পবিত্র বাইবেল

গডস গ্রেইস গিফট
বিচারকচরিত
1. {শিম্‌শোনের বিবাহ } [PS]শিম্‌শোন তিম্নায় নেমে গেলেন ও সেখানে এক যুবতী ফিলিস্তিনী মহিলাকে দেখতে পেলেন।
2. ফিরে এসে, তিনি তাঁর বাবা-মাকে বললেন, “তিম্নায় আমি এক ফিলিস্তিনী মহিলাকে দেখেছি; এখন তোমরা তাকে আমার স্ত্রী করে এনে দাও।” [PE]
3. [PS]তাঁর বাবা-মা উত্তর দিলেন, “তোমার আত্মীয়দের মধ্যে বা আমাদের সব আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কি উপযুক্ত কোনও মেয়ে নেই? স্ত্রী পাওয়ার জন্য তোমাকে কি সেই সুন্নত না করানো ফিলিস্তিনীদের কাছেই যেতে হবে?” [PE][PS]কিন্তু শিম্‌শোন তাঁর বাবাকে বললেন, “আমার জন্য তাকেই এনে দাও। সেই আমার জন্য উপযুক্ত।”
4. (তাঁর বাবা-মা জানতেন না যে এই ঘটনা সেই সদাপ্রভুর ইচ্ছাতেই ঘটছে, যিনি ফিলিস্তিনীদের শায়েস্তা করার এক সুযোগ খুঁজছিলেন; কারণ সেই সময় তারা ইস্রায়েলের উপর রাজত্ব করছিল।) [PE]
5. [PS]শিম্‌শোন তাঁর বাবা-মার সঙ্গে তিম্নায় নেমে গেলেন। তারা তিম্নার দ্রাক্ষাক্ষেতের কাছাকাছি পৌঁছানোমাত্রই, আচমকা এক যুবা সিংহ গর্জন করতে করতে শিম্‌শোনের দিকে তেড়ে এল।
6. সদাপ্রভুর আত্মা এমন সপরাক্রমে শিম্‌শোনের উপর নেমে এসেছিলেন যে শিম্‌শোন খালি হাতে ছাগশাবক ছিঁড়ে ফেলার মতো করে ওই সিংহটিকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেললেন। কিন্তু তিনি কী করলেন, তা তিনি তাঁর বাবা বা মা কাউকেই জানালেন না।
7. পরে তিনি সেই মহিলাটির কাছে গিয়ে তার সঙ্গে কথাবার্তা বললেন, এবং মেয়েটিকে তাঁর খুব পছন্দ হল। [PE]
8. [PS]কিছুকাল পর, শিম্‌শোন যখন তাকে বিয়ে করার জন্য সেখানে ফিরে গেলেন, তখন তিনি সেই সিংহের শবটি দেখার জন্য পথের অন্য পাশে গেলেন, ও গিয়ে দেখলেন যে সেই শবটিতে এক ঝাঁক মৌমাছি ও কিছু মধু লেগে আছে।
9. তিনি হাত দিয়ে কিছুটা মধু বের করলেন ও পথে যেতে যেতে তা খেতে থাকলেন। তিনি যখন তাঁর বাবা-মার সঙ্গে আবার মিলিত হলেন, তখন তিনি তাঁদেরও খানিকটা মধু দিলেন ও তাঁরাও তা খেলেন। কিন্তু তিনি তাঁদের বলেননি যে সেই মধু তিনি সিংহের মৃতদেহ থেকে সংগ্রহ করেছেন। [PE]
10. [PS]এমতাবস্থায় তাঁর বাবা সেই মহিলাটিকে দেখতে গেলেন। আর যুবা পুরুষেরা প্রথাগতভাবে যেমন করত, সেই প্রথানুসারে শিম্‌শোনও সেখানে এক ভোজসভার আয়োজন করলেন।
11. লোকেরা যখন তাঁকে দেখল, তখন তারা তাঁর সহচর হওয়ার জন্য ত্রিশজন লোককে মনোনীত করল। [PE]
12. [PS]“আমি তোমাদের কাছে একটি ধাঁধা বলছি,” শিম্‌শোন তাদের বললেন। “তোমরা যদি উৎসব চলাকালীন এই সাত দিনের মধ্যে এর অর্থ আমায় ব্যাখ্যা করে দিতে পারো, তবে আমি তোমাদের ত্রিশটি মসিনার পোশাক এবং ত্রিশ জোড়া কাপড়চোপড় দেব।
