1. পরে তিনি আমাকে ঘুরাইয়া গৃহের প্রবেশস্থানে আনিলেন, আর দেখ, গৃহের গোবরাটের নীচে হইতে জল বাহির হইয়া পূর্ব্বদিকে বহিতেছে, কেননা গৃহের সম্মুখভাগ পূর্ব্বদিকে ছিল; আর সেই জল নীচে হইতে গৃহের দক্ষিণ বগল দিয়া যজ্ঞবেদির দক্ষিণে নামিয়া যাইতে ছিল।
2. পরে তিনি আমাকে উত্তরদ্বারের পথ দিয়া বাহির করিলেন, এবং ঘুরাইয়া বাহিরের পথ দিয়া, পূর্ব্বাভিমুখ পথ দিয়া, বহির্দ্বার পর্য্যন্ত লইয়া গেলেন; আর দেখ, দক্ষিণ বগল দিয়া জল চোঁয়াইয়া পড়িতেছিল।
3. সে ব্যক্তি যখন পূর্ব্বদিকে গিয়াছিলেন, তখন তাঁহার হস্তে এক মানসূত্র ছিল; তিনি এক সহস্র হস্ত মাপিয়া আমাকে জলের মধ্য দিয়া গমন করাইলেন; তখন গোড়ালি পর্য্যন্ত জল উঠিল।
4. আবার তিনি এক সহস্র হস্ত মাপিয়া আমাকে জলের মধ্য দিয়া গমন করাইলেন, তখন হাঁটু পর্য্যন্ত জল উঠিল। আবার তিনি এক সহস্র হস্ত মাপিয়া আমাকে জলের মধ্য দিয়া গমন করাইলেন; তখন কটি পর্য্যন্ত জল উঠিল।
5. আবার তিনি এক সহস্র হস্ত মাপিলেন; তাহা আমার অগম্য নদী হইল; কারণ জল বাড়িয়া উঠিয়াছিল, সাঁতার জল, পদব্রজে পার হওয়া যায় না, এমন নদী হইয়াছিল।
6. তখন তিনি আমাকে কহিলেন, হে মনুষ্য-সন্তান, তুমি দেখিলে? পরে তিনি আমাকে পুনরায় ঐ নদীর তীরে লইয়া গেলেন।
7. আর আমি যখন ফিরিয়া গেলাম, তখন দেখ, সেই নদীর তীরে এপারে ওপারে অনেক বৃক্ষ ছিল।
8. তখন তিনি আমাকে কহিলেন, এই জল পূর্ব্বদিক্স্থ অঞ্চলে বহিতেছে, অরাবা তলভূমিতে নামিয়া যাইবে, এবং সমুদ্রের দিকে যাইবে; যে জল বাহির করা হইয়াছে তাহা সমুদ্রে যাইবে ও ইহার জল উত্তম হইবে।
9. আর এই স্রোতের জল যে কোন স্থানে বহিবে সে স্থানের অগণনীয় জীবজন্তু বাঁচিবে; আর যার-পর-নাই প্রচুর মৎস্য হইবে; কেননা এই জল সেখানে গিয়াছে বলিয়া সেখানকার [জল] উত্তম হইবে; এবং এই স্রোত যে কোন স্থান দিয়া বহিবে, সেই স্থানের সকলই সঞ্জীবিত হইবে।
10. আর তাহার তীরে ধীবরগণ দাঁড়াইবে, ঐন্গদী অবধি ঐন্-ইগ্লয়িম পর্য্যন্ত জাল বিস্তার করিবার স্থান হইবে; মহাসমুদ্রের মৎস্যের ন্যায় নানাজাতীয় মৎস্য জন্মিয়া যার-পর-নাই প্রচুর হইবে।
11. কিন্তু তাহার পঙ্কস্থান ও জলাভূমির প্রতীকার হইবে না; তাহা লবণার্থে নিরূপিত।
12. আর নদীর ধারে এপারে ওপারে সর্ব্বপ্রকার ভোজনার্থ ফলের বৃক্ষ হইবে, তাহার পত্র ম্লান হইবে না, ও ফল শেষ হইবে না; প্রতিমাসে তাহার ফল পাকিবে, কেননা তাহার সেচনের জল ধর্ম্মধাম হইতে নির্গত; আর তাহার ফল আহারের জন্য ও পুত্র আরোগ্যের নিমিত্ত ব্যবহৃত হইবে।
13. প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তোমরা ইস্রায়েলের দ্বাদশ বংশকে যে দেশ অধিকার জন্য দিবে, তাহার সীমা এই; যোষেফের দুই অংশ হইবে।
14. আর তোমরা সকলে সমানাংশে অধিকার বলিয়া তাহা পাইবে, কারণ আমি তোমাদের পিতৃপুরুষদিগকে এই দেশ দিব বলিয়া হস্ত উত্তোলন করিয়াছিলাম; এই দেশ অধিকার বলিয়া তোমাদের হইবে।
15. আর দেশের সীমা এই; উত্তরদিকে মহাসমুদ্র হইতে সদাদের প্রবেশস্থান পর্য্যন্ত হিৎলোনের পথ;
16. হমাৎ, বরোথা, সিব্রয়িম, যাহা দম্মেশকের সীমার ও হমাতের সীমার মধ্যস্থিত; হৌরণের সীমার নিকটস্থ হৎসর-হত্তীকোন।
17. আর সমুদ্র হইতে সীমা দম্মেশকের সীমাস্থ হৎসোর ঐনন পর্য্যন্ত যাইবে, আর উত্তরদিকে হমাতের সীমা; এই উত্তরপ্রান্ত।
18. আর পূর্ব্বপ্রান্ত হৌরণ, দম্মেশক ও গিলিয়দের এবং ইস্রায়েল-দেশের মধ্যবর্ত্তী যর্দ্দন; তোমরা [উত্তর] সীমা অবধি পূর্ব্ব সমুদ্র পর্য্যন্ত মাপিবে; এই পূর্ব্বপ্রান্ত।
19. আর দক্ষিণপ্রান্ত দক্ষিণে তামর অবধি কাদেশস্থ মরীবৎ জলাশয় [মিসরের] স্রোতোমার্গ ও মহাসমুদ্র পর্য্যন্ত; দক্ষিণদিকের এই দক্ষিণপ্রান্ত।
20. আর পশ্চিমপ্রান্ত মহাসমুদ্র; [দক্ষিণ] সীমা অবধি হমাতের প্রবেশস্থানের সম্মুখ পর্য্যন্ত এই পশ্চিমপ্রান্ত।
21. এইরূপে তোমরা ইস্রায়েলের বংশানুসারে আপনাদের মধ্যে এই দেশ বিভাগ করিবে।
22. তোমরা আপনাদের নিমিত্ত, এবং যে বিদেশী লোকেরা তোমাদের মধ্যে প্রবাস করিয়া তোমাদের মধ্যে সন্তান উৎপন্ন করে, তাহাদেরও নিমিত্ত তাহা অধিকারার্থে গুলিবাঁট দ্বারা বিভাগ করিবে; এবং ইহারা ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে স্বজাতীয় লোকদের ন্যায় গণিত হইবে, তোমাদের সহিত ইস্রায়েল-বংশ সকলের মধ্যে অধিকার পাইবে।
23. তোমাদের যে বংশের মধ্যে যে বিদেশী লোক প্রবাস করিবে, তাহার মধ্যে তোমরা তাহাকে অধিকার দিবে, ইহা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।