1. আর সদাপ্রভু মোশিকে বলিলেন, আমি ফরৌণের ও মিসরের উপরে আর এক উৎপাত আনিব, তৎপরে সে তোমাদিগকে এ স্থান হইতে ছাড়িয়া দিবে, এবং ছাড়িয়া দিবার সময়ে তোমাদিগকে নিশ্চয়ই এখান হইতে একেবারে তাড়াইয়া দিবে।
|
2. তুমি লোকদের কর্ণগোচরে বল, আর প্রত্যেক পুরুষ আপন আপন প্রতিবাসী হইতে, ও প্রত্যেক স্ত্রী আপন আপন প্রতিবাসিনী হইতে রৌপ্যালঙ্কার ও স্বর্ণালঙ্কার চাহিয়া লউক।
|
3. আর সদাপ্রভু মিস্রীয়দের দৃষ্টিতে লোকদিগকে অনুগ্রহের পাত্র করিলেন। আবার মিসর দেশে মোশি ফরৌণের দাসদের ও প্রজাদের দৃষ্টিতে অতি মহান্ ব্যক্তি হইয়া উঠিলেন।
|
5. তাহাতে সিংহাসনে উপবিষ্ট ফরৌণের প্রথমজাত অবধি যাঁতা পেষণকারিণী দাসীর প্রথমজাত পর্য্যন্ত মিসর দেশস্থিত সকল প্রথমজাত মরিবে, এবং পশুদেরও সকল প্রথমজাত মরিবে।
|
7. কিন্তু সমস্ত ইস্রায়েল-সন্তানের মধ্যে মনুষ্যের কি পশুর বিরুদ্ধে একটা কুকুরও জিহ্বা দোলাইবে না, যেন আপনারা জানিতে পারেন যে, সদাপ্রভু মিস্রীয়দিগেতে ও ইস্রায়েলে প্রভেদ করেন।
|
8. আর আপনার এই দাসেরা সকলে আমার নিকটে নামিয়া আসিবে, ও প্রণিপাত করিয়া আমাকে বলিবে, তুমি ও তোমার অনুগামী সকল প্রজা বাহির হও; তাহার পর আমি বাহির হইব। তখন তিনি মহা ক্রোধভরে ফরৌণের নিকট হইতে বাহিরে গেলেন।
|
9. আর সদাপ্রভু মোশিকে বলিয়াছিলেন, ফরৌণ তোমার কথায় মনোযোগ করিবে না, যেন মিসর দেশে আমার অদ্ভুত লক্ষণ বহুসংখ্যক হয়।
|
10. ফলে মোশি ও হারোণ ফরৌণের সাক্ষাতে এই সকল অদ্ভুত কর্ম্ম করিয়াছিলেন; আর সদাপ্রভু ফরৌণের হৃদয় কঠিন করিলেন, আর তিনি আপন দেশ হইতে ইস্রায়েল-সন্তানদিগকে ছাড়িয়া দিলেন না।
|