13. কিন্তু তোমরা যদি এর অর্থ আমাকে বলতে না পারো, তবে তোমরাই আমাকে ত্রিশটি মসিনার পোশাক এবং ত্রিশ জোড়া কাপড়চোপড় দেবে।” [PE]
14. [PS]“তোমার ধাঁধাটি আমাদের বলো,” তারা বলল। “তা শোনা যাক।” [PE][PS]শিম্‌শোন উত্তর দিলেন, [PE][QS]“ভক্ষকের মধ্যে থেকে কিছু খাদ্যদ্রব্য বেরিয়ে এল; [QE][QS2]শক্তিধরের মধ্যে থেকে কিছু মিষ্টদ্রব্য বেরিয়ে এল।” [QE][MS]তিনদিনে তারা এই ধাঁধার অর্থোদ্ধার করতে পারেনি। [ME]
15. [PS]চতুর্থ[* কোনো কোনো প্রাচীন অনুলিপি অনুসারে, সপ্তম ] দিনে, তারা শিম্‌শোনের স্ত্রীকে বলল, “তোমার স্বামীকে তোষামোদ করে ভুলিয়েভালিয়ে আমাদের জন্য ধাঁধার অর্থটি জেনে নাও, তা না হলে আমরা তোমাকে এবং তোমার বাবার পরিবার-পরিজনদের আগুনে পুড়িয়ে মারব। আমাদের সম্পত্তি হরণ করার জন্যই কি তোমরা এখানে আমাদের নিমন্ত্রণ করেছ?” [ME]
16. [PS]তখন শিম্‌শোনের স্ত্রী তাঁর কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ে ককাতে ককাতে বলল, “তুমি আমাকে ঘৃণাই করো! তুমি সত্যিই আমাকে ভালোবাসো না। তুমি আমার লোকজনদের কাছে একটি ধাঁধা বলেছ, কিন্তু আমাকে তার অর্থ ব্যাখ্যা করে দাওনি।” [ME][PS]“আমার মা-বাবাকেই আমি এর অর্থ বলিনি,” তিনি উত্তর দিলেন, “অতএব তোমাকে কেন আমি এর অর্থ বলতে যাব?”
17. উৎসব চলাকালীন সেই সাত দিন যাবৎ সে কান্নাকাটি করল। অতএব সপ্তম দিনে শেষ পর্যন্ত শিম্‌শোন তাকে ধাঁধাটির অর্থ বলে দিলেন, কারণ সেই স্ত্রী অনবরত তাঁকে চাপ দিয়ে যাচ্ছিল। সেও তখন তার লোকজনদের সেই ধাঁধাটির অর্থ বলে দিল। [ME]
18. [PS]সপ্তম দিনে সূর্যাস্তের আগেই সেই নগরের লোকেরা এসে শিম্‌শোনকে বলল, [ME][QS]“মধুর থেকে বেশি মিষ্টি আর কী হতে পারে? [QE][QS2]সিংহের থেকে বেশি শক্তিশালী আর কে হতে পারে?” [QE][PS]শিম্‌শোন তাদের বললেন, [ME][QS]“আমার বকনা-বাছুর দিয়ে যদি চাষ না করতে, [QE][QS2]আমার ধাঁধার নিষ্পত্তি করতে তোমাদের নাভিশ্বাস উঠে যেত।” [QE]
19. [PS]পরে সদাপ্রভুর আত্মা সপরাক্রমে তাঁর উপরে এলেন। শিম্‌শোন অস্কিলোনে নেমে গেলেন, সেখানকার ত্রিশজন লোককে আঘাত করে, তাদের সব পোশাক-আশাক খুলে নিলেন ও তাদের পোশাকগুলি তাদের দিয়ে দিলেন, যারা তাঁর ধাঁধার অর্থ ব্যাখ্যা করে দিয়েছিল। রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে, শিম্‌শোন তাঁর বাবার ঘরে ফিরে গেলেন।
20. আর শিম্‌শোনের স্ত্রীকে তাঁর সহচরদের মধ্যে এমন একজনের হাতে তুলে দেওয়া হল, যে সেই উৎসব চলাকালীন তাঁর পরিচর্যা করেছিল। [ME]
