1. ধিক্ ঐ রক্তপাতী নগরকে। সে একেবারে মিথ্যায় ও দৌরাত্ম্যে পরিপূর্ণ; লুট ছাড়ে না।
2. কশার শব্দ; ঘূর্ণয়মান চক্রের শব্দ; প্লবমান অশ্ব ও লম্ফমান রথ;
3. অশ্বারোহী যোদ্ধা, চাক্চিক্যশালী খড়্গ, বজ্রতুল্য বড়শা; নিহতগণের রাশি ও মৃত দেহের ঢিবী, শব-শমূহের শেষ নাই, উহাদের শবের উপরে লোকে উছোট খায়।
4. ইহার কারণ সেই পরমাসুন্দরী বেশ্যার বেশ্যাক্রিয়ার বাহুল্য; সেই প্রধান মায়াবিনী আপন বেশ্যাক্রিয়াতে জাতিদিগকে ও আপন মায়াতে গোষ্ঠীদিগকে বিক্রয় করে।
5. বাহিনীগণের সদাপ্রভু কহেন, দেখ, আমি তোমার বিপক্ষ, আমি তোমার বস্ত্রের অঞ্চল তুলিয়া তোমার মুখের উপরে টানিয়া দিব, জাতিগণকে তোমার উলঙ্গতা ও নানা রাজ্যের লোকদিগকে তোমার লজ্জা দেখাইব।
6. আমি তোমার উপরে জঞ্জাল নিক্ষেপ করিয়া তোমাকে বিরূপ করিব, ও কৌতুকাস্পদ বলিয়া স্থাপন করিব।
7. তাই যে কেহ তোমাকে দেখিবে, সে তোমার নিকট হইতে পলায়ন করিবে, আর বলিবে, নীনবী উৎসন্ন হইল, তাহার বিষয়ে কে বিলাপ করিবে? আমি কোথায় গিয়া তোমার নিমিত্ত সান্ত্বনাকারীদের অন্বেষণ করিব?
8. নো-আমোন হইতে তুমি কি শ্রেষ্ঠ? সে ত নদীগণের মধ্যে সুখাসীনা ও চারিদিকে জলবেষ্টিতা ছিল; জলনিধি তাহার পরিখা, সমুদ্র তাহার প্রাচীর ছিল।
9. কূশ ও মিসর তাহার বলস্বরূপ, তাহা অসীম; পুট ও লূবীয়গণ তাহার সহকারী ছিল।
10. তথাপি সেও নির্ব্বাসিতা হইল, বন্দিদশার দেশে গেল, তাহার শিশুদিগকেও সকল পথের মাথায় আছাড় মারিয়া খণ্ড খণ্ড করা হইল; শত্রুরা তাহার মান্যবান পুরুষদের নিমিত্ত গুলিবাঁট করিল, এবং তাহার মহল্লোকের শৃঙ্খলে বদ্ধ হইল।
11. তুমিও মত্তা হইবে, লুক্কায়িতা হইবে; তুমিও শত্রুভয় প্রযুক্ত আশ্রয় চেষ্টা করিবে।
12. তোমার দৃঢ় দুর্গ সকল আশুপক্ব ফলবিশিষ্ট ডুমুরবৃক্ষের ন্যায় হইবে; সঞ্চালিত হইলে তাহার ফল ভক্ষকের মুখে পড়ে।
13. দেখ, তোমার মধ্যস্থিত প্রজারা স্ত্রীলোক; তোমার দেশের পুরদ্বার সকল শত্রুগণের জন্য খোলা গিয়াছে, অগ্নি তোমার অর্গল সকল গ্রাস করিয়াছে।
14. তুমি অবরোধ সময়ের জন্য জল তোল, তোমার দুর্গ সকল দৃঢ় কর, ইটখোলাতে যাও, কাদা ছান, ইটের পাঁজা সাজাও।
15. সেখানে অগ্নি তোমাকে গ্রাস করিবে; খড়্গ তোমাকে ছেদন করিবে, তাহা পতঙ্গের ন্যায় তোমাকে খাইয়া ফেলিবে; তুমি পতঙ্গের ন্যায় বড় ঝাঁক হও, পঙ্গপালের ন্যায় বড় ঝাঁক হও।
16. তুমি আকাশের তারা হইতেও আপন বণিকগণের বৃদ্ধি করিয়াছ; পতঙ্গ ঝাঁক বাঁধিয়া উড়িয়া যাইতেছে।
17. তোমার কিরীটিগণ পঙ্গপালের তুল্য; তোমার সেনাপতিরা অগণ্য ফড়িঙ্গের তুল্য; ফড়িঙ্গ ত শীতের দিনে বেড়াতে আশ্রয় লয়, কিন্তু সূর্য্যোদয় হইলে উড়িয়া যায়; কোন্ স্থানে গেল, তাহা জানা যায় না।
18. হে অশূর-রাজ, তোমার পালরক্ষকেরা নিদ্রা গিয়াছে, তোমার কুলীনেরা বিশ্রাম করিতেছে, তোমার প্রজারা পর্ব্বতগণের উপরে ছিন্নভিন্ন রহিয়াছে, তাহাদিগকে সংগ্রহ করিবার কেহ নাই;
19. তোমার ভঙ্গের প্রতীকার নাই; তোমার ক্ষত সাংঘাতিক; যাহারা তোমার বার্ত্তা শুনিবে, তাহারা তোমার উপরে হাততালী দিবে; কেননা তোমার হিংসা তাহার উপরে না অবিরত রহিয়াছে?