1. হে সমুদয় জাতি, তোমরা ইহা শ্রবণ কর; জগন্নিবাসিগণ সকলে, কর্ণপাত কর।
2. সামান্য লোকের কি মান্যবান লোকের সন্তান; ধনী কি দরিদ্র, নির্ব্বিশেষে শ্রবণ কর।
3. আমার মুখ প্রজ্ঞার কথা কহিবে, আমার চিত্তের আলোচনা বুদ্ধির ফল হইবে।
4. আমি দৃষ্টান্ত কথায় কর্ণপাত করিব, বীণাযন্ত্রে আপন গূঢ় বাক্যের ব্যাখ্যা করিব।
5. সেই বিপৎকালে আমি কেন ভয় করিব, যখন তাহাদের অপরাধ আমাকে বেষ্টন করে, যাহারা আমাকে বঞ্চনা করে,
6. যাহারা আপনাদের ধনে নির্ভর করে, আপনাদের সম্পত্তিবাহুল্যের শ্লাঘা করে,
7. তাহাদের মধ্যে কেহই কোন মতে ভ্রাতাকে মুক্ত করিতে পারে না, কিম্বা তাহার প্রায়শ্চিত্তের জন্য ঈশ্বরকে কিছু দিতে পারে না,
8. ( কেননা তাহাদের প্রাণের মুক্তি দুর্মূল্য, এবং চিরকালেও অসাধ্য;)
9. যেন সে নিত্যজীবী হয়, যেন সে ক্ষয় না দেখে।
10. কারণ সে দেখে যে, জ্ঞানবানেরা মরে, হীনবুদ্ধি ও পশুবৎ লোক নির্ব্বিশেষে বিনষ্ট হয়, তাহারা অন্যদের জন্য আপনাদের ধন রাখিয়া যায়।
11. তাহাদের আন্তরিক ভাব এই, তাহাদের বাটী চিরস্থায়ী, তাহাদের বাসস্থান পুরুষানুক্রমে থাকিবে, তাহারা স্ব স্ব নামানুসারে ভূমির নাম রাখে।
12. কিন্তু মনুষ্য ঐশ্বর্য্যশালী হইলেও স্থির থাকে না; সে নশ্বর পশুদিগের সদৃশ।
13. এই তাহাদের পথ, তাহাদের হীনবুদ্ধিতা; তথাপি তাহাদের পরে লোকে তাহাদের বাক্যের অনুমোদন করে। সেলা।
14. তাহারা পাতালের জন্য নিযুক্ত মেষপালবৎ, মৃত্যু তাহাদিগকে চরাইবে; সরলগণ প্রভাতে তাহাদের উপরে কর্ত্তৃত্ব করিবে; তাহাদের রূপ পাতালে নষ্ট হইবে, তাহার কোন বসতিস্থান আর থাকিবে না।
15. কিন্তু ঈশ্বর পাতালের হস্ত হইতে আমার প্রাণ মুক্ত করিবেন; কেননা তিনি আমাকে গ্রহণ করিবেন। সেলা।
16. তুমি ভীত হইও না, যখন কেহ ধনবান হয়, যখন তাহার কুলের ঐশ্বর্য্য বৃদ্ধি পায়,
17. কেননা মরণকালে সে কিছুই সঙ্গে লইয়া যাইবে না, তাহার ঐশ্বর্য্য তাহার অনুগমন করিবে না।
18. সে জীবদ্দশায় আপন প্রাণকে আশীর্ব্বাদ করিত; আর তুমি আপনার মঙ্গল করিলে লোকে তোমার স্তব করে।
19. সে আপন পিতৃবংশের কাছে যাইবে, তাহারা দীপ্তির দর্শন কখনও পাইবে না।
20. সে মনুষ্য ঐশ্বর্য্যশালী অথচ অবোধ, সে নশ্বর পশুদিগের সদৃশ।