2. যে স্থানে লোকেরা হোমবলি হনন করে, সেই স্থানে দোষার্থক বলি হনন করিবে, এবং যাজক বেদির উপরে চারিদিকে তাহার রক্ত প্রক্ষেপ করিবে।
|
4. লাঙ্গুল ও আঁতড়িঢাকা মেদ, এবং দুই মেটিয়া ও তদুপরিস্থিত পার্শ্বস্থ মেদ, ও দুই মেটিয়ার সহিত যকৃতের উপরিস্থ অন্ত্রাপ্লাবক ছাড়াইয়া লইবে।
|
6. যাজকগণের মধ্যে সমস্ত পুরুষ তাহা ভোজন করিবে, কোন পবিত্র স্থানে তাহা ভোজন করিতে হইবে; তাহা অতি পবিত্র।
|
7. পাপার্থক বলি যেরূপ, দোষার্থক বলিও সেইরূপ; উভয়েরই এক ব্যবস্থা; যে যাজক তাহা দ্বারা প্রায়শ্চিত্ত করে, তাহা তাহারই হইবে।
|
9. এবং তুন্দুরে কিম্বা কটাহে কিম্বা ভর্জ্জনপাত্রে পক্ব যত ভক্ষ্য-নৈবেদ্য, সে সকল উৎসর্গকারী যাজকের হইবে।
|
12. কেহ যদি স্তবার্থক বলি আনে, তবে সে স্তববলির সহিত তৈলমিশ্রিত তাড়ীশূন্য রুটী, তৈলাক্ত তাড়ীশূন্য সরুচাকলী, তৈলসিক্ত সূক্ষ্ম সূজি ও তৈলাক্ত পিষ্টক নিবেদন করিবে।
|
14. আর সে তাহা হইতে, অর্থাৎ প্রত্যেক উপহার, হইতে, এক একখানি পিষ্টক লইয়া উত্তোলনীয় উপহাররূপে সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিবেদন করিবে; যে যাজক মঙ্গলার্থক বলির রক্ত প্রক্ষেপ করে, সে তাহা পাইবে।
|
15. আর মঙ্গলার্থক স্তববলির মাংস উৎসর্গের দিনেই ভোজন করিতে হইবে; তাহার কিছুই প্রাতঃকাল পর্য্যন্ত রাখিতে হইবে না।
|
16. কিন্তু তাহার উপহারের বলি যদি মানত অথবা স্বেচ্ছাকৃত উপহার হয়, তবে বলি উৎসর্গের দিনে তাহা ভোজন করিতে হইবে, এবং পরদিনেও তাহার অবশিষ্ট অংশ ভোজন করা যাইবে।
|
18. যদি তৃতীয় দিনে তাহার মঙ্গলার্থক বলির কিঞ্চিৎ মাংস ভোজন করা যায়, তবে সেই বলি গ্রাহ্য হইবে না, এবং সেই বলি উৎসর্গকারীর পক্ষে গণ্য হইবে না, তাহা ঘৃণার্হ হইবে; এবং যে জন তাহা ভোজন করে, সে আপন অপরাধ বহন করিবে।
|
19. আর কোন অশুচি বস্তুতে যে মাংস স্পৃষ্ট হয়, তাহা ভক্ষ্য হইবে না, অগ্নিতে পোড়াইয়া দিতে হইবে। অন্য মাংস প্রত্যেক শুচি লোকের খাদ্য।
|
20. কিন্তু যে কেহ অশুচি থাকিয়া সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসৃষ্ট মঙ্গলার্থক বলির মাংস ভোজন করে, সেই প্রাণী আপন লোকদের মধ্য হইতে উচ্ছিন্ন হইবে।
|
21. আর যদি কেহ কোন অশুচি বস্তু, অর্থাৎ মনুষ্যের অশুটি বস্তু কিম্বা অশুচি পশু কিম্বা কোন অশুচি ঘৃণার্হ বস্তু স্পর্শ করিয়া সদাপ্রভু সম্বন্ধীয় মঙ্গলার্থক বলির মাংস ভোজন করে, তবে সেই প্রাণী আপন লোকদের মধ্য হইতে উচ্ছিন্ন হইবে।
|
24. এবং স্বয়ংমৃত কিম্বা পশু দ্বারা বিদীর্ণ পশুর মেদ অন্যান্য কর্ম্মে ব্যবহার করিবে; কিন্তু কোন মতে তাহা ভোজন করিবে না;
|
25. কেননা যে কোন পশু হইতে সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহার উৎসর্গ করা যায়, সেই পশুর মেদ যে কেহ ভোজন করিবে সেই ভোক্তা আপন লোকদের মধ্য হইতে উচ্ছিন্ন হইবে।
|
29. তুমি ইস্রায়েল-সন্তানগণকে বল, যে ব্যক্তি সদাপ্রভুর উদ্দেশে মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গ করে, সেই ব্যক্তি আপন মঙ্গলার্থক বলি হইতে সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিজ উপহার আনিবে।
|
30. ফলতঃ সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহার অর্থাৎ বক্ষের সহিত মেদ স্বহস্তে আনিবে; তাহাতে সেই বক্ষঃ দোলনীয় নৈবেদ্যার্থে সদাপ্রভুর সম্মুখে দোলায়িত হইবে।
|
33. হারোণের পুত্রগণের মধ্যে যে কেহ মঙ্গলার্থক বলির রক্ত ও মেদ উৎসর্গ করে, সে আপন অংশরূপে তাহার দক্ষিণ জঙ্ঘা পাইবে।
|
34. কেননা ইস্রায়েল-সন্তানগণ হইতে আমি মঙ্গলার্থক বলির দোলনীয় নৈবেদ্যার্থে বক্ষঃ ও উত্তোলনীয় নৈবেদ্যার্থে জঙ্ঘা লইয়া ইস্রায়েল-সন্তানগণের দেয় বলিয়া চিরস্থায়ী অধিকাররূপে তাহা হারোণ যাজক ও তাহার পুত্রগণকে দিলাম।
|
35. যে দিনে তাহারা সদাপ্রভুর যাজনকর্ম্ম করিতে নিযুক্ত হয়, সেই দিনাবধি সদাপ্রভুর অগ্নিকৃত উপহার হইতে ইহাই হারোণের ও তাহার পুত্রগণের অভিষেক জন্য অধিকার।
|
36. সদাপ্রভু তাহাদের অভিষেক দিনে পুরুষানুক্রমে ইস্রায়েল-সন্তানগণের দেয় বলিয়া চিরস্থায়ী অধিকাররূপে ইহা তাহাদিগকে দিতে আজ্ঞা করিলেন।
|
37. হোমের, ভক্ষ্য-নৈবেদ্যের, পাপার্থক বলির, দোষার্থক বলির, হস্তপূরণের ও মঙ্গলার্থক বলির এই ব্যবস্থা।
|
38. সদাপ্রভু যে দিন সীনয় প্রান্তরে ইস্রায়েল-সন্তানগণকে সদাপ্রভুর উদ্দেশে আপন আপন উপহার উৎসর্গ করিতে আজ্ঞা দিলেন, সেই দিন সীনয় পর্ব্বতে মোশিকে এই বিষয়ের আজ্ঞা দিলেন।
|