1. অতএব আমাদের ভয় থাকা উচিত, পাছে তাঁহার বিশ্রামে প্রবেশ করিবার প্রতিজ্ঞা থাকিয়া গেলেও এমন বোধ হয় যে, তোমাদের কেহ তাহা হইতে বঞ্চিত হইয়াছে।
2. কেননা যেরূপ উহাদের নিকটে তদ্রূপ আমাদের নিকটেও সুসমাচার প্রচারিত হইয়াছিল বটে, তথাপি সেই শ্রুত বাক্যে উহাদের কোন ফল দর্শিল না, কারণ শ্রোতাদের কাছে তাহা বিশ্বাসের সহিত মিশ্রিত ছিল না।
3. বাস্তবিক বিশ্বাস করিয়াছি যে আমরা, আমরা সেই বিশ্রামে প্রবেশ করিতে পাইতেছি; যেমন তিনি বলিয়াছেন, “তখন আমি আপন ক্রোধে এই শপথ করিলাম, ইহারা আমার বিশ্রামে প্রবেশ করিবে না,” যদিও তাঁহার কর্ম্ম জগতের পত্তনাবধি সমাপ্ত ছিল।
4. কেননা তিনি এক স্থানে সপ্তম দিনের বিষয়ে এইরূপ বলিয়াছিলেন, “এবং সপ্তম দিনে ঈশ্বর আপনার সমস্ত কর্ম্ম হইতে বিশ্রাম করিলেন।”
5. আবার এই স্থানে তিনি কহেন, “ইহারা আমার বিশ্রামে প্রবেশ করিবে না।”
6. অতএব বাকী রহিল এই যে, কতকগুলি লোক বিশ্রামে প্রবেশ করিবে, আর যাহাদের নিকটে সুসমাচার অগ্রে প্রচারিত হইয়াছিল, তাহারা অবাধ্যতা প্রযুক্ত প্রবেশ করিতে পায় নাই;
7. আবার তিনি পুনরায় এক দিন নিরূপণ করিয়া দায়ূদ-গ্রন্থে এত কালের পর বলেন, “অদ্য,” যেমন পূর্ব্বে বলা হইয়াছে, “অদ্য যদি তোমরা তাঁহার রব শ্রবণ কর, তবে আপন আপন হৃদয় কঠিন করিও না।”
8. বস্তুতঃ যিহোশূয় যদি তাহাদিগকে বিশ্রাম দিতেন, তবে ঈশ্বর তৎপরে অন্য দিনের কথা কহিতেন না।
9. সুতরাং ঈশ্বরের প্রজাদের নিমিত্ত বিশ্রামকালের ভোগ বাকী রহিয়াছে।
10. ফলতঃ যেরূপ ঈশ্বর আপন কর্ম্ম হইতে বিশ্রাম করিয়াছিলেন, তেমনি যে ব্যক্তি তাঁহার বিশ্রামে প্রবেশ করিয়াছে, সেও আপনার কর্ম্ম হইতে বিশ্রাম করিতে পাইল।
11. অতএব আইস, আমরা সেই বিশ্রামে প্রবেশ করিতে যত্ন করি, যেন কেহ অবাধ্যতার সেই দৃষ্টান্ত অনুসারে পতিত না হয়।
12. কেননা ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত ও কার্য্যসাধক, এবং সমস্ত দ্বিধার খড়্গ অপেক্ষা তীক্ষ্ণ, এবং প্রাণ ও আত্মা, গ্রন্থি ও মজ্জা, এই সকলের বিভেদ পর্য্যন্ত মর্ম্মবেধী, এবং হৃদয়ের চিন্তা ও বিবেচনার সূক্ষ্ম বিচারক;
13. আর তাঁহার সাক্ষাতে কোন সৃষ্ট বস্তু অপ্রকাশিত নয়; কিন্তু তাঁহার চক্ষুর্গোচরে সকলই নগ্ন ও অনাবৃত রহিয়াছে, যাঁহার কাছে আমাদিগকে নিকাশ দিতে হইবে।
14. ভাল, আমরা এক মহান্ মহাযাজককে পাইয়াছি, যিনি স্বর্গ সকল দিয়া গমন করিয়াছেন, তিনি যীশু, ঈশ্বরের পুত্র; অতএব আইস, আমরা ধর্ম্মপ্রতিজ্ঞাকে দৃঢ়রূপে ধারণ করি।
15. কেননা আমরা এমন মহাযাজককে পাই নাই, যিনি আমাদের দুর্ব্বলতাঘটিত দুঃখে দুঃখিত হইতে পারেন না, কিন্তু তিনি সর্ব্ববিষয়ে আমাদের ন্যায় পরীক্ষিত হইয়াছেন, বিনা পাপে।
16. অতএব আইস, আমরা সাহসপূর্ব্বক অনুগ্রহ সিংহাসনের নিকটে উপস্থিত হই, যেন দয়া লাভ করি, এবং সময়ের উপযোগী উপকারার্থে অনুগ্রহ প্রাপ্ত হই।