3. তুমি আমার বসতির শৈল হও, যেখানে আমি নিত্য যাইতে পারি; তুমি আমার পরিত্রাণ করিতে আজ্ঞা করিয়াছ; কেননা তুমিই আমার শৈল ও আমার দুর্গ।
|
6. গর্ভ হইতে তোমার উপরেই আমার নির্ভর; জননীর জঠর হইতে তুমিই আমার হিতৈষী; আমি সতত তোমারই প্রশংসা করি।
|
10. কারণ আমার শত্রুগণ আমার বিষয়ে কথা কহে, আমার প্রাণের উপরে যাহাদের চক্ষু, তাহারা একত্র মন্ত্রণা করে।
|
13. তাহারা লজ্জিত ও উচ্ছিন্ন হউক, যাহারা আমার প্রাণের বিপক্ষ; তাহারা তিরস্কারে ও অপমানে আচ্ছন্ন হউক, যাহারা আমার অনিষ্ট চেষ্টা করে।
|
15. আমার মুখ তোমার ধর্ম্মশীলতা বর্ণনা করিবে, তোমার পরিত্রাণ সমস্ত দিন বর্ণনা করিবে, কেননা আমি তাহার সংখ্যা জানি না।
|
16. আমি প্রভু সদাপ্রভুর পরাক্রমের ক্রিয়া সকল লইয়া উপস্থিত হইব; আমি তোমার, কেবল তোমারই ধর্ম্মশীলতা উল্লেখ করিব।
|
17. হে ঈশ্বর, তুমি বাল্যকালাবধি আমাকে শিক্ষা দিয়া আসিতেছ; আর এ পর্য্যন্ত আমি তোমার আশ্চর্য্য ক্রিয়া সকল প্রচার করিতেছি।
|
18. হে ঈশ্বর, বৃদ্ধ বয়স ও পক্বকেশের কাল পর্য্যন্তও আমাকে পরিত্যাগ করিও না, যাবৎ আমি এই বর্ত্তমান লোকদিগকে তোমার বাহুবল, ভাবী লোক সকলকে তোমার পরাক্রম, জ্ঞাত না করি।
|
19. হে ঈশ্বর, তোমার ধর্ম্মশীলতাও ঊর্দ্ধ পর্য্যন্ত ব্যাপ্ত; তুমি মহৎ মহৎ কার্য্য সাধন করিয়াছ; হে ঈশ্বর, তোমার তুল্য কে?
|
20. তুমি আমাদিগকে অনেক দারুণ সঙ্কট দেখাইয়াছ, তুমি ফিরিয়া আমাদিগকে সঞ্জীবিত করিবে, পৃথিবীর অধঃস্থান হইতে পুনর্ব্বার উঠাইবে।
|
22. আবার আমি নেবল যন্ত্রে তোমার স্তব করিব, হে আমার ঈশ্বর, তোমার সত্যের স্তব করিব, হে ইস্রায়েলের পবিত্রতম, বীণাতে তোমার উদ্দেশে সঙ্গীত করিব।
|
23. তোমার উদ্দেশে সঙ্গীত করিবার সময়ে আমার ওষ্ঠাধর আনন্দগান করিবে, আমার প্রাণও করিবে, যাহা তুমি মুক্ত করিয়াছ।
|
24. আমার জিহ্বাও সমস্ত দিন তোমার ধর্ম্মশীলতার কথা কহিবে, কারণ তাহারা লজ্জিত হইয়াছে, তাহারা হতাশ হইয়াছে, যাহারা আমার অনিষ্ট চেষ্টা করে।
|