পবিত্র বাইবেল

গডস গ্রেইস গিফট
রাজাবলি ২
1. {#1অথলিয়া ও যোয়াশ } [PS]অহসিয়ের মা অথলিয়া যখন দেখেছিলেন তাঁর ছেলে মারা গিয়েছেন, তখন তিনি গোটা রাজপরিবার ধ্বংস করে দিতে প্রবৃত্ত হলেন।
2. কিন্তু রাজা যিহোরামের[* অথবা, যোরামের ] মেয়ে ও অহসিয়ের বোন যিহোশেবা অহসিয়ের ছেলে যোয়াশকে সেই রাজপুত্রদের মধ্যে থেকে চুরি করে এনেছিলেন, যাদের অথলিয়া হত্যা করতে যাচ্ছিলেন। তিনি যোয়াশকে অথলিয়ার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য তাকে ও তার ধাত্রীকে শোবার ঘরে লুকিয়ে রেখেছিলেন; তাই তাকে হত্যা করা যায়নি।
3. একদিকে যখন তাকে ও তার ধাত্রীকে সদাপ্রভুর মন্দিরে ছয় বছর লুকিয়ে রাখা হল, অন্যদিকে অথলিয়া দেশ শাসন করে যাচ্ছিলেন। [PE]
4. [PS]সপ্তম বছরে যিহোয়াদা শত-সেনাপতিদের, এবং করেয় ও রক্ষীদলের সেনাপতিদের সদাপ্রভুর মন্দিরে নিজের কাছে ডেকে পাঠালেন। তাদের সাথে তিনি একটি চুক্তি করলেন ও সদাপ্রভুর মন্দিরে তাদের দিয়ে একটি শপথ করিয়ে নিয়েছিলেন। পরে তিনি তাদের সেই রাজপুত্রকে দেখতে দিলেন।
5. তিনি এই বলে তাদের আদেশ দিলেন, “তোমাদের এরকম করতে হবে: তোমরা যারা তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে সাব্বাথবারে কাজে যোগ দিতে যাচ্ছ—তোমাদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ রাজপ্রাসাদ পাহারা দেবে,
6. এক-তৃতীয়াংশ থাকবে সূর-দুয়ারে, এবং এক-তৃতীয়াংশ থাকবে সেই রক্ষীর পিছন দিকের দুয়ারে, যে মন্দির পাহারা দেওয়ার জন্য ঘুরতে থাকে—
7. আর তোমরা, যারা অন্য দুটি দলে আছ, যারা সাব্বাথবারে সাধারণত কাজ করো না, তোমরা সবাই রাজার জন্য মন্দির পাহারা দিয়ো।
8. তোমরা প্রত্যেকে হাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাজাকে ঘিরে রেখো। যে কেউ তোমাদের সৈন্যশ্রেণীর[† অথবা চৌহদ্দির ] কাছাকাছি আসবে, তাকে মেরে ফেলতে হবে। রাজা যেখানেই যাবেন, তোমরা তাঁর কাছাকাছি থেকো।” [PE]
9. [PS]শত-সেনাপতিরা হুবহু যাজক যিহোয়াদার আদেশানুসারেই কাজ করল। প্রত্যেকে তাদের লোকজন নিয়ে—যারা সাব্বাথবারে কাজ করত ও যারা সাব্বাথবারে কাজ করা থেকে বিরত থাকত, সবাই—যাজক যিহোয়াদার কাছে এসেছিল।
10. পরে তিনি শত-সেনাপতিদের হাতে সেইসব বর্শা ও ঢালগুলি তুলে দিলেন, যেগুলি ছিল রাজা দাউদের এবং সদাপ্রভুর মন্দিরে রাখা ছিল।
11. যজ্ঞবেদি ও মন্দিরের কাছে, রক্ষীরা প্রত্যেকে হাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে, মন্দিরের দক্ষিণ দিক থেকে শুরু করে উত্তর দিক পর্যন্ত রাজাকে ঘিরে রেখেছিল। [PE]
12.
