পবিত্র বাইবেল

গডস গ্রেইস গিফট
যোহন
1. {#1উৎকৃষ্ট মেষপালক ও তাঁর মেষ } [PS]পরে যীশু বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যে ব্যক্তি সদর দরজা দিয়ে মেষদের খোঁয়াড়ে প্রবেশ না করে অন্য কোনো দিক দিয়ে ডিঙিয়ে আসে, সে চোর ও দস্যু।
2. যে সদর দরজা দিয়ে প্রবেশ করে, সেই তার মেষদের পালক।
3. পাহারাদার তার জন্য দরজা খুলে দেয় এবং মেষ তার গলার স্বর শোনে। সে নিজের মেষদের নাম ধরে ডেকে তাদের বাইরে নিয়ে যায়।
4. নিজের সব মেষকে বাইরে নিয়ে এসে সে তাদের সামনে সামনে এগিয়ে চলে। তার মেষেরা তাকে অনুসরণ করে, কারণ তারা তার কণ্ঠস্বর চেনে।
5. কিন্তু তারা কখনও কোনো অপরিচিত ব্যক্তিকে অনুসরণ করবে না; বরং, তারা তার কাছ থেকে ছুটে পালাবে, কারণ অপরিচিত লোকের গলার স্বর তারা চেনে না।”
6. যীশু এই রূপকটি ব্যবহার করলেন, কিন্তু তিনি তাদের কী বললেন, তারা তা বুঝতে পারল না। [PE]
7. [PS]তাই যীশু তাদের আবার বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, আমিই মেষদের দ্বার।
8. যারা আমার আগে এসেছিল, তারা সবাই ছিল চোর ও দস্যু, তাই মেষেরা তাদের ডাকে কান দেয়নি।
9. আমিই দ্বার, আমার মধ্য দিয়ে যে প্রবেশ করবে, সে রক্ষা[* অথবা, নিরাপদে থাকবে। ] পাবে। সে ভিতরে আসবে ও বাইরে যাবে, আর চারণভূমির সন্ধান পাবে।
10. চোর আসে কেবল চুরি, হত্যা ও ধ্বংস করতে, কিন্তু আমি এসেছি যেন তারা জীবন পায় এবং তা পূর্ণরূপেই পায়। [PE]
11. [PS]“আমিই উৎকৃষ্ট মেষপালক। উৎকৃষ্ট মেষপালক মেষদের জন্য তাঁর প্রাণ সমর্পণ করেন।
12. বেতনজীবী লোক মেষপালক নয়, সে মেষপালের মালিকও নয়। তাই সে নেকড়ে বাঘকে আসতে দেখে, মেষদের ছেড়ে পালিয়ে যায়। নেকড়ে তখন মেষপালকে আক্রমণ করে ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
13. বেতনজীবী বলেই সে পালিয়ে যায়, মেষপালের জন্য কোনো চিন্তা করে না। [PE]
14. [PS]“আমিই উৎকৃষ্ট মেষপালক, আমার মেষদের আমি জানি ও আমার নিজেরা আমাকে জানে—
15. যেমন পিতা আমাকে জানেন ও আমি পিতাকে জানি—আর মেষদের জন্য আমি আমার প্রাণ সমর্পণ করি।
16. এই খোঁয়াড়ের বাইরেও আমার অন্য মেষ আছে। তারা আমার কণ্ঠস্বর শুনবে। তখন একটি পাল এবং একজন পালক হবে।
17. আমার পিতা এজন্য আমাকে প্রেম করেন, কারণ আমি আমার প্রাণ সমর্পণ করি, যেন আবার তা পুনরায় গ্রহণ করি।
18. কেউ আমার কাছ থেকে তা কেড়ে নিতে পারে না। আমি স্বেচ্ছায় আমার প্রাণ সমর্পণ করি। সমর্পণ করার অধিকার এবং তা ফিরে পাওয়ারও অধিকার আমার আছে। আমার পিতার কাছ থেকে আমি এই আদেশ[† অথবা, কর্তৃত্ব। ] লাভ করেছি।” [PE]
19. [PS]একথায় ইহুদিদের মধ্যে আবার মতভেদ দেখা দিল।
20. তাদের অনেকেই বলল, “ওকে ভূতে পেয়েছে; তাই ও পাগলের মতো কথা বলছে। ওর কথা শুনছ কেন?” [PE]
21.
