1. তোমরা আপনাদের ভ্রাতাদিগকে অম্মি [আমার প্রজা], ও আপনাদের ভগিনীদিগকে রুহামা [অনুকম্পিতা] বল।
2. তোমরা বিবাদ কর, তোমাদের মাতার সহিত বিবাদ কর, কেননা সে আমার স্ত্রী নয়, এবং আমিও তাহার স্বামী নই; সে আপনার দৃষ্টি হইতে আপন বেশ্যাচার, এবং আপনার স্তনযুগলের মধ্য হইতে আপন ব্যভিচার দূর করুক।
3. নতুবা আমি তাহাকে বিবস্ত্রা করিব, সে জন্মদিনে যেমন ছিল, তেমনি করিয়া তাহাকে রাখিব, এবং তাহাকে প্রান্তরের সমান ও মরুভূমির তুল্য করিব, তৃষ্ণা দ্বারা বধ করিব।
4. আর তাহার সন্তানগণকে অনুকম্পা করিব না, কারণ তাহারা ব্যভিচারের সন্তান।
5. বাস্তবিক তাহাদের মাতা ব্যভিচার করিয়াছে, তাহাদের গর্ভধারিণী লজ্জাকর কর্ম্ম করিয়াছে; কেননা সে বলিত, আমি আমার প্রেমিকগণের পশ্চাতে পশ্চাতে গমন করিব, তাহারাই আমাকে অন্ন ও জল, মেষলোম ও মসীনা, তৈল ও পানীয় দ্রব্য দেয়।
6. এই জন্য দেখ, আমি কন্টক দ্বারা তাহার পথ রোধ করিব, ও তাহার চারিদিকে প্রাচীর গাঁথিব, তাহাতে সে আপন পথের সন্ধান পাইবে না।
7. সে আপন প্রেমিকদের পশ্চাতে পশ্চাতে দৌড়িয়া যাইবে, কিন্তু তাহাদের লাগাল পাইবে না; সে তাহাদের অন্বেষণ করিবে, কিন্তু সন্ধান পাইবে না। তখন সে বলিবে, আমি ফিরিয়া আমার প্রথম স্বামীর নিকটে যাইব; কেননা এখন অপেক্ষা তখন আমার পক্ষে মঙ্গল ছিল।
8. সে ত বুঝিত না যে, আমিই তাহাকে সেই শস্য, দ্রাক্ষারস ও তৈল দিতাম, এবং তাহার রৌপ্য ও স্বর্ণের বৃদ্ধি করিতাম,—যাহা তাহারা বালদেবের জন্য ব্যবহার করিয়াছে।
9. অতএব আমি শস্যের সময়ে আমার শস্য ও দ্রাক্ষারসের ঋতুতে আমার দ্রাক্ষারস ফিরাইয়া লইব, এবং যাহা তাহার উলঙ্গতা আচ্ছাদনার্থক ছিল, আমার সেই মেষলোম ও মসীনা তুলিয়া লইব।
10. এখন আমি তাহার প্রেমিকদের সাক্ষাতে তাহার ভ্রষ্টতা প্রকাশ করিব; কেহ তাহাকে আমার হস্ত হইতে উদ্ধার করিবে না।
11. আর আমি তাহার সমস্ত আমোদ, তাহার উৎসব, অমাবস্যা, বিশ্রামদিন ও পর্ব্ব সকল রহিত করিব।
12. আর আমি তাহার দ্রাক্ষালতা ও ডুমুরগাছ সকল বিনষ্ট করিব, যাহার বিষয়ে সে বলিয়াছে, ‘এই সকল আমার পণ, আমার প্রেমিকেরা ইহা আমাকে দিয়াছে’; কিন্তু আমি এ সকল অরণ্য করিব, আর মাঠের পশুগণ সে সকল খাইয়া ফেলিবে।
13. আর আমি বাল-দেবগণের সময়ের প্রতিফল তাহাকে ভোগ করাইব, যাহাদের উদ্দেশে সে ধূপ জ্বালাইত, ও কুণ্ডলাদি অলঙ্কারে আপনাকে অলঙ্কত করিয়া প্রেমিকদের পশ্চাতে গমন করিত, এবং আমাকে ভুলিয়া থাকিত, ইহা সদাপ্রভু বলেন।
14. অতএব দেখ, আমি তাহাকে প্ররোচনা করিয়া প্রান্তরে আনিব, আর চিত্ততোষক কথা কহিব।
15. আর আমি সে স্থান হইতে তাহার দ্রাক্ষাক্ষেত্র এবং আশাদ্বার বলিয়া আখোর তলভূমি তাহাকে দিব; এবং সে সেখানে উত্তর করিবে, যেমন যৌবনকালে, যেমন মিসর হইতে আগমন দিনে করিয়াছিল।
16. আর সদাপ্রভু কহেন, সেই দিনে সে আমাকে ‘ঈশী’ [আমার স্বামী] বলিয়া সম্বোধন করিবে; কিন্তু ‘বালী’ [আমার নাথ] বলিয়া আর সম্বোধন করিবে না।
17. কারণ আমি তাহার মুখ হইতে বালদেবগণের নাম সকল দূর করিব, তাহাদের নাম লইয়া তাহাদিগকে আর স্মরণ করা হইবে না।
18. আর সেই দিন আমি লোকদের নিমিত্ত মাঠের পশু, আকাশের পক্ষী ও ভূমির সরীসৃপ সকলের সহিত নিয়ম করিব; এবং ধনুক, খড়্গ ও রণসজ্জা ভাঙ্গিয়া দেশের মধ্য হইতে উচ্ছিন্ন করিব, ও তাহাদিগকে নিশ্চিন্তে শয়ন করাইব।
19. আর আমি চিরকালের জন্য তোমাকে বাগ্দান করিব; হাঁ, ধার্ম্মিকতায়, ন্যায়বিচারে, দয়াতে ও বহুবিধ অনুকম্পায় তোমাকে বাগ্দান করিব।
20. আমি বিশ্বস্ততায় তোমাকে বাগ্দান করিব, তাহাতে তুমি সদাপ্রভুকে জানিবে।
21. আবার, সদাপ্রভু কহেন, সেই দিনে আমি উত্তর দিব; আমি আকাশকে উত্তর দিব, আকাশ ভূতলকে উত্তর দিবে;
22. ভূতল শস্য, দ্রাক্ষারস ও তৈলকে উত্তর দিবে, এবং এই সকল যিষ্রিয়েলকে উত্তর দিবে।
23. আমি আপনার জন্য তাহাকে দেশে রোপন করিব, ও যে ‘অনুকম্পিতা নয়,’ তাহাকে অনুকম্পা করিব, এবং যে ‘আমার প্রজা নয়,’ তাহাকে বলিব, তুমি আমার প্রজা, এবং সে বলিবে, তুমি আমার ঈশ্বর।