1. {#1হাল্লেলুইয়া! } [PS]এরপরে আমি স্বর্গে এক বিপুল জনসমষ্টির গর্জনের মতো শব্দ শুনতে পেলাম। তারা বলছিল: [PE][QS]“হাল্লেলুইয়া![* শব্দটির অর্থ, সদাপ্রভুর প্রশংসা করো। এতে দুটি হিব্রু শব্দ যুক্ত আছে, হাল্লেল ও য়াহ্। ] [QE][QS]পরিত্রাণ ও মহিমা ও পরাক্রম আমাদের ঈশ্বরেরই, [QE]
2. [QS2]কারণ তাঁর বিচারাদেশ সব যথার্থ ও ন্যায়সংগত। [QE][QS]যে মহাবেশ্যা অবৈধ সহবাসের দ্বারা পৃথিবীকে কলুষিত করেছিল, [QE][QS2]তিনি তার বিচার করেছেন। [QE][QS]তিনি তাঁর দাসদের রক্তের প্রতিশোধ তার কাছ থেকে নিয়েছেন।” [QE]
3. [PS]তারা আবার চিৎকার করে উঠল: [QE][QS]“হাল্লেলুইয়া! [QE][QS]তার ধোঁয়া[† দাহ হওয়ার ] যুগে যুগে চিরকাল উপরে উঠে যাবে।” [QE]
4. [PS]সেই চব্বিশজন প্রাচীন ও চারজন জীবন্ত প্রাণী নত হয়ে প্রণাম করে সিংহাসনে উপবিষ্ট ঈশ্বরের উপাসনা করলেন। তাঁরা উচ্চকণ্ঠে বললেন, [QE][QS]“আমেন, হাল্লেলুইয়া!” [QE]
5. [PS]তখন সিংহাসন থেকে এক কণ্ঠস্বর শোনা গেল, [QE][QS]“ঈশ্বরের দাসেরা, [QE][QS2]তোমরা যারা ঈশ্বরকে ভয় করো, [QE][QS]সামান্য কি মহান তোমরা সকলে [QE][QS2]আমাদের ঈশ্বরের স্তবগান করো।” [QE]
6. [PS]তারপর আমি এক বিপুল জনসমষ্টির রব, প্রবহমান মহা জলস্রোত ও প্রবল বজ্রপাতের মতো ধ্বনি শুনতে পেলাম। সেই ধ্বনিতে ঘোষণা করা হচ্ছিল: [QE][QS]“হাল্লেলুইয়া! [QE][QS2]কারণ আমাদের সর্বশক্তিমান, প্রভু ঈশ্বর, রাজত্ব করছেন।[‡ দ্বিতীয় বিবরণ 32:4,43; যিশাইয় 34:10; গীত 97:1; 134:1; যিহিষ্কেল 1:24 ] [QE]
7. [QS]এসো আমরা উল্লসিত হই, আনন্দ করি [QE][QS2]এবং তাঁকে মহিমা প্রদান করি! [QE][QS]কারণ মেষশাবকের বিবাহ-লগ্ন উপস্থিত [QE][QS2]এবং তাঁর কনে নিজেকে প্রস্তুত করেছে। [QE]
8. [QS]উজ্জ্বল ও পরিষ্কার, মিহি মসিনার পোশাক [QE][QS2]সজ্জিত হতে তাকে দেওয়া হয়েছিল।” [QE][MS](মিহি মসিনার পোশাক পবিত্রগণের ধর্মাচরণের প্রতীক।) [ME][PBR]
9. [PS]তখন সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, “তুমি লেখো, ‘ধন্য তারা, যারা মেষশাবকের বিবাহভোজে আমন্ত্রিত।’ ” তিনি আরও যোগ করলেন, “এগুলি প্রকৃতই ঈশ্বরের বাক্য।” [ME]
10. [PS]একথা শুনে উপাসনা করার জন্য আমি তাঁর পায়ে পড়লাম। কিন্তু তিনি আমাকে বললেন, “তুমি এরকম কোরো না! আমি তোমার ও তোমার ভাইবোন যারা যীশুর সাক্ষ্য ধারণ করে, তাদের সহদাস; কেবলমাত্র ঈশ্বরের উপাসনা করো! কারণ যীশুর সাক্ষ্যই হল ভাববাণীর অনুপ্রেরণা।” [ME]
