1. {#1দুজন সাক্ষী } [PS]আমাকে মাপকাঠির মতো একটি নলখাগড়া দেওয়া হল ও বলা হল, “তুমি যাও, গিয়ে ঈশ্বরের মন্দির ও তাঁর বেদি পরিমাপ করো ও সেখানকার উপাসকদের সংখ্যা গুনে নাও।
2. কিন্তু বাইরের প্রাঙ্গণটি বাদ দেবে; সেটার পরিমাপ কোরো না, কারণ তা অইহুদিদের দেওয়া হয়েছে। তারা 42 মাস পর্যন্ত পবিত্র নগরকে পদদলিত করবে।
3. আর আমি আমার দুই সাক্ষীকে ক্ষমতা দেব। তাঁরা চটের পোশাক পরে 1,260 দিন ভাববাণী বলবে।”
4. তাঁরাই সেই দুই জলপাই গাছ ও দুই দীপাধার, যাঁরা পৃথিবীর প্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে থাকে।
5. কেউ যদি তাঁদের কোনো ক্ষতি করতে চায়, তবে তাঁদের মুখ থেকে আগুন বেরিয়ে এসে তাঁদের শত্রুদের গ্রাস করে। এভাবে, যারা তাদের ক্ষতি করতে চায়, অবশ্যই তাদের মৃত্যু হবে।
6. আকাশ রুদ্ধ করার ক্ষমতা থাকবে তাঁদের, যেন যতদিন তাঁরা ভাববাণী বলেন, কোনও বৃষ্টি না হয়। জলকে রক্তে পরিণত করার এবং তাঁরা যতবার যখনই চায়, সব প্রকার মহামারিতে পৃথিবীকে আঘাত করার ক্ষমতা তাঁদের আছে। [PE]
7. [PS]তাঁরা নিজেদের সাক্ষ্য শেষ করলে পরে, যে পশু সেই অতল-গহ্বর থেকে উঠে আসবে, সে তাঁদের আক্রমণ করবে, বিজয়ী হবে ও তাঁদের হত্যা করবে।
8. তাঁদের মৃতদেহ মহানগরীর[* অর্থাৎ, জেরুশালেমের। ] পথে পড়ে থাকবে। এই নগরীকেই আলংকারিকরূপে সদোম ও মিশর বলে, যেখানে তাঁদের প্রভুও ক্রুশার্পিত হয়েছিলেন।
9. সাড়ে তিন দিন যাবৎ প্রত্যেক জাতি, গোষ্ঠী, ভাষাভাষী ও দেশের মানুষ তাঁদের মৃতদেহের দিকে চেয়ে থাকবে ও তাঁদের কবর দেওয়ার অনুমতি দেবে না।[† স্পষ্টত, লোকেরা ওই দৃশ্য দেখবে। ]
10. পৃথিবীর অধিবাসীরা তাঁদের কারণে উল্লসিত হবে এবং পরস্পরকে উপহার পাঠিয়ে আনন্দ উদ্যাপন করবে, কারণ এই দুই ভাববাদী পৃথিবী নিবাসীদের যন্ত্রণা দিত। [PE]
11. [PS]কিন্তু সাড়ে তিন দিন পরে ঈশ্বরের কাছ থেকে আগত প্রাণবায়ু তাঁদের মধ্যে প্রবেশ করল। তাঁরা তাঁদের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ালেন; যারা তাঁদের দেখল, তারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ল।
12. এরপর তাঁরা শুনলেন, স্বর্গ থেকে কেউ উচ্চকণ্ঠে তাঁদের বলছেন, “এখানে উঠে এসো।” আর তাঁদের শত্রুদের চোখের সামনেই এক মেঘযোগে স্বর্গে উঠে গেলেন। [PE]
13.
14. [PS]আর সেই মুহূর্তে এক তীব্র ভূমিকম্প হল এবং সেই নগররীর এক-দশমাংশ ধসে পড়ল। সেই ভূমিকম্পে সাত হাজার মানুষ নিহত হল, আর যারা রক্ষা পেল, তারা আতঙ্কিত হয়ে স্বর্গের ঈশ্বরের গৌরব করল। [PE]
15. [PS]দ্বিতীয় দুর্দশার অবসান হল; শীঘ্রই তৃতীয় দুর্দশা এসে উপস্থিত হবে। [PE]{#1সপ্তম তূরীধ্বনি } [PS]সপ্তম স্বর্গদূত তাঁর তূরী বাজালেন, আর স্বর্গে উচ্চনাদে এই বাণী শোনা গেল: [PE][QS]“জগতের রাজ্য পরিণত হল, আমাদের প্রভু ও তাঁর খ্রীষ্টের রাজ্যে, [QE][QS2]আর তিনি যুগে যুগে চিরকাল [QE][QS2]রাজত্ব করবেন।” [QE]
16. [MS] আর যে চব্বিশজন প্রাচীন ঈশ্বরের সামনে নিজেদের সিংহাসনে উপবিষ্ট ছিলেন, তাঁরা অধোমুখে প্রণাম করে ঈশ্বরের উপাসনা করলেন: [ME]
17. [PS]তাঁরা বললেন, [QE][QS]“হে সর্বশক্তিমান প্রভু ঈশ্বর, যিনি আছেন ও ছিলেন, [QE][QS2]আমরা তোমাকে ধন্যবাদ দিই, [QE][QS]কারণ তুমি তোমার মহাপরাক্রম গ্রহণ করেছ [QE][QS2]ও রাজত্ব শুরু করেছ। [QE]
18. [QS]সব জাতি ক্রুদ্ধ হয়েছিল; [QE][QS2]তাই তোমার রোষও উপস্থিত হয়েছে। [QE][QS]মৃতদের বিচার করার সময় এবং [QE][QS2]তোমার দাস সেই ভাববাদীদের ও পবিত্রগণের, [QE][QS]আর যতজন তোমার নামে সম্ভ্রম প্রকাশ করে, [QE][QS2]ক্ষুদ্র ও মহান নির্বিশেষে সবাইকে [QE][QS2]পুরস্কার দেওয়ার জন্য—এবং [QE][QS]পৃথিবী-বিনাশকদের ধ্বংস করার [QE][QS2]সময় উপস্থিত হল।” [QE]
19. [PS]তারপরে স্বর্গে ঈশ্বরের মন্দির খোলা হল এবং মন্দিরের ভিতরে তাঁর নিয়ম-সিন্দুকটি দেখা গেল। আর সেখানে বিদ্যুতের ঝলক, গুরুগম্ভীর ধ্বনি, বজ্রপাতের গর্জন, ভূমিকম্প ও বড়ো বড়ো শিলাবৃষ্টি হতে লাগল। [QE]