1. তুমি তাহাদিগকে স্মরণ করাইয়া দেও, যেন তাহারা আধিপত্যের ও কর্ত্তৃত্বের বশীভূত হয়, বাধ্য হয়, সর্ব্বপ্রকার সৎক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত হয়,
2. কাহারও নিন্দা না করে, নির্ব্বিরোধ ও ক্ষান্তশীল হয়, সকল মনুষ্যের কাছে সম্পূর্ণ মৃদুতা দেখায়।
3. কেননা পূর্ব্বে আমরাও নির্ব্বোধ, অবাধ্য, ভ্রান্ত, নানাবিধ অভিলাষের ও সুখভোগের দাস, হিংসাতে ও মাৎসর্য্যে কালক্ষেপকারী, ঘৃণার্হ ও পরস্পর দ্বেষকারী ছিলাম।
4. কিন্তু যখন আমাদের ত্রাণকর্ত্তা ঈশ্বরের মধুর স্বভাব এবং মানবজাতির প্রতি প্রেম প্রকাশিত হইল,
5. তখন তিনি আমাদের কৃত ধর্ম্মকর্ম্মহেতু নয়, কিন্তু আপনার দয়ানুসারে, পুনর্জন্মের স্নান ও পবিত্র আত্মার নূতনীকরণ দ্বারা আমাদিগকে পরিত্রাণ করিলেন,
6. সেই আত্মাকে তিনি আমাদের ত্রাণকর্ত্তা যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা আমাদের উপরে প্রচুররূপে ঢালিয়া দিলেন;
7. যেন তাঁহারই অনুগ্রহে ধার্ম্মিক গণিত হইয়া আমরা অনন্ত জীবনের প্রত্যাশানুসারে দায়াধিকারী হই।
8. এই কথা বিশ্বসনীয়; আর আমার বাসনা এই যে, এই সকল বিষয়ে তুমি দৃঢ়নিশ্চয়তায় কথা বল; যাহারা ঈশ্বরে বিশ্বাসী হইয়াছে, তাহারা যেন সৎকার্য্যে ব্যাপৃত হইবার চিন্তা করে। এই সকল বিষয় মনুষ্যদের পক্ষে উত্তম ও সুফলদায়ক।
9. কিন্তু তুমি মূঢ়তার সকল বিতণ্ডা, বংশাবলি, বিবাদ এবং ব্যবস্থাবিষয়ক বাগ্যুদ্ধ হইতে দূরে থাক; কেননা এ সকল নিষ্ফল ও অসার।
10. যে ব্যক্তি দলভেদী, তাহাকে দুই এক বার চেতনা দিবার পর অগ্রাহ্য কর;
11. জানিও, এরূপ ব্যক্তি বিগড়াইয়া গিয়াছে, এবং সে পাপ করে, আপনি আপনাকেই দোষী করে।
12. আমি যখন তোমার নিকটে আর্ত্তিমাকে কিম্বা তুখিককে পাঠাই, তখন তুমি নীকপলিতে আমার কাছে আসিতে যত্নবান্ হইও; কেননা সেই স্থানে আমি শীতকাল যাপন করিতে স্থির করিয়াছি।
13. ব্যবস্থাবেত্তা সীনাকে এবং আপল্লোকে যত্নপূর্ব্বক পাঠাইয়া দেও, তাঁহাদের যেন কোন বিষয়ের অভাব না হয়।
14. আর আমাদের লোকেরাও প্রয়োজনীয় উপকারার্থে সৎকার্য্যে ব্যাপৃত হইতে অভ্যাস করুক, যেন ফলহীন হইয়া না পড়ে।
15. আমার সঙ্গীরা সকলে তোমাকে মঙ্গলবাদ করিতেছেন। যাঁহারা বিশ্বাস সম্বন্ধে আমাদিগকে ভালবাসেন, তাঁহাদিগকে মঙ্গলবাদ দেও। অনুগ্রহ তোমাদের সকলের সহবর্ত্তী হউক।