1. {#1আত্মার মাধ্যমে জীবন } [PS]অতএব, এখন যারা খ্রীষ্ট যীশুতে আছে, তাদের প্রতি কোনও শাস্তি নেই,
2. কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে জীবনের আত্মার যে বিধান, তা আমাকে পাপ ও মৃত্যুর বিধান থেকে মুক্ত করেছে।
3. বিধান রক্তমাংসের[* বা পাপময় প্রকৃতি। ] দ্বারা দুর্বল হওয়াতে যা করতে পারেনি, ঈশ্বর তা করেছেন। তিনি তাঁর নিজ পুত্রকে পাপময় মানবদেহের সাদৃশ্যে পাপার্থক বলিরূপে উৎসর্গ করার জন্য পাঠিয়ে তাই সম্পাদন করেছেন। এভাবে তিনি পাপময় মানুষের রক্তমাংসে পাপের শাস্তি দিলেন,
4. যেন বিধানের ধার্মিক দাবি আমাদের মধ্যে সম্পূর্ণ সিদ্ধ হয়। কারণ আমরা পাপময় প্রকৃতি অনুযায়ী জীবনযাপন করি না কিন্তু আত্মার বশ্যতাধীন হয়ে করি। [PE]
5. [PS]যারা পাপময় প্রকৃতি অনুযায়ী জীবনযাপন করে, সেই প্রকৃতি যা চায়, তার উপর তারা তাদের মনোনিবেশ করে। কিন্তু যারা পবিত্র আত্মার বশে জীবনযাপন করে, তাদের মন পবিত্র আত্মা যা চান, তার প্রতিই নিবিষ্ট থাকে।
6. রক্তমাংসের উপরে নিবদ্ধ মানসিকতার পরিণাম হল মৃত্যু, কিন্তু পবিত্র আত্মার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত মানিসকতা হল জীবন ও শান্তি।
7. রক্তমাংসের মানসিকতা হল ঈশ্বরের বিরুদ্ধে শত্রুতা। তা ঈশ্বরের বিধানের প্রতি বশীভূত থাকে না, আর তেমন করতেও পারে না।
8. যারা রক্তমাংসের স্বভাব দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, তারা ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে পারে না। [PE]
9. [PS]তোমরা অবশ্য রক্তমাংসের দ্বারা নয়, কিন্তু পবিত্র আত্মা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, যদি ঈশ্বরের আত্মা তোমাদের মধ্যে বাস করেন। আর যার মধ্যে খ্রীষ্টের আত্মা নেই, সে খ্রীষ্টের নয়।
10. কিন্তু খ্রীষ্ট যদি তোমাদের মধ্যে থাকেন, পাপের কারণে তোমাদের শরীর মৃত হলেও ধার্মিকতার কারণে তোমাদের আত্মা জীবিত।
11. যিনি যীশুকে মৃতলোক থেকে উত্থাপিত করেছেন, তাঁর আত্মা যদি তোমাদের মধ্যে বাস করেন, তাহলে যিনি খ্রীষ্টকে মৃতলোক থেকে উত্থাপিত করেছেন, তিনি তোমাদের নশ্বর শরীরকেও তাঁর আত্মার মাধ্যমে সঞ্জীবিত করবেন, যিনি তোমাদের অন্তরে বাস করেন। [PE]
