1. {#1খ্রীষ্ট—যিহোশূয়ের থেকেও মহান } [PS]অতএব, তাঁর বিশ্রামে প্রবেশ করার প্রতিশ্রুতি বলবৎ থাকলেও, তোমাদের কেউ যেন তা থেকে বঞ্চিত না হয়। এ বিষয়ে এসো, আমরা সতর্ক হই।
2. কারণ তাদের মতো আমাদেরও কাছে সুসমাচার প্রচার করা হয়েছিল; কিন্তু তারা যে বাণী শুনেছিল, তাদের কাছে তা ছিল মূল্যহীন, কারণ যারা বিশ্বাসের সঙ্গে শুনেছিল, তারা তাদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকেনি।
3. এখন আমরা যারা বিশ্বাস করেছি, তারা সেই বিশ্রামে প্রবেশ করছি, যে বিশ্রামের কথা ঈশ্বর উল্লেখ করেছেন, যেমন তিনি বলেছেন, [PE][QS]“তাই আমার ক্রোধে আমি এক শপথ নিয়েছিলাম, [QE][QS2]‘আমার বিশ্রামে তারা আর কোনোদিন প্রবেশ করবে না।’ ”[* গীত 95:11 ] [QE][MS]যদিও তাঁর কাজ জগৎ সৃষ্টির সময় থেকে সমাপ্ত হয়েছে।
4. কারণ সপ্তম দিন সম্পর্কে তিনি কোনও এক স্থানে এই কথা বলেছেন, “সপ্তম দিনে ঈশ্বর তাঁর সমস্ত কাজ থেকে বিশ্রাম নিলেন।”[† আদি পুস্তক 2:2 ]
5. উপরোক্ত অংশটিতে তিনি আবার বলেন, “তারা আমার বিশ্রামে আর কোনোদিন প্রবেশ করবে না।” [ME]
6. [PS]একথা এখনও ঠিক যে, কিছু লোক সেই বিশ্রামে প্রবেশ করবে এবং যাদের কাছে পূর্বে সুসমাচার প্রচার করা হয়েছিল, তাদের অবাধ্যতার জন্য তারা প্রবেশ করতে পারেনি।
7. তাই, “আজ” নামে অভিহিত করে ঈশ্বর আর একটি দিন নির্ধারণ করলেন, যেমন ইতিপূর্বে বলা হয়েছে, সেইমতো বহুকাল পরে তিনি দাউদের মাধ্যমে বলেছেন: [ME][QS]“আজ যদি তোমরা তাঁর কণ্ঠস্বর শোনো, [QE][QS2]তাহলে তোমাদের হৃদয়কে কঠিন কোরো না।”[‡ গীত 95:7,8 ] [QE]
8. [MS] কারণ যিহোশূয় যদি তাদের বিশ্রাম দিতেন, তাহলে ঈশ্বর পরে তাদের আর একটি দিনের কথা বলতেন না।
9. তাই ঈশ্বরের প্রজাবৃন্দের জন্য এক সাব্বাথের বিশ্রাম ভোগ করা বাকি আছে।
10. কারণ ঈশ্বর যেমন তাঁর কাজ থেকে বিশ্রাম নিয়েছিলেন, ঈশ্বরের বিশ্রামে যে প্রবেশ করে, সেও তেমনই তার নিজের কাজ থেকে বিশ্রাম নেয়।
11. সুতরাং এসো, সেই বিশ্রামে প্রবেশ করার জন্য আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করি, যেন তাদের অবাধ্যতার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে কারও পতন না হয়। [ME]
12. [PS]কারণ ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত ও সক্রিয়, উভয় দিকে ধারবিশিষ্ট যে কোনো তরোয়াল থেকে তীক্ষ্ণ; প্রাণ ও আত্মা এবং শরীরের গ্রন্থি ও মজ্জা পর্যন্ত তা ভেদ করে যায়; তা হৃদয়ের চিন্তা ও আচরণের বিচার করে।
13. সমস্ত সৃষ্টিতে সবকিছুই যাঁর দৃষ্টিতে অনাবৃত ও উন্মুক্ত, তাঁর কাছে আমাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। [ME]
14. {#1যীশু মহান মহাযাজক } [PS]অতএব, আমরা এমন এক মহান মহাযাজককে পেয়েছি, যিনি আকাশমণ্ডল অতিক্রম করে উন্নীত হয়েছেন,[§ বা স্বর্গে গিয়েছেন। ] তিনি ঈশ্বরের পুত্র যীশু; তাই এসো, আমরা যে বিশ্বাস স্বীকার করি, তা দৃঢ়রূপে আঁকড়ে ধরে থাকি।
15. কারণ আমাদের মহাযাজক এমন নন, যিনি আমাদের দুর্বলতায় সহানুভূতি দেখাতে অক্ষম; বরং আমরা এমন একজনকে পেয়েছি, যিনি আমাদেরই মতো সব বিষয়ে প্রলোভিত হয়েছিলেন, অথচ নিষ্পাপ থেকেছেন।
16. তাই এসো, আস্থার সঙ্গে আমরা তাঁর অনুগ্রহ-সিংহাসনের সামনে উপস্থিত হই, যেন আমরা করুণা লাভ করতে পারি ও আমাদের প্রয়োজনের সময়ে অনুগ্রহ পাই। [ME]