11. {#1সাদা ঘোড়ায় আরোহী } [PS]আমি দেখলাম, স্বর্গ খুলে গেল এবং সেখানে আমার সামনে ছিল একটি সাদা ঘোড়া। এর আরোহী বিশ্বস্ত ও সত্যময় নামে আখ্যাত। ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে তিনি বিচার ও যুদ্ধ করেন।
12. তাঁর দুই চোখ জ্বলন্ত আগুনের শিখার মতো এবং তাঁর মাথায় আছে অনেক মুকুট। তাঁর উপরে একটি নাম লেখা আছে, যা স্বয়ং তিনি ছাড়া আর কেউ জানে না।
13. তিনি রক্তে ডুবানো পোশাক পরে আছেন ও তাঁর নাম ঈশ্বরের বাক্য।
14. স্বর্গের সৈন্যরা তাঁকে অনুসরণ করল যিনি সাদা ও পরিষ্কার মিহি মসিনার পোশাক পরে সাদা ঘোড়ায় চড়ে ছিলেন।
15. তাঁর মুখ থেকে নির্গত হচ্ছিল এক ধারালো তরোয়াল, যা দিয়ে তিনি সব জাতিকে ধরাশায়ী করেন। “তিনি লোহার রাজদণ্ড নিয়ে তাদের শাসন করবেন।”[§ গীত 2:9 ] তিনি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের প্রচণ্ড ক্রোধের পেষণকুণ্ডের দ্রাক্ষা দলন করেন।
16. তাঁর পোশাকে ও তাঁর ঊরুতে তাঁর এই নাম লেখা আছে: [ME]রাজাদের রাজা ও প্রভুদের প্রভু। [ME]
17. [PS]আর আমি দেখলাম, একজন স্বর্গদূত সূর্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি মধ্যাকাশে উড়ন্ত সব পাখিকে উচ্চকণ্ঠে ডেকে বললেন, “তোমরা এসো, ঈশ্বরের মহাভোজে সকলে একত্র হও,
18. যেন তোমরা রাজাদের মাংস, সৈন্যাধ্যক্ষদের মাংস, শক্তিশালী লোকেদের মাংস, ঘোড়া ও তাদের আরোহীর মাংস, স্বাধীন বা ক্রীতদাস, সামান্য বা মহান—সকলের মাংস খেতে পারো।” [ME]
19. [PS]তারপর আমি দেখলাম, ওই সাদা ঘোড়ার আরোহী ও তাঁর সৈন্যদলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সেই পশু ও পৃথিবীর রাজারা ও তাদের সৈন্যবাহিনী একত্রিত হল।
20. কিন্তু সেই পশু বন্দি হল ও তার সঙ্গে যে ভণ্ড ভাববাদী তার হয়ে অলৌকিক সব চিহ্নকাজ করেছিল, সেও ধরা পড়ল। যারা সেই পশুর ছাপ ধারণ ও তার মূর্তির পূজা করেছিল, সে এসব চিহ্নকাজের দ্বারা তাদের বিভ্রান্ত করেছিল। সেই দুজনকে জীবন্ত অবস্থায় জ্বলন্ত গন্ধকের আগুনের হ্রদে নিক্ষেপ করা হল।
21. অবশিষ্ট সকলে সেই সাদা ঘোড়ার আরোহীর মুখ থেকে নির্গত তরোয়ালের দ্বারা নিহত হল এবং সব পাখি তাদের মাংস খেয়ে তৃপ্ত হল।[* যিহিষ্কেল 39:17-20; যিশাইয় 30:33 ] [ME]