22. [PS]কিন্তু অন্যেরা বলল, “এসব কথা তো ভূতের পাওয়া লোকের নয়! ভূত কি অন্ধদের চোখ খুলে দিতে পারে?” [PE]{#1ইহুদিদের অবিশ্বাস } [PS]এরপর জেরুশালেমে মন্দির-উৎসর্গের পর্ব[‡ হিব্রু: হানুক্-কাহ ] এসে গেল। তখন শীতকাল।
23. যীশু মন্দির চত্বরে শলোমনের বারান্দায় হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন।
24. ইহুদিরা তাঁকে ঘিরে ধরে বলল, “আর কত দিন তুমি আমাদের অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখবে? তুমি যদি খ্রীষ্ট হও, সেকথা আমাদের স্পষ্ট করে বলো!” [PE]
25. [PS]উত্তরে যীশু বললেন, “আমি বলা সত্ত্বেও তোমরা বিশ্বাস করোনি। আমার পিতার নামে সম্পাদিত অলৌকিক কাজই আমার পরিচয় বহন করে।
26. কিন্তু তোমরা তা বিশ্বাস করো না, কারণ তোমরা আমার পালের মেষ নও।
27. আমার মেষেরা আমার কণ্ঠস্বর শোনে, আমি তাদের জানি, আর তারা আমাকে অনুসরণ করে।
28. আমি তাদের অনন্ত জীবন দান করি; তারা কোনোদিনই বিনষ্ট হবে না। আর কেউ তাদের আমার হাত থেকে কেড়ে নিতে পারবে না।
29. আমার পিতা, যিনি তাদের আমাকে দিয়েছেন, তিনি সবার চেয়ে মহান।[§ বহু প্রাচীন পাণ্ডুলিপিতে আছে, আমার পিতা আমাকে যা দিয়েছেন, তা সব থেকে মহান। ] আমার পিতার হাত থেকে কেউ তাদের কেড়ে নিতে পারে না।
30. আমি ও পিতা, আমরা এক।” [PE]
31. [PS]ইহুদিরা তাঁকে আবার পাথর ছুঁড়ে মারার জন্য পাথর তুলে নিল।
32. কিন্তু যীশু তাদের বললেন, “পিতার দেওয়া শক্তিতে আমি তোমাদের অনেক মহৎ অলৌকিক কাজ দেখিয়েছি। সেগুলির মধ্যে কোনটির জন্য তোমরা আমাকে পাথর মারতে চাইছ?” [PE]
33.
34. [PS]ইহুদিরা বলল, “এসব কোনো কারণের জন্যই নয়, কিন্তু ঈশ্বরনিন্দার জন্য আমরা তোমাকে পাথর মারতে উদ্যত হয়েছি, কারণ তুমি একজন সামান্য মানুষ হয়েও নিজেকে ঈশ্বর বলে দাবি করছ।” [PE][PS]যীশু তাদের বললেন, “তোমাদের বিধানপুস্তকে কি লেখা নেই, ‘আমি বলেছি, তোমরা “ঈশ্বর”[* গীত 82:6 ]’?
35. যাদের কাছে ঈশ্বরের বাক্য প্রকাশিত হয়েছিল, তিনি যদি তাদের ‘ঈশ্বর’ নামে অভিহিত করে থাকেন—এবং শাস্ত্রের তো পরিবর্তন হতে পারে না—
36. তাহলে পিতা যাকে তাঁর আপনজনরূপে পৃথক করে জগতে পাঠিয়েছেন, তাঁর বিষয়ে কী বলবে? তবে ‘আমি ঈশ্বরের পুত্র,’ একথা বলার জন্য কেন তোমরা আমাকে ঈশ্বরনিন্দার অভিযোগে অভিযুক্ত করছ?
