1. কিন্তু আত্মা স্পষ্টই বলিতেছেন, উত্তরকালে কতক লোক ভ্রান্তিজনক আত্মাদিগেতে ও ভূতগণের শিক্ষামালায় মন দিয়া বিশ্বাস হইতে সরিয়া পড়িবে।
2. ইহা এমন মিথ্যাবাদীদের কপটতায় ঘটিবে, যাহাদের নিজ সংবেদ তপ্ত লৌহের দাগের মত দাগযুক্ত হইয়াছে।
3. তাহারা বিবাহ নিষেধ করে, এবং বিবিধ খাদ্যের ব্যবহার নিষেধ করে, যাহা যাহা ঈশ্বর এই অভিপ্রায়ে সৃষ্টি করিয়াছেন, যেন, যাহারা বিশ্বাসী ও সত্যের তত্ত্ব জানে, তাহারা ধন্যবাদ-পূর্ব্বক ভোজন করে।
4. বাস্তবিক ঈশ্বরের সৃষ্ট সমস্ত বস্তুই ভাল; ধন্যবাদ সহকারে গ্রহণ করিলে কিছুই অগ্রাহ্য নয়,
5. কেননা ঈশ্বরের বাক্য এবং প্রার্থনা দ্বারা তাহা পবিত্রীকৃত হয়।
6. এই সকল কথা ভ্রাতৃগণকে মনে করাইয়া দিলে তুমি খ্রীষ্ট যীশুর উত্তম পরিচারক হইবে; যে বিশ্বাসের ও উত্তম শিক্ষার অনুসরণ করিয়া আসিতেছ, তাহার বাক্যে পোষিত থাকিবে;
7. কিন্তু ধর্ম্মবিরূপক এবং জরাতুর স্ত্রীলোকের যোগ্য গল্প সকল অগ্রাহ্য কর।
8. আর ভক্তিতে দক্ষ হইতে অভ্যাস কর; কেননা শারীরিক দক্ষতার অভ্যাস অল্প বিষয়ে সুফলদায়ক হয়; কিন্তু ভক্তি সর্ব্ববিষয়ে সুফলদায়িকা, তাহা বর্ত্তমান ও ভবিষ্যৎ জীবনের প্রতিজ্ঞাযুক্ত।
9. এই কথা বিশ্বসনীয় এবং সর্ব্বতোভাবে গ্রহণের যোগ্য;
10. কারণ ইহারই নিমিত্ত আমরা পরিশ্রম ও প্রাণপণ করিতেছি; কেননা যিনি সমস্ত মনুষ্যের, বিশেষতঃ বিশ্বাসীবর্গের ত্রাণকর্ত্তা, আমরা সেই জীবন্ত ঈশ্বরের প্রত্যাশা করিয়া আসিতেছি।
11. তুমি এই সকল বিষয় আজ্ঞা কর ও শিক্ষা দেও।
12. তোমার যৌবন কাহাকেও তুচ্ছ করিতে দিও না; কিন্তু বাক্যে, আচার ব্যবহারে, প্রেমে, বিশ্বাসে, ও শুদ্ধতায় বিশ্বাসিগণের আদর্শ হও।
13. আমি যতদিন না আসি, তুমি পাঠ করিতে এবং প্রবোধ ও শিক্ষা দিতে নিবিষ্ট থাক।
14. তোমার অন্তরস্থ সেই অনুগ্রহ-দান অবহেলা করিও না, যাহা ভাববাণী দ্বারা প্রাচীনবর্গের হস্তার্পণ সহকারে তোমাকে দত্ত হইয়াছে।
15. এ সকল বিষয়ে চিন্তা কর, এ সকলে স্থিতি কর, যেন তোমার উন্নতি সকলের প্রত্যক্ষ হয়।
16. আপনার বিষয়ে ও তোমার শিক্ষার বিষয়ে সাবধান হও, এ সকলে স্থির থাক; কেননা তাহা করিলে তুমি আপনাকে ও যাহারা তোমার কথা শুনে, তাহাদিগকেও পরিত্রাণ করিবে।