Total 21 অধ্যায়গুলির, Selected অধ্যায় 14 / 21
1 2 3 4 5
6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21
1 {শিম্‌শোনের বিবাহ } শিম্‌শোন তিম্নায় নেমে গেলেন ও সেখানে এক যুবতী ফিলিস্তিনী মহিলাকে দেখতে পেলেন। 2 ফিরে এসে, তিনি তাঁর বাবা-মাকে বললেন, “তিম্নায় আমি এক ফিলিস্তিনী মহিলাকে দেখেছি; এখন তোমরা তাকে আমার স্ত্রী করে এনে দাও।” 3 তাঁর বাবা-মা উত্তর দিলেন, “তোমার আত্মীয়দের মধ্যে বা আমাদের সব আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কি উপযুক্ত কোনও মেয়ে নেই? স্ত্রী পাওয়ার জন্য তোমাকে কি সেই সুন্নত না করানো ফিলিস্তিনীদের কাছেই যেতে হবে?” কিন্তু শিম্‌শোন তাঁর বাবাকে বললেন, “আমার জন্য তাকেই এনে দাও। সেই আমার জন্য উপযুক্ত।” 4 (তাঁর বাবা-মা জানতেন না যে এই ঘটনা সেই সদাপ্রভুর ইচ্ছাতেই ঘটছে, যিনি ফিলিস্তিনীদের শায়েস্তা করার এক সুযোগ খুঁজছিলেন; কারণ সেই সময় তারা ইস্রায়েলের উপর রাজত্ব করছিল।) 5 শিম্‌শোন তাঁর বাবা-মার সঙ্গে তিম্নায় নেমে গেলেন। তারা তিম্নার দ্রাক্ষাক্ষেতের কাছাকাছি পৌঁছানোমাত্রই, আচমকা এক যুবা সিংহ গর্জন করতে করতে শিম্‌শোনের দিকে তেড়ে এল। 6 সদাপ্রভুর আত্মা এমন সপরাক্রমে শিম্‌শোনের উপর নেমে এসেছিলেন যে শিম্‌শোন খালি হাতে ছাগশাবক ছিঁড়ে ফেলার মতো করে ওই সিংহটিকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেললেন। কিন্তু তিনি কী করলেন, তা তিনি তাঁর বাবা বা মা কাউকেই জানালেন না। 7 পরে তিনি সেই মহিলাটির কাছে গিয়ে তার সঙ্গে কথাবার্তা বললেন, এবং মেয়েটিকে তাঁর খুব পছন্দ হল। 8 কিছুকাল পর, শিম্‌শোন যখন তাকে বিয়ে করার জন্য সেখানে ফিরে গেলেন, তখন তিনি সেই সিংহের শবটি দেখার জন্য পথের অন্য পাশে গেলেন, ও গিয়ে দেখলেন যে সেই শবটিতে এক ঝাঁক মৌমাছি ও কিছু মধু লেগে আছে। 9 তিনি হাত দিয়ে কিছুটা মধু বের করলেন ও পথে যেতে যেতে তা খেতে থাকলেন। তিনি যখন তাঁর বাবা-মার সঙ্গে আবার মিলিত হলেন, তখন তিনি তাঁদেরও খানিকটা মধু দিলেন ও তাঁরাও তা খেলেন। কিন্তু তিনি তাঁদের বলেননি যে সেই মধু তিনি সিংহের মৃতদেহ থেকে সংগ্রহ করেছেন। 10 এমতাবস্থায় তাঁর বাবা সেই মহিলাটিকে দেখতে গেলেন। আর যুবা পুরুষেরা প্রথাগতভাবে যেমন করত, সেই প্রথানুসারে শিম্‌শোনও সেখানে এক ভোজসভার আয়োজন করলেন। 11 লোকেরা যখন তাঁকে দেখল, তখন তারা তাঁর সহচর হওয়ার জন্য ত্রিশজন লোককে মনোনীত করল। 12 “আমি তোমাদের কাছে একটি ধাঁধা বলছি,” শিম্‌শোন তাদের বললেন। “তোমরা যদি উৎসব চলাকালীন এই সাত দিনের মধ্যে এর অর্থ আমায় ব্যাখ্যা করে দিতে পারো, তবে আমি তোমাদের ত্রিশটি মসিনার পোশাক এবং ত্রিশ জোড়া কাপড়চোপড় দেব। 