1. দ্বিতীয় খণ্ড। [1] হরিণী যেমন জলস্রোতের আকাঙ্ক্ষা করে, তেমনি, হে ঈশ্বর, আমার প্রাণ তোমার আকাঙ্ক্ষা করিতেছে।
2. ঈশ্বরের জন্য, জীবন্ত ঈশ্বরের জন্য আমার প্রাণ তৃষ্ণার্ত্ত। আমি কখন আসিয়া ঈশ্বরের সাক্ষাতে উপস্থিত হইব?
3. আমার নেত্রজল দিবারাত্র আমার ভক্ষ্য হইল, কেননা লোকে সমস্ত দিন আমাকে বলে, ‘তোমার ঈশ্বর কোথায়?’
4. আমি ইহা স্মরণ করিয়া অন্তরে আপন প্রাণ ঢালি, কেননা আমি লোকারণ্যের সহিত যাত্রা করিতাম, তাহাদিগকে ঈশ্বরের গৃহে লইয়া যাইতাম, আনন্দ ও স্তবগানের ধ্বনির সহিত বহুলোক পর্ব্ব পালন করিত।
5. হে আমার প্রাণ, কেন অবসন্ন হও? আমার অন্তরে কেন ক্ষুব্ধ হও? ঈশ্বরে প্রত্যাশা রাখ; কেননা আমি আবার তাঁহার স্তব করিব; তিনি আমার মুখের পরিত্রাণ ও আমার ঈশ্বর।
6. আমার প্রাণ আমার অন্তরে অবসন্ন হইতেছে; সেইজন্য আমি তোমাকে স্মরণ করিতেছি, যর্দ্দনের দেশ হইতে, আর হর্ম্মোণ গিরিশ্রেণী, মিৎসিয়র পর্ব্বত হইতে।
7. তোমার নির্ঝরসমূহের শব্দে জলপ্রবাহ জলপ্রবাহকে আহ্বান করিতেছে; তোমার সকল ঢেউ, তোমার সকল তরঙ্গ আমার উপর দিয়া যাইতেছে।
8. সদাপ্রভু দিবসে আপন দয়াকে আদেশ করিবেন, রাত্রিতে তাঁহার স্তোত্র আমার সঙ্গী হইবে, আমার জীবনেশ্বরের কাছে প্রার্থনা [করিব]।
9. আমি আপন শৈলস্বরূপ ঈশ্বরকে বলিব, কেন আমাকে ভুলিয়া গিয়াছ? আমি কেন শত্রুর দৌরাত্ম্যে বিষণ্ণ হইয়া বেড়াইতেছি?
10. আমার বিপক্ষেরা আমাকে তিরস্কার করে, যেন অস্থি পর্য্যন্ত চূর্ণ করে, তাহারা সমস্ত দিন আমাকে বলে, তোমার ঈশ্বর কোথায়?
11. হে আমার প্রাণ, কেন অবসন্ন হও? আমার অন্তরে কেন ক্ষুব্ধ হও? ঈশ্বরের অপেক্ষা কর; কেননা আমি আবার তাঁহার স্তব করিব; তিনি আমার মুখের পরিত্রাণ ও আমার ঈশ্বর।