1. পরে শূহীয় বিল্দদ উত্তর করিয়া কহিলেন,
2. তুমি কত ক্ষণ এই সকল কহিবে? তোমার মুখের বাক্য প্রচণ্ড ঝটিকাবৎ বহিবে?
3. ঈশ্বর কি বিচারবিরুদ্ধ কর্ম্ম করেন? সর্ব্বশক্তিমান কি ধর্ম্মবিপয্যয় করেন?
4. তোমার সন্তানগণ যদি তাঁহার বিরুদ্ধে পাপ করিয়া থাকে, আর তিনি তাহাদিগকে তাহাদের অধর্ম্মের হস্তে সমর্পণ করিয়া থাকেন,
5. তুমিই যদি সযত্নে ঈশ্বরের অন্বেষণ কর, সর্ব্বশক্তিমানের নিকটে যদি সাধ্যসাধনা কর,
6. যদি নির্ম্মল ও সরল হও, তবে তিনি এখনও তোমার নিমিত্ত জাগিবেন, ও তোমার ধর্ম্মনিবাস শান্তিযুক্ত করিবেন।
7. তাহাতে তব অগ্রিম অবস্থা ক্ষুদ্র বোধ হইবে, তোমার অন্তিম দশা অতিশয় উন্নত হইবে।
8. বিনয় করি, তুমি পূর্ব্বকালীন লোককে জিজ্ঞাসা কর, তাহাদের পিতৃগণের অনুসন্ধান-ফলে মনোযোগ কর।
9. কেননা আমরা কল্যকার লোক কিছুই জানি না; পৃথিবীতে আমাদের আয়ু ছায়াস্বরূপ।
10. উহারা কি তোমাকে শিক্ষা দিবে না, ও তোমাকে বলিবে না? উহাদের অন্তঃকরণ হইতে কি এই বাক্য নিঃসৃত হইবে না?
11. “কর্দ্দম বিনা কি নল বৃদ্ধি পাইতে পারে? খাগ্ড়া কি জল ব্যতিরেকে বাড়িতে পারে?
12. যখন তাহা তেজস্বী থাকে, কাটা না যায়, তখন অন্য সকল তৃণের পূর্ব্বে শুষ্ক হয়।
13. যাহারা ঈশ্বরকে ভুলিয়া যায়, সেই সকলের সেই গতি; পামরের আশা বিনষ্ট হয়।
14. তাহার ভরসা উচ্ছিন্ন হয়, তাহার আশ্রয় মাকড়সার জালমাত্র।
15. সে আপন গৃহে নির্ভর করিবে, কিন্তু তাহা স্থির থাকিবে না, সে শক্ত করিয়া ধরিলেও তাহা থাকিবে না।
16. সে সূর্য্যের সাক্ষাতে সতেজ থাকে, উদ্যানে তাহার কোমল শাখা ব্যাপিয়া যায়।
17. প্রস্তররাশিতে তাহার শিকড় জড়িত হয়, সে পাষাণচয়ের স্থান দেখিতে পায়,
18. তবু যখন সে স্বস্থান হইতে উৎপাটিত হয়, তখন সেই স্থান তাহাকে অস্বীকার করিয়া কহিবে, আমি ত তোমাকে দেখি নাই।
19. দেখ, এই তাহার পথের আমোদ; পরে ধূলি হইতে অন্যেরা উঠিবে।”
20. দেখ, ঈশ্বর সিদ্ধকে নিগ্রহ করেন না, আর তিনি দুরাচারদের হস্ত ধরিয়া রাখেন না।
21. এখনও তিনি তোমার মুখ হাস্যে পূর্ণ করিবেন, তোমার ওষ্ঠাধর হর্ষধ্বনিতে পূর্ণ করিবেন।
22. তোমার বিদ্বেষিগণ লজ্জাপরিহিত হইবে, দুষ্টগণের তাম্বু থাকিবে না।