13. [PS]যিহোয়াদা রাজপুত্রকে বাইরে বের করে এনে তাঁর মাথায় রাজমুকুট পরিয়ে দিলেন; তিনি রাজপুত্রকে পবিত্র নিয়ম-সমৃদ্ধ একটি অনুলিপি উপহার দিয়ে তাঁকে রাজা ঘোষণা করে দিলেন। তারা তাঁকে অভিষিক্ত করল, ও প্রজারা হাততালি দিয়ে চিৎকার করে বলে উঠেছিল, “রাজা দীর্ঘজীবী হোন!” [PE][PS]রক্ষী ও প্রজাদের সেই চিৎকার শুনে অথলিয়া সদাপ্রভুর মন্দিরে প্রজাদের কাছে গেলেন।
14. তিনি তাকিয়ে দেখেছিলেন, প্রথানুসারে রাজা থামের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। কর্মকর্তা ও শিঙাবাদকেরা রাজার পিছনে দাঁড়িয়েছিল, ও দেশের প্রজারা সবাই আনন্দ করতে করতে শিঙা বাজাচ্ছিল। তখন অথলিয়া তাঁর রাজবস্ত্র ছিঁড়ে বলে উঠেছিলেন, “রাজদ্রোহ! রাজদ্রোহ!” [PE]
15. [PS]সৈন্যদলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শত-সেনাপতিদের যাজক যিহোয়াদা আদেশ দিলেন: “সৈন্যশ্রেণীর[‡ অথবা, চৌহদ্দির ] মাঝখান দিয়ে তাঁকে বের করে আনো এবং যে কেউ তাঁর অনুগামী, তাকে তরোয়ালের আঘাতে তাকে হত্যা করো।” কারণ যাজকমশাই বললেন, “সদাপ্রভুর মন্দিরের মধ্যে তাঁকে হত্যা করা ঠিক হবে না।”
16. তাই তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করে সেই স্থানে নিয়ে গেল, যেখান থেকে ঘোড়াগুলি প্রাসাদ-সংলগ্ন মাঠে প্রবেশ করে, এবং সেখানেই তাঁকে হত্যা করা হল। [PE]
17. [PS]যিহোয়াদা পরে এই বলে সদাপ্রভু এবং রাজা ও প্রজাদের মধ্যে এক পবিত্র নিয়ম স্থাপন করে দিলেন, যে তারা সদাপ্রভুর প্রজা হয়েই থাকবে। এছাড়াও তিনি রাজা ও প্রজাদের মধ্যেও এক পবিত্র নিয়ম স্থাপন করে দিলেন।
18. দেশের প্রজারা সবাই বায়ালের মন্দিরে গিয়ে সেটি ভেঙে ফেলেছিল। তারা যজ্ঞবেদি ও প্রতিমার মূর্তিগুলিও ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিয়েছিল এবং বায়ালের যাজক মত্তনকে যজ্ঞবেদির সামনেই হত্যা করল। [PE][PS]পরে যাজক যিহোয়াদা সদাপ্রভুর মন্দিরে পাহারাদার বসিয়ে দিলেন।
19. তিনি শত-সেনাপতি, করেয়, রক্ষীদল ও দেশের সব প্রজাকে সাথে নিয়ে রাজাকে সদাপ্রভুর মন্দির থেকে বের করে এনে রক্ষীদলের দুয়ার দিয়ে রাজপ্রাসাদে নিয়ে গেলেন। রাজা পরে রাজসিংহাসনে বিরাজমান হলেন।
20. দেশের প্রজারা সবাই আনন্দ করল, ও নগরে শান্তি বিরাজিত হল, যেহেতু প্রাসাদে অথলিয়াকে তরোয়াল দিয়ে মেরে ফেলা হল। [PE]
21. [PS]যোয়াশ[§ অথবা, যিহোয়াশ ] যখন রাজত্ব করতে শুরু করলেন, তখন তাঁর বয়স সাত বছর। [PE]
