1. হে ঈশ্বর, সিয়োনে প্রশংসা তোমার অপেক্ষা করে, তোমার উদ্দেশে মানত পূর্ণ করা যাইবে।
2. হে প্রার্থনা শ্রবণকারী, তোমারই কাছে মর্ত্ত্যমাত্র আসিবে।
3. অপরাধসমূহ আমা হইতে প্রবল; তুমি আমাদের অধর্ম্ম সকল মার্জ্জনা করিবে।
4. ধন্য সেই, যাহাকে তুমি মনোনীত করিয়া নিকটে আন, সে তোমার প্রাঙ্গণে বাস করিবে; আমরা পরিতৃপ্ত হইব, তোমার গৃহের উত্তম দ্রব্যে, তোমার পবিত্র মন্দিরের উত্তম দ্রব্যে।
5. হে আমাদের ত্রাণেশ্বর, তুমি ধার্ম্মিকতায় ভয়ানক ক্রিয়া দ্বারা আমাদিগকে উত্তর দিবে; তুমি পৃথিবীর সমস্ত প্রান্তের, এবং দূরবর্ত্তী সমুদ্রবাসীদের বিশ্বাস-ভূমি।
6. তুমি নিজ শক্তিতে পর্ব্বতগণের স্থাপনকর্ত্তা; তুমি পরাক্রমে বদ্ধকটি।
7. তুমি সমুদ্রের গর্জ্জন, তাহার তরঙ্গের গর্জ্জন, ও জাতিগণের কোলাহল শান্ত করিয়া থাক।
8. আর প্রান্তনিবাসীরা তোমার চিহ্ন সকল দেখিয়া ভয় পায়; তুমি প্রত্যূষের ও সন্ধ্যাকালের উদয়স্থানকে আনন্দ-গানময় করিয়া থাক।
9. তুমি পৃথিবীর তত্ত্বাবধান করিতেছ, উহাতে জল সেচন করিতেছ, উহা অতিশয় ধনাঢ্য করিতেছ; ঈশ্বরের নদী জলে পরিপূর্ণ; এইরূপে ভূমি প্রস্তুত করিয়া তুমি মনুষ্যদের শস্য প্রস্তুত করিয়া থাক।
10. তুমি তাহার সীতা সকল জলসিক্ত করিয়া থাক, তাহার আলি সকল সমান করিয়া থাক, তুমি বৃষ্টি দ্বারা তাহা কোমল করিয়া থাক, তাহার অঙ্কুরকে আশীর্ব্বাদ করিয়া থাক।
11. তুমি আপন মঙ্গলভাবের বৎসরকে মুকুট পরাইয়া থাক, তোমার চক্রচিহ্ন দিয়া পুষ্টিকর দ্রব্য ক্ষরে।
12. তাহা প্রান্তরস্থ চরাণি-স্থান সকলেতে ক্ষরে; এবং উপপর্ব্বতগণ হর্ষরূপ কটিবন্ধন পায়।
13. মাঠ সকল মেষপালে ভূষিত হয়, তলভূমি সকল শস্যে পরিচ্ছন্ন হয়; তাহারা আনন্দধ্বনি করে, তাহারা গান করে।