থায়ী বিধি।
22. আর তোমাদের ভূমির শস্য ছেদন কালে তোমরা কেহ আপন ক্ষেত্রের কোণস্থ শস্য নিঃশেষে ছেদন করিবে না, ও আপন শস্য ছেদনের পরে পতিত শস্য সংগ্রহ করিবে না; তাহা দুঃখী ও বিদেশীর জন্য ত্যাগ করিবে; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
23. আর সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন,
24. তুমি ইস্রায়েল-সন্তানগণকে বল, সপ্তম মাসে, সেই মাসের প্রথম দিনে তোমাদের বিশ্রামপর্ব্ব এবং তূরীধ্বনিসহযুক্ত স্মরণার্থক পবিত্র সভা হইবে।
25. তোমরা কোন শ্রমসাধ্য কর্ম্ম করিবে না, কিন্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহার উৎসর্গ করিবে।
26. আর সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন,
27. আবার ঐ সপ্তম মাসের দশম দিন প্রায়শ্চিত্তদিন; সেই দিন তোমাদের পবিত্র সভা হইবে, ও তোমরা আপন আপন প্রাণকে দুঃখ দিবে, এবং সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহার উৎসর্গ করিবে।
28. আর সেই দিন তোমরা কোন কার্য্য করিবে না; কেননা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সম্মুখে তোমাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করণার্থে তাহা প্রায়শ্চিত্তদিন হইবে।
29. সেই দিন যে কেহ আপন প্রাণকে দুঃখ না দেয়, সে আপন লোকদের মধ্য হইতে উচ্ছিন্ন হইবে।
30. আর সেই দিন যে কোন প্রাণী কোন কার্য্য করে, তাহাকে আমি তাহার লোকদের মধ্য হইতে উচ্ছিন্ন করিব।
31. তোমরা কোন কার্য্য করিও না; ইহা তোমাদের সমস্ত নিবাসে পুরুষানুক্রমে পালনীয় চিরস্থায়ী বিধি।
32. সেই দিন তোমাদের বিশ্রামার্থক বিশ্রামদিন হইবে, আর তোমরা আপন আপন প্রাণকে দুঃখ দিবে; মাসের নবম দিবস সন্ধ্যাকালে, এক সন্ধ্যা অবধি অপর সন্ধ্যা পর্য্যন্ত, আপনাদের বিশ্রামদিন পালন করিবে।
33. আর সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন,
34. তুমি ইস্রায়েল-সন্তানগণকে বল, ঐ সপ্তম মাসের পঞ্চদশ দিবসাবধি সাত দিন পর্য্যন্ত সদাপ্রভুর উদ্দেশে কুটীরোৎসব হইবে।
35. প্রথম দিবসে পবিত্র সভা হইবে; তোমরা কোন শ্রমসাধ্য কর্ম্ম করিবে না।
36. সাত দিন তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহার উৎসর্গ করিবে; পরে অষ্টম দিবসে তোমাদের পবিত্র সভা হইবে; আর তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহার উৎসর্গ করিবে; এটী পর্ব্বসভা; তোমরা কোন শ্রমসাধ্য কর্ম্ম করিবে না।
37. এই সকল সদাপ্রভুর পর্ব্ব। এই সকল পর্ব্ব তোমরা পবিত্র সভা বলিয়া ঘোষণা করিবে, এবং প্রতিদিন যেমন কর্ত্তব্য, তদনুসারে সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহার, হোমবলি, ভক্ষ্য-নৈবেদ্য এবং বলি ও পেয় নৈবেদ্য উৎসর্গ করিবে।
38. সদাপ্রভুর বিশ্রামদিন হইতে, সদাপ্রভুর উদ্দেশে দাতব্য তোমাদের দান হইতে, তোমাদের সমস্ত মানত হইতে ও তোমাদের স্ব ইচ্ছায় দত্ত সমস্ত নৈবেদ্য হইতে এই সকল ভিন্ন।
39. আবার সপ্তম মাসের পঞ্চদশ দিবসে ভূমির ফল সংগ্রহ করিলে পর তোমরা সাত দিন সদাপ্রভুর উৎসব পালন করিবে; প্রথম দিবস বিশ্রামপর্ব্ব ও অষ্টম দিবস বিশ্রামপর্ব্ব হইবে।
40. আর প্রথম দিবসে তোমরা শোভাদায়ক বৃক্ষের ফল, খর্জ্জুর-পত্র, জড়ান গাছের শাখা এবং নদীতীরস্থ বাইসী-বৃক্ষ লইয়া তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সম্মুখে সাত দিন আনন্দ করিবে।
41. আর তোমরা বৎসরের মধ্যে সাত দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশে সেই উৎসব পালন করিবে; ইহা তোমাদের পুরুষানুক্রমে পালনীয় চিরস্থায়ী বিধি; সপ্তম মাসে তোমরা সেই উৎসব পালন করিবে।
42. তোমরা সাত দিন কুটীরে বাস করিও; ইস্রায়েল-বংশজাত সকলে কুটীরে বাস করিবে।
43. ইহাতে তোমাদের ভাবী বংশ জানিতে পারিবে যে, আমি ইস্রায়েল-সন্তানগণকে মিসর দেশ হইতে বাহির করিয়া আনিয়া কুটীরে বাস করাইয়াছিলাম; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
44. তখন মোশি ইস্রায়েল-সন্তানগণের কাছে সদাপ্রভুর পর্ব্বগুলির কথা কহিলেন।