12. [PS]অতএব ভাইবোনেরা,[† গ্রিক: ভাইয়েরা; 29 পদেও। ] আমাদের আইনগত এক বাধ্যবাধকতা আছে—তা কিন্তু রক্তমাংসের বশে জীবনযাপন করার জন্য নয়।
13. কারণ তোমরা যদি রক্তমাংসের বশ্যতাধীনে জীবনযাপন করো, তোমাদের মৃত্যু হবে; কিন্তু পবিত্র আত্মার দ্বারা যদি শরীরের অপকর্মগুলি ধ্বংস করো, তোমরা জীবিত থাকবে। [PE]
14. [PS]কারণ যারা ঈশ্বরের আত্মা দ্বারা চালিত হয়, তারাই ঈশ্বরের পুত্র।
15. প্রকৃতপক্ষে, তোমরা যে আত্মাকে গ্রহণ করেছ, তিনি তোমাদের ভয়ে জীবন কাটানোর জন্য ক্রীতদাস করেন না; কিন্তু তোমরা দত্তকপুত্র হওয়ার আত্মা লাভ করেছ। তাঁরই দ্বারা আমরা ডেকে উঠি [US]“আব্বা![UE][‡ আব্বা—পিতা শব্দের অরামীয় প্রতিশব্দ। ] পিতা” বলে।
16. পবিত্র আত্মা স্বয়ং আমাদের আত্মার সঙ্গে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, আমরা ঈশ্বরের সন্তান।
17. এখন, যদি আমরা সন্তান হই, তাহলে আমরা উত্তরাধিকারীও—ঈশ্বরের উত্তরাধিকারী ও খ্রীষ্টের সঙ্গে সহ-উত্তরাধিকারী। কিন্তু যদি আমরা তাঁর মহিমার অংশীদার হতে চাই তবে তাঁর কষ্টভোগেরও অংশীদার হতে হবে। [PE]
18. {#1ভাবীকালের মহিমা } [PS]আমি এরকম মনে করি যে, আমাদের মধ্যে যে মহিমার প্রকাশ ঘটবে, আমাদের বর্তমানকালের কষ্টভোগের সঙ্গে তার কোনো তুলনা হতে পারে না।
19. ঈশ্বরের পুত্রগণের প্রকাশ পাওয়ার প্রতীক্ষায় সমস্ত সৃষ্টি সাগ্রহে অপেক্ষা করে আছে।
20. কারণ সৃষ্টি অলীকতার বশীভূত হয়েছিল, তার নিজের ইচ্ছায় নয়, কিন্তু যিনি বশীভূত করেছিলেন, তাঁর ইচ্ছায়;
21. প্রত্যাশা ছিল এই যে, সৃষ্টি স্বয়ং অবক্ষয়ের বাঁধন থেকে মুক্ত হবে এবং ঈশ্বরের সন্তানদের গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতায় অংশীদার হবে। [PE]
22. [PS]আমরা জানি যে, সমস্ত সৃষ্টি বর্তমানকাল পর্যন্ত সন্তান প্রসবের যন্ত্রণার মতো আর্তনাদ করছে।
23. শুধু তাই নয়, কিন্তু আমরা নিজেরাও, যারা আত্মার প্রথম ফল পেয়েছি, আমাদের দত্তকপুত্র হয়ে স্বীকৃতি পাওয়ার গভীর প্রতীক্ষায় ও শরীরের মুক্তির জন্য অন্তরে আর্তনাদ করছি।
24. কারণ এই প্রত্যাশাতেই আমরা পরিত্রাণ লাভ করেছি। কিন্তু যে প্রত্যাশা দৃষ্টিগোচর, তা আদৌ কোনো প্রত্যাশা নয়। যার ইতিমধ্যে কিছু আছে, তার জন্য কেন সে প্রত্যাশা করবে?
