1. ঈশ্বর পূর্ব্বকালে বহুভাগে ও বহুরূপে ভাববাদিগণে পিতৃলোকদিগকে কথা বলিয়া,
2. এই শেষ কালে পুত্রেই আমাদিগকে বলিয়াছেন। তিনি ইঁহাকেই সর্ব্বাধিকারী দায়াদ করিয়াছেন, এবং ইঁহারই দ্বারা যুগকলাপের রচনাও করিয়াছেন।
3. ইনি তাঁহার প্রতাপের প্রভা ও তত্ত্বের মুদ্রাঙ্ক, এবং আপন পরাক্রমের বাক্যে সমুদয়ের ধারণকর্ত্তা হইয়া পাপ ধৌত করিয়া ঊর্দ্ধলোকে মহিমার দক্ষিণে উপবিষ্ট হইলেন।
4. স্বর্গদূতগণ অপেক্ষা যে পরিমাণে উৎকৃষ্ট নামের অধিকার পাইয়াছেন, তিনি সেই পরিমাণে শ্রেষ্ঠ হইয়াছেন।
5. কারণ ঈশ্বর ঐ দূতগণের মধ্যে কাহাকে কোন্ সময়ে বলিয়াছেন, “তুমি আমার পুত্র, আমি অদ্য তোমাকে জন্ম দিয়াছি,” আবার, “আমি তাঁহার পিতা হইব, ও তিনি আমার পুত্র হইবেন”?
6. আর যখন তিনি প্রথমজাতকে আবার জগতে আনেন, তখন বলেন, “ঈশ্বরের সকল দূত ইহাঁর ভজনা করুক”।
7. আর দূতগণের বিষয়ে তিনি বলেন, “তিনি আপন দূতগণকে বায়ুস্বরূপ করেন, আপন সেবকদিগকে অগ্নিশিখাস্বরূপ করেন।”
8. কিন্তু পুত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, “হে ঈশ্বর, তোমার সিংহাসন অনন্তকালস্থায়ী; আর সারল্যের শাসনদণ্ডই তাঁহার রাজ্যের শাসনদণ্ড।
9. তুমি ধার্ম্মিকতাকে প্রেম, ও দুষ্টতাকে ঘৃণা করিয়াছ; এই কারণ ঈশ্বর, তোমার ঈশ্বর, তোমাকে অভিষিক্ত করিয়াছেন, তোমার সখাগণ অপেক্ষা অধিক পরিমাণে আনন্দ-তৈলে।”
10. আর, “হে প্রভু, তুমিই আদিতে পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করিয়াছ, আকাশমণ্ডলও তোমার হস্তের রচনা।
11. সে সকল বিনষ্ট হইবে, কিন্তু তুমিই নিত্যস্থায়ী; সে সমস্ত বস্ত্রের ন্যায় জীর্ণ হইয়া পড়িবে,
12. তুমি পরিচ্ছদের ন্যায় সে সকল জড়াইবে, বস্ত্রের ন্যায় জড়াইবে, আর সে সমস্তের পরিবর্ত্তন হইবে; কিন্তু তুমি যে, সেই আছ, এবং তোমার বৎসর সকল কখনও শেষ হইবে না।”
13. কিন্তু তিনি দূতগণের মধ্যে কাহাকে কোন্ সময়ে বলিয়াছেন, “তুমি আমার দক্ষিণে বস, যাবৎ আমি তোমার শত্রুগণকে তোমার পাদপীঠ না করি”?
14. উহাঁরা সকলে কি সেবাকারী আত্মা নহেন? যাহারা পরিত্রাণের অধিকারী হইবে, উহাঁরা কি তাহাদের পরিচর্য্যার জন্য প্রেরিত নহেন?