37. আমার পিতা যা করেন, আমি যদি সে কাজ না করি, তাহলে তোমরা আমাকে বিশ্বাস কোরো না।
38. কিন্তু আমি যদি তা করি, তোমরা আমাকে বিশ্বাস না করলেও, সেই অলৌকিক কাজগুলিকে বিশ্বাস করো, যেন তোমরা জানতে ও বুঝতে পারো যে, পিতা আমার মধ্যে ও আমি পিতার মধ্যে আছি।”
39. তারা আবার তাঁকে বন্দি করার চেষ্টা করল, কিন্তু তিনি তাদের কবল এড়িয়ে গেলেন। [PE]
40. [PS]এরপর যীশু জর্ডন নদীর অপর পারে ফিরে গেলেন, যেখানে যোহন আগে লোকেদের বাপ্তিষ্ম দিতেন। তিনি সেখানে থেকে গেলেন এবং বহু লোক তাঁর কাছে এল।
41. তারা বলল, “যোহন কখনও চিহ্নকাজ সম্পাদন না করলেও, এই মানুষটির বিষয়ে তিনি যথার্থ কথাই বলেছেন।”
42. সেখানে বহু মানুষ যীশুতে বিশ্বাস স্থাপন করল। [PE]
Total 21 অধ্যায়গুলির, Selected অধ্যায় 10 / 21
1
2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18
19 20 21
উৎকৃষ্ট মেষপালক ও তাঁর মেষ 1 পরে যীশু বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যে ব্যক্তি সদর দরজা দিয়ে মেষদের খোঁয়াড়ে প্রবেশ না করে অন্য কোনো দিক দিয়ে ডিঙিয়ে আসে, সে চোর ও দস্যু। 2 যে সদর দরজা দিয়ে প্রবেশ করে, সেই তার মেষদের পালক। 3 পাহারাদার তার জন্য দরজা খুলে দেয় এবং মেষ তার গলার স্বর শোনে। সে নিজের মেষদের নাম ধরে ডেকে তাদের বাইরে নিয়ে যায়। 4 নিজের সব মেষকে বাইরে নিয়ে এসে সে তাদের সামনে সামনে এগিয়ে চলে। তার মেষেরা তাকে অনুসরণ করে, কারণ তারা তার কণ্ঠস্বর চেনে। 5 কিন্তু তারা কখনও কোনো অপরিচিত ব্যক্তিকে অনুসরণ করবে না; বরং, তারা তার কাছ থেকে ছুটে পালাবে, কারণ অপরিচিত লোকের গলার স্বর তারা চেনে না।” 6 যীশু এই রূপকটি ব্যবহার করলেন, কিন্তু তিনি তাদের কী বললেন, তারা তা বুঝতে পারল না। 7 তাই যীশু তাদের আবার বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, আমিই মেষদের দ্বার। 8 যারা আমার আগে এসেছিল, তারা সবাই ছিল চোর ও দস্যু, তাই মেষেরা তাদের ডাকে কান দেয়নি। 9 আমিই দ্বার, আমার মধ্য দিয়ে যে প্রবেশ করবে, সে রক্ষা[* অথবা, নিরাপদে থাকবে। ] পাবে। সে ভিতরে আসবে ও বাইরে যাবে, আর চারণভূমির সন্ধান পাবে। 10 চোর আসে কেবল চুরি, হত্যা ও ধ্বংস করতে, কিন্তু আমি এসেছি যেন তারা জীবন পায় এবং তা পূর্ণরূপেই পায়। 11 “আমিই উৎকৃষ্ট মেষপালক। উৎকৃষ্ট মেষপালক মেষদের জন্য তাঁর প্রাণ সমর্পণ করেন। 12 বেতনজীবী লোক মেষপালক নয়, সে মেষপালের মালিকও নয়। তাই সে নেকড়ে বাঘকে আসতে দেখে, মেষদের ছেড়ে পালিয়ে যায়। নেকড়ে তখন মেষপালকে আক্রমণ করে ছিন্নভিন্ন করে দেয়। 13 বেতনজীবী বলেই সে পালিয়ে যায়, মেষপালের জন্য কোনো চিন্তা করে না। 14 “আমিই উৎকৃষ্ট মেষপালক, আমার মেষদের আমি জানি ও আমার নিজেরা আমাকে জানে— 15 যেমন পিতা আমাকে জানেন ও আমি পিতাকে জানি—আর মেষদের জন্য আমি আমার প্রাণ সমর্পণ করি। 16 এই খোঁয়াড়ের বাইরেও আমার অন্য মেষ আছে। তারা আমার কণ্ঠস্বর শুনবে। তখন একটি পাল এবং একজন পালক হবে। 17 আমার পিতা এজন্য আমাকে প্রেম করেন, কারণ আমি আমার প্রাণ সমর্পণ করি, যেন আবার তা পুনরায় গ্রহণ করি। 18 কেউ আমার কাছ থেকে তা কেড়ে নিতে পারে না। আমি স্বেচ্ছায় আমার প্রাণ সমর্পণ করি। সমর্পণ করার অধিকার এবং তা ফিরে পাওয়ারও অধিকার আমার আছে। আমার পিতার কাছ থেকে আমি এই আদেশ[† অথবা, কর্তৃত্ব। ] লাভ করেছি।” 