1. সন্বল্লট যখন শুনিতে পাইল যে, আমরা প্রাচীর গাঁথিতেছি, তখন সে কুপিত ও অতিশয় বিরক্ত হইল, আর যিহূদীদিগকে বিদ্রূপ করিল।
2. আর সে আপন ভ্রাতৃগণের ও শমরীয় সৈন্যদলের সাক্ষাতে কহিল, এই নিস্তেজ যিহূদীরা কি করিতেছে? ইহারা কি আপনাদিগকে দৃঢ় করিবে? ইহারা কি যজ্ঞ করিবে? এক দিনে কি সমাপ্ত করিবে? কাঁথড়ার ঢিবি হইতে এই প্রস্তর সকল তুলিয়া কি সজীব করিবে?
3. এ সব যে পুড়িয়া গিয়াছে! তখন অম্মোনীয় টোবিয় তাহার পার্শ্বে ছিল; সেও কহিল, উহারা যে গাঁথনি করিতেছে, তাহার উপরে যদি শিয়াল উঠে, তবে তাহাদের সেই পাথরের প্রাচীর ভাঙ্গিয়া পড়িবে।
4. —হে আমাদের ঈশ্বর, শ্রবণ কর, কেননা আমরা তুচ্ছীকৃত হইলাম; উহাদের টিট্কারি উহাদেরই মস্তকে বর্ত্তাও, এবং উহাদিগকে বন্দি হইয়া লুটিত বস্তুর ন্যায় বিদেশে থাকিতে দেও;
5. উহাদের অপরাধ ঢাকিয়া রাখিও না, ও উহাদের পাপ তোমার সম্মুখ হইতে মুছিয়া যাইতে দিও না; কেননা উহারা গাঁথকদিগেক সম্মুখে [তোমাকে] অসন্তুষ্ট করিয়াছে।
6. —এইরূপে আমরা প্রাচীর গাঁথিলাম, তাহাতে [উচ্চতার] অর্দ্ধ পর্য্যন্ত সমস্ত প্রাচীর সংযোজিত হইল, কারণ কার্য্য করিতে লোকদের মন ছিল।
7. আর সন্বল্লট ও টোবিয় এবং আরবীয়েরা, অম্মোনীয়েরা ও অস্দোদীয়েরা যখন শুনিতে পাইল, যিরূশালেমের প্রাচীরের মেরামৎ সম্পন্ন হইতেছে, ও তাহার ছিদ্র সকল বদ্ধ করিতে আরম্ভ করা হইয়াছে, তখন তাহারা অতিশয় ক্রুদ্ধ হইল;
8. আর তাহারা সকলে যিরূশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করিবার জন্য ও গোলযোগ উৎপন্ন করিবার জন্য চক্রান্ত করিল।
9. কিন্তু তাহাদের ভয়ে আমরা আপনাদের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করিলাম, ও দিবারাত্র তাহাদের বিরুদ্ধে প্রহরিগণকে রাখিলাম।
10. আর যিহূদার লোকেরা কহিল, ভারবাহকেরা দুর্ব্বল হইয়াছে, এবং কাঁথড়া অনেক আছে, প্রাচীর গাঁথা আমাদের অসাধ্য।
11. আবার আমাদের বিপক্ষগণ কহিল, উহারা জানিবে না, দেখিবে না, অমনি আমরা উহাদের মধ্যে আসিয়া উহাদিগকে বধ করিয়া কার্য্য বদ্ধ করিব।
12. আর তাহাদের নিকটবাসী যিহূদীরা সর্ব্বস্থান হইতে আসিয়া দশ বার আমাদিগকে বলিল, তোমাদিগকে আমাদের কাছে ফিরিয়া আসিতে হইবে।
13. অতএব আমি প্রাচীরের পশ্চাৎ দিকে নীচস্থ অনাবৃত স্থানে লোক নিযুক্ত করিলাম, স্ব স্ব গোষ্ঠী অনুসারে খড়্গ, বড়শা ও ধনুক সমেত লোক নিযুক্ত করিলাম।
14. পরে আমি চাহিয়া দেখিলাম, এবং উঠিয়া প্রধান লোকদিগকে, অধ্যক্ষগণকে ও অন্য সকল লোককে কহিলাম, তোমরা উহাদের হইতে ভীত হইও না; মহান্ ও ভয়ঙ্কর প্রভুকে স্মরণ কর, এবং আপন আপন ভ্রাতৃগণের, পুত্র ও কন্যাগণের, স্ত্রীদিগের ও গৃহের জন্য যুদ্ধ কর।
15. আর যখন আমাদের শত্রুগণ শুনিতে পাইল যে, আমরা জানিতে পারিয়াছি, আর ঈশ্বর তাহাদের মন্ত্রণা বিফল করিয়াছেন, তখন আমরা সকলে প্রাচীরে আপন আপন কার্য্য করিতে পুনর্ব্বার গমন করিলাম।
16. আর সেই দিন অবধি আমার যুবকদের অর্দ্ধেক লোক কর্ম্ম করিত, অন্য অর্দ্ধেক লোক বড়শা, ঢাল, ধনু ও বর্ম্ম ধরিয়া থাকিত, এবং সমস্ত যিহূদা কুলের পশ্চাতে অধ্যক্ষগণ থাকিতেন।
17. যাহারা প্রাচীর গাঁথিত, আর যাহারা ভার বহিত, তাহারা ভার তুলিয়া দিত, সকলে এক হস্তে কর্ম্ম করিত, অন্য হস্তে অস্ত্র ধরিত;
18. আর গাঁথকেরা প্রত্যেক জন কটিদেশে খড়্গ বাঁধিয়া গাঁথিত; এবং তূরীবাদক আমার পার্শ্বে থাকিত।
19. আর আমি প্রধান লোকদিগকে, অধ্যক্ষগণকে ও অন্য সকল লোককে কহিলাম, এই কর্ম্ম ভারী ও বিস্তীর্ণ, এবং আমরা প্রাচীরের উপরে পৃথক্ পৃথক্ হইয়া এক জন হইতে অন্য জন দূরে আছি;
20. তোমরা যে কোন স্থানে তূরীর শব্দ শুনিবে, সেই স্থানে আমাদের নিকটে একত্র হইবে; আমাদের ঈশ্বর আমাদের নিমিত্ত যুদ্ধ করিবেন।
21. এইরূপে আমরা কর্ম্ম করিতাম, এবং অরুণোদয় কাল অবধি তারাদর্শন কাল পর্য্যন্ত আমাদের অর্দ্ধেক লোক বড়শা ধরিয়া থাকিত।
22. সেই সময়ে আমি লোকদিগকে আরও কহিলাম, প্রত্যেক পুরুষ আপন আপন চাকরের সহিত রাত্রিকালে যিরূশালেমের মধ্যে থাকুক; তাহারা রাত্রিকালে আমাদের রক্ষক হইবে, ও দিবসে কর্ম্ম করিবে।
23. অতএব আমি, আমার ভ্রাতৃগণ, যুবকেরা ও আমার অনুবর্ত্তী রক্ষকেরা কেহ বস্ত্র খুলিতাম না, প্রত্যেকে নিজ নিজ অস্ত্রসহ জলের নিকটে যাইতাম।