25. কিন্তু যা আমাদের নেই, তার জন্য যদি আমরা প্রত্যাশা করি, তাহলে তার জন্য ধৈর্যসহ প্রতীক্ষা করি। [PE]
26. [PS]একইভাবে পবিত্র আত্মা আমাদের দুর্বলতায় আমাদের সাহায্য করেন। সঠিক কী প্রার্থনা করতে হয়, তা আমরা জানি না, কিন্তু পবিত্র আত্মা স্বয়ং আমাদের পক্ষে আর্তস্বরে প্রার্থনা করেন, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
27. যিনি আমাদের সকলের হৃদয় অনুসন্ধান করেন, তিনি পবিত্র আত্মার মানসিকতা জানেন, কারণ পবিত্র আত্মা ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ীই পবিত্রগণের[§ বিশ্বাসীদের বা পবিত্রজনেদের। ] জন্য মিনতি করেন। [PE]
28. {#1বিজয়ীদের থেকেও বেশি } [PS]আর আমরা জানি যে, যারা ঈশ্বরকে ভালোবাসে, যারা তাঁর ইচ্ছা অনুসারে আহূত, তিনি সব বিষয়ে তাদের মঙ্গলসাধনের জন্য কাজ করেন।[* পাঠান্তরে: যারা তাঁকে ভালোবাসে, তাদের সঙ্গে একসাথে কাজ করেন, যেন যা মঙ্গলজনক, তা আনয়ন করেন। ]
29. কারণ ঈশ্বর যাদের পূর্ব থেকে জানতেন, তিনি তাদের তাঁর পুত্রের প্রতিমূর্তির সাদৃশ্য দান করবেন বলে নির্দিষ্ট করে রেখেছিলেন, যেন তিনি অনেক ভাইয়ের মধ্যে প্রথমজাত হন।
30. আবার যাদের তিনি পূর্ব থেকে নির্দিষ্ট করেছিলেন, তাদের তিনি আহ্বানও করলেন, যাদের আহ্বান করলেন, তিনি তাদের নির্দোষ প্রতিপন্ন করলেন, আর যাদের নির্দোষ প্রতিপন্ন করলেন, তাদের মহিমান্বিতও করলেন। [PE]
31. [PS]এসবের প্রত্যুত্তরে তাহলে আমরা কী বলব? ঈশ্বর যদি আমাদের পক্ষে থাকেন, তাহলে কে আমাদের বিরোধী হতে পারে?
32. যিনি তাঁর নিজ পুত্রকেও নিষ্কৃতি দেননি, কিন্তু আমাদের সকলের জন্য তাঁকে সমর্পণ করেছেন—তিনি কি তাঁর সঙ্গে সবকিছুই অনুগ্রহপূর্বক আমাদের দান করবেন না?
33. ঈশ্বর যাদের মনোনীত করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কে অভিযোগ করবে? ঈশ্বরই তাদের নির্দোষ প্রতিপন্ন করেন।
34. কে তাহলে দোষী সাব্যস্ত করবে? খ্রীষ্ট যীশু, যিনি মৃত্যুবরণ করেছেন—তার চেয়েও বড়ো কথা, যাঁকে জীবনে উত্থাপিত করা হয়েছিল—তিনি ঈশ্বরের ডানদিকে উপস্থিত আছেন এবং আমাদের জন্য অনুরোধও করছেন।
35. খ্রীষ্টের প্রেম থেকে কে আমাদের বিচ্ছিন্ন করবে? কষ্ট-সংকট, না দুর্দশা, না নির্যাতন, না দুর্ভিক্ষ, না নগ্নতা, না বিপদ, না তরোয়াল—এর কোনোটিই নয়?
36. যেমন লেখা আছে, [PE][QS]“তোমার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মুখোমুখি হই, [QE][QS2]বলির মেষের মতো আমাদের গণ্য করা হয়।”[† গীত 44:22 ] [QE]
37. [MS] না, যিনি আমাদের প্রেম করেছেন, তাঁরই মাধ্যমে আমরা এসব বিষয়ে বিজয়ীর থেকেও বেশি বিজয়ী হয়েছি।
38. কারণ আমি নিশ্চিতরূপে জানতে পেরেছি যে, মৃত্যু বা জীবন, স্বর্গদূতেরা বা ভূতেরা,[‡ আকাশ বা অন্তরীক্ষের শাসকেরা। ] বর্তমান বা ভাবীকালের কোনো বিষয়, না কোনো পরাক্রম, [§ বা শক্তির প্রভাব। ]
39. ঊর্ধ্বলোক বা অধোলোক বা সমস্ত সৃষ্টির অন্য কোনো বিষয়, কোনো কিছুই আমাদের প্রভু, খ্রীষ্ট যীশুতে অবস্থিত ঈশ্বরের প্রেম থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। [ME]