19 একথায় ইহুদিদের মধ্যে আবার মতভেদ দেখা দিল। 20 তাদের অনেকেই বলল, “ওকে ভূতে পেয়েছে; তাই ও পাগলের মতো কথা বলছে। ওর কথা শুনছ কেন?” 21 22 কিন্তু অন্যেরা বলল, “এসব কথা তো ভূতের পাওয়া লোকের নয়! ভূত কি অন্ধদের চোখ খুলে দিতে পারে?” ইহুদিদের অবিশ্বাস এরপর জেরুশালেমে মন্দির-উৎসর্গের পর্ব হিব্রু: হানুক্-কাহ এসে গেল। তখন শীতকাল। 23 যীশু মন্দির চত্বরে শলোমনের বারান্দায় হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন। 24 ইহুদিরা তাঁকে ঘিরে ধরে বলল, “আর কত দিন তুমি আমাদের অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখবে? তুমি যদি খ্রীষ্ট হও, সেকথা আমাদের স্পষ্ট করে বলো!” 25 উত্তরে যীশু বললেন, “আমি বলা সত্ত্বেও তোমরা বিশ্বাস করোনি। আমার পিতার নামে সম্পাদিত অলৌকিক কাজই আমার পরিচয় বহন করে। 26 কিন্তু তোমরা তা বিশ্বাস করো না, কারণ তোমরা আমার পালের মেষ নও। 27 আমার মেষেরা আমার কণ্ঠস্বর শোনে, আমি তাদের জানি, আর তারা আমাকে অনুসরণ করে। 28 আমি তাদের অনন্ত জীবন দান করি; তারা কোনোদিনই বিনষ্ট হবে না। আর কেউ তাদের আমার হাত থেকে কেড়ে নিতে পারবে না। 29 আমার পিতা, যিনি তাদের আমাকে দিয়েছেন, তিনি সবার চেয়ে মহান।[§ বহু প্রাচীন পাণ্ডুলিপিতে আছে, আমার পিতা আমাকে যা দিয়েছেন, তা সব থেকে মহান। ] আমার পিতার হাত থেকে কেউ তাদের কেড়ে নিতে পারে না। 30 আমি ও পিতা, আমরা এক।” 31 ইহুদিরা তাঁকে আবার পাথর ছুঁড়ে মারার জন্য পাথর তুলে নিল। 32 কিন্তু যীশু তাদের বললেন, “পিতার দেওয়া শক্তিতে আমি তোমাদের অনেক মহৎ অলৌকিক কাজ দেখিয়েছি। সেগুলির মধ্যে কোনটির জন্য তোমরা আমাকে পাথর মারতে চাইছ?” 33 34 ইহুদিরা বলল, “এসব কোনো কারণের জন্যই নয়, কিন্তু ঈশ্বরনিন্দার জন্য আমরা তোমাকে পাথর মারতে উদ্যত হয়েছি, কারণ তুমি একজন সামান্য মানুষ হয়েও নিজেকে ঈশ্বর বলে দাবি করছ।” যীশু তাদের বললেন, “তোমাদের বিধানপুস্তকে কি লেখা নেই, ‘আমি বলেছি, তোমরা “ঈশ্বর”* গীত 82:6 ’? 35 যাদের কাছে ঈশ্বরের বাক্য প্রকাশিত হয়েছিল, তিনি যদি তাদের ‘ঈশ্বর’ নামে অভিহিত করে থাকেন—এবং শাস্ত্রের তো পরিবর্তন হতে পারে না— 36 তাহলে পিতা যাকে তাঁর আপনজনরূপে পৃথক করে জগতে পাঠিয়েছেন, তাঁর বিষয়ে কী বলবে? তবে ‘আমি ঈশ্বরের পুত্র,’ একথা বলার জন্য কেন তোমরা আমাকে ঈশ্বরনিন্দার অভিযোগে অভিযুক্ত করছ? 37 আমার পিতা যা করেন, আমি যদি সে কাজ না করি, তাহলে তোমরা আমাকে বিশ্বাস কোরো না। 38 কিন্তু আমি যদি তা করি, তোমরা আমাকে বিশ্বাস না করলেও, সেই অলৌকিক কাজগুলিকে বিশ্বাস করো, যেন তোমরা জানতে ও বুঝতে পারো যে, পিতা আমার মধ্যে ও আমি পিতার মধ্যে আছি।” 39 তারা আবার তাঁকে বন্দি করার চেষ্টা করল, কিন্তু তিনি তাদের কবল এড়িয়ে গেলেন। 40 এরপর যীশু জর্ডন নদীর অপর পারে ফিরে গেলেন, যেখানে যোহন আগে লোকেদের বাপ্তিষ্ম দিতেন। তিনি সেখানে থেকে গেলেন এবং বহু লোক তাঁর কাছে এল। 41 তারা বলল, “যোহন কখনও চিহ্নকাজ সম্পাদন না করলেও, এই মানুষটির বিষয়ে তিনি যথার্থ কথাই বলেছেন।” 42 সেখানে বহু মানুষ যীশুতে বিশ্বাস স্থাপন করল।
Total 21 অধ্যায়গুলির, Selected অধ্যায় 10 / 21
1
2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18
19 20 21
×

Alert

×

Bengali Letters Keypad References