Total 25 অধ্যায়গুলির, Selected অধ্যায় 11 / 25
অথলিয়া ও যোয়াশ 1 অহসিয়ের মা অথলিয়া যখন দেখেছিলেন তাঁর ছেলে মারা গিয়েছেন, তখন তিনি গোটা রাজপরিবার ধ্বংস করে দিতে প্রবৃত্ত হলেন। 2 কিন্তু রাজা যিহোরামের* অথবা, যোরামের মেয়ে ও অহসিয়ের বোন যিহোশেবা অহসিয়ের ছেলে যোয়াশকে সেই রাজপুত্রদের মধ্যে থেকে চুরি করে এনেছিলেন, যাদের অথলিয়া হত্যা করতে যাচ্ছিলেন। তিনি যোয়াশকে অথলিয়ার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য তাকে ও তার ধাত্রীকে শোবার ঘরে লুকিয়ে রেখেছিলেন; তাই তাকে হত্যা করা যায়নি। 3 একদিকে যখন তাকে ও তার ধাত্রীকে সদাপ্রভুর মন্দিরে ছয় বছর লুকিয়ে রাখা হল, অন্যদিকে অথলিয়া দেশ শাসন করে যাচ্ছিলেন। 4 সপ্তম বছরে যিহোয়াদা শত-সেনাপতিদের, এবং করেয় ও রক্ষীদলের সেনাপতিদের সদাপ্রভুর মন্দিরে নিজের কাছে ডেকে পাঠালেন। তাদের সাথে তিনি একটি চুক্তি করলেন ও সদাপ্রভুর মন্দিরে তাদের দিয়ে একটি শপথ করিয়ে নিয়েছিলেন। পরে তিনি তাদের সেই রাজপুত্রকে দেখতে দিলেন। 5 তিনি এই বলে তাদের আদেশ দিলেন, “তোমাদের এরকম করতে হবে: তোমরা যারা তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে সাব্বাথবারে কাজে যোগ দিতে যাচ্ছ—তোমাদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ রাজপ্রাসাদ পাহারা দেবে, 6 এক-তৃতীয়াংশ থাকবে সূর-দুয়ারে, এবং এক-তৃতীয়াংশ থাকবে সেই রক্ষীর পিছন দিকের দুয়ারে, যে মন্দির পাহারা দেওয়ার জন্য ঘুরতে থাকে— 7 আর তোমরা, যারা অন্য দুটি দলে আছ, যারা সাব্বাথবারে সাধারণত কাজ করো না, তোমরা সবাই রাজার জন্য মন্দির পাহারা দিয়ো। 8 তোমরা প্রত্যেকে হাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাজাকে ঘিরে রেখো। যে কেউ তোমাদের সৈন্যশ্রেণীর অথবা চৌহদ্দির কাছাকাছি আসবে, তাকে মেরে ফেলতে হবে। রাজা যেখানেই যাবেন, তোমরা তাঁর কাছাকাছি থেকো।” 9 শত-সেনাপতিরা হুবহু যাজক যিহোয়াদার আদেশানুসারেই কাজ করল। প্রত্যেকে তাদের লোকজন নিয়ে—যারা সাব্বাথবারে কাজ করত ও যারা সাব্বাথবারে কাজ করা থেকে বিরত থাকত, সবাই—যাজক যিহোয়াদার কাছে এসেছিল। 10 পরে তিনি শত-সেনাপতিদের হাতে সেইসব বর্শা ও ঢালগুলি তুলে দিলেন, যেগুলি ছিল রাজা দাউদের এবং সদাপ্রভুর মন্দিরে রাখা ছিল। 11 যজ্ঞবেদি ও মন্দিরের কাছে, রক্ষীরা প্রত্যেকে হাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে, মন্দিরের দক্ষিণ দিক থেকে শুরু করে উত্তর দিক পর্যন্ত রাজাকে ঘিরে রেখেছিল। 