13 কিন্তু তোমরা যদি এর অর্থ আমাকে বলতে না পারো, তবে তোমরাই আমাকে ত্রিশটি মসিনার পোশাক এবং ত্রিশ জোড়া কাপড়চোপড় দেবে।” 14 “তোমার ধাঁধাটি আমাদের বলো,” তারা বলল। “তা শোনা যাক।” শিম্‌শোন উত্তর দিলেন, “ভক্ষকের মধ্যে থেকে কিছু খাদ্যদ্রব্য বেরিয়ে এল; শক্তিধরের মধ্যে থেকে কিছু মিষ্টদ্রব্য বেরিয়ে এল।” তিনদিনে তারা এই ধাঁধার অর্থোদ্ধার করতে পারেনি। 15 চতুর্থ* কোনো কোনো প্রাচীন অনুলিপি অনুসারে, সপ্তম দিনে, তারা শিম্‌শোনের স্ত্রীকে বলল, “তোমার স্বামীকে তোষামোদ করে ভুলিয়েভালিয়ে আমাদের জন্য ধাঁধার অর্থটি জেনে নাও, তা না হলে আমরা তোমাকে এবং তোমার বাবার পরিবার-পরিজনদের আগুনে পুড়িয়ে মারব। আমাদের সম্পত্তি হরণ করার জন্যই কি তোমরা এখানে আমাদের নিমন্ত্রণ করেছ?” 16 তখন শিম্‌শোনের স্ত্রী তাঁর কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ে ককাতে ককাতে বলল, “তুমি আমাকে ঘৃণাই করো! তুমি সত্যিই আমাকে ভালোবাসো না। তুমি আমার লোকজনদের কাছে একটি ধাঁধা বলেছ, কিন্তু আমাকে তার অর্থ ব্যাখ্যা করে দাওনি।” “আমার মা-বাবাকেই আমি এর অর্থ বলিনি,” তিনি উত্তর দিলেন, “অতএব তোমাকে কেন আমি এর অর্থ বলতে যাব?” 17 উৎসব চলাকালীন সেই সাত দিন যাবৎ সে কান্নাকাটি করল। অতএব সপ্তম দিনে শেষ পর্যন্ত শিম্‌শোন তাকে ধাঁধাটির অর্থ বলে দিলেন, কারণ সেই স্ত্রী অনবরত তাঁকে চাপ দিয়ে যাচ্ছিল। সেও তখন তার লোকজনদের সেই ধাঁধাটির অর্থ বলে দিল। 18 সপ্তম দিনে সূর্যাস্তের আগেই সেই নগরের লোকেরা এসে শিম্‌শোনকে বলল, “মধুর থেকে বেশি মিষ্টি আর কী হতে পারে? সিংহের থেকে বেশি শক্তিশালী আর কে হতে পারে?” শিম্‌শোন তাদের বললেন, “আমার বকনা-বাছুর দিয়ে যদি চাষ না করতে, আমার ধাঁধার নিষ্পত্তি করতে তোমাদের নাভিশ্বাস উঠে যেত।” 19 পরে সদাপ্রভুর আত্মা সপরাক্রমে তাঁর উপরে এলেন। শিম্‌শোন অস্কিলোনে নেমে গেলেন, সেখানকার ত্রিশজন লোককে আঘাত করে, তাদের সব পোশাক-আশাক খুলে নিলেন ও তাদের পোশাকগুলি তাদের দিয়ে দিলেন, যারা তাঁর ধাঁধার অর্থ ব্যাখ্যা করে দিয়েছিল। রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে, শিম্‌শোন তাঁর বাবার ঘরে ফিরে গেলেন। 20 আর শিম্‌শোনের স্ত্রীকে তাঁর সহচরদের মধ্যে এমন একজনের হাতে তুলে দেওয়া হল, যে সেই উৎসব চলাকালীন তাঁর পরিচর্যা করেছিল।
Total 21 অধ্যায়গুলির, Selected অধ্যায় 14 / 21
1 2 3 4 5
6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21
×

Alert

×

Bengali Letters Keypad References