1. বাস্তবিক শুনা যাইতেছে যে তোমাদের মধ্যে ব্যভিচার আছে, আর এমন ব্যভিচার, যাহা পরজাতীয়দের মধ্যেও নাই, এমন কি, তোমাদের মধ্যে এক জন আপন পিতার ভার্য্যাকে রাখিয়াছে।
2. আর তোমরা গর্ব্ব করিতেছ! বরং বিলাপ কর নাই কেন, যেন এমন কর্ম্ম যে ব্যক্তি করিয়াছে, তাহাকে তোমাদের মধ্য হইতে বাহির করিয়া দেওয়া হয়?
3. আমি, দেহে অনুপস্থিত হইলেও আত্মাতে উপস্থিত হইয়া, যে ব্যক্তি এই প্রকারে সেই কার্য্য করিয়াছে, উপস্থিত ব্যক্তির ন্যায় তাহার বিচার করিয়াছি;
4. আমাদের প্রভু যীশুর নামে তোমরা এবং আমার আত্মা সমাগত হইলে,
5. আমাদের প্রভু যীশুর পরাক্রম সহকারে তাদৃশ ব্যক্তিকে মাংসের বিনাশার্থে শয়তানের হস্তে সমর্পণ করিতে হইবে, যেন প্রভু যীশুর দিনে আত্মা পরিত্রাণ পায়।
6. তোমাদের শ্লাঘা করা ভাল নয়। তোমরা কি জান না যে, অল্প তাড়ী সূজীর সমস্ত তাল তাড়ীময় করিয়া ফেলে।
7. পুরাতন তাড়ী বাহির করিয়া দেও; যেন তোমরা নূতন তাল হইতে পার—তোমরা ত তাড়ীশূন্য। কারণ আমাদের নিস্তারপর্ব্বীয় মেষশাবক বলীকৃত হইয়াছেন, তিনি খ্রীষ্ট।
8. অতএব আইস, আমরা পুরাতন তাড়ী দিয়া নয়, হিংসা ও দুষ্টতার তাড়ী দিয়া নয়, কিন্তু সরলতা ও সত্যশীলতার তাড়ীশূন্য রুটী দিয়া পর্ব্বটী পালন করি।
9. আমি আমার পত্রে তোমাদিগকে লিখিয়াছিলাম যে, ব্যভিচারীদের সংসর্গে থাকিতে নাই;
10. এই জগতের ব্যভিচারী কি লোভী কি পরধনগ্রাহী কি প্রতিমাপূজকদের সংসর্গ একেবারে ছাড়িতে হইবে, তাহা নয়, কেননা তাহা হইলে সুতরাং জগতের বাহিরে যাওয়া তোমাদের আবশ্যক হইয়া পড়ে।
11. কিন্তু এখন তোমাদিগকে লিখিতেছি যে, ভ্রাতা নামে আখ্যাত কোন ব্যক্তি যদি ব্যভিচারী কি লোভী কি প্রতিমাপূজক কি কটুভাষী কি মাতাল কি পরধনগ্রাহী হয়, তবে তাহার সংসর্গে থাকিতে নাই, এমন ব্যক্তির সহিত আহার করিতেও নাই।
12. বস্তুতঃ বাহিরের লোকদের বিচারে আমার কাজ কি? ভিতরের লোকদের বিচার কি তোমরা কর না?
13. কিন্তু বাহিরের লোকদের বিচার ঈশ্বর করিবেন। তোমরা আপনাদের মধ্য হইতে সেই দুষ্টকে বাহির করিয়া দেও।