12 13 যিহোয়াদা রাজপুত্রকে বাইরে বের করে এনে তাঁর মাথায় রাজমুকুট পরিয়ে দিলেন; তিনি রাজপুত্রকে পবিত্র নিয়ম-সমৃদ্ধ একটি অনুলিপি উপহার দিয়ে তাঁকে রাজা ঘোষণা করে দিলেন। তারা তাঁকে অভিষিক্ত করল, ও প্রজারা হাততালি দিয়ে চিৎকার করে বলে উঠেছিল, “রাজা দীর্ঘজীবী হোন!” রক্ষী ও প্রজাদের সেই চিৎকার শুনে অথলিয়া সদাপ্রভুর মন্দিরে প্রজাদের কাছে গেলেন। 14 তিনি তাকিয়ে দেখেছিলেন, প্রথানুসারে রাজা থামের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। কর্মকর্তা ও শিঙাবাদকেরা রাজার পিছনে দাঁড়িয়েছিল, ও দেশের প্রজারা সবাই আনন্দ করতে করতে শিঙা বাজাচ্ছিল। তখন অথলিয়া তাঁর রাজবস্ত্র ছিঁড়ে বলে উঠেছিলেন, “রাজদ্রোহ! রাজদ্রোহ!” 15 সৈন্যদলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শত-সেনাপতিদের যাজক যিহোয়াদা আদেশ দিলেন: “সৈন্যশ্রেণীর অথবা, চৌহদ্দির মাঝখান দিয়ে তাঁকে বের করে আনো এবং যে কেউ তাঁর অনুগামী, তাকে তরোয়ালের আঘাতে তাকে হত্যা করো।” কারণ যাজকমশাই বললেন, “সদাপ্রভুর মন্দিরের মধ্যে তাঁকে হত্যা করা ঠিক হবে না।” 16 তাই তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করে সেই স্থানে নিয়ে গেল, যেখান থেকে ঘোড়াগুলি প্রাসাদ-সংলগ্ন মাঠে প্রবেশ করে, এবং সেখানেই তাঁকে হত্যা করা হল। 17 যিহোয়াদা পরে এই বলে সদাপ্রভু এবং রাজা ও প্রজাদের মধ্যে এক পবিত্র নিয়ম স্থাপন করে দিলেন, যে তারা সদাপ্রভুর প্রজা হয়েই থাকবে। এছাড়াও তিনি রাজা ও প্রজাদের মধ্যেও এক পবিত্র নিয়ম স্থাপন করে দিলেন। 18 দেশের প্রজারা সবাই বায়ালের মন্দিরে গিয়ে সেটি ভেঙে ফেলেছিল। তারা যজ্ঞবেদি ও প্রতিমার মূর্তিগুলিও ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিয়েছিল এবং বায়ালের যাজক মত্তনকে যজ্ঞবেদির সামনেই হত্যা করল। পরে যাজক যিহোয়াদা সদাপ্রভুর মন্দিরে পাহারাদার বসিয়ে দিলেন। 19 তিনি শত-সেনাপতি, করেয়, রক্ষীদল ও দেশের সব প্রজাকে সাথে নিয়ে রাজাকে সদাপ্রভুর মন্দির থেকে বের করে এনে রক্ষীদলের দুয়ার দিয়ে রাজপ্রাসাদে নিয়ে গেলেন। রাজা পরে রাজসিংহাসনে বিরাজমান হলেন। 20 দেশের প্রজারা সবাই আনন্দ করল, ও নগরে শান্তি বিরাজিত হল, যেহেতু প্রাসাদে অথলিয়াকে তরোয়াল দিয়ে মেরে ফেলা হল। 21 যোয়াশ§ অথবা, যিহোয়াশ যখন রাজত্ব করতে শুরু করলেন, তখন তাঁর বয়স সাত বছর।
Total 25 অধ্যায়গুলির, Selected অধ্যায় 11 / 25
×

Alert

×

Bengali Letters Keypad References