1. আর সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন,
2. তুমি ইস্রায়েল-সন্তানগণকে কহ, তাহাদিগকে বল, আমি তোমাদিগকে যে দেশ দিব,
3. তোমাদের সেই নিবাসদেশে প্রবেশ করিলে পর যখন তোমরা মানত পূর্ণ করণার্থে কিম্বা স্ব ইচ্ছায় দত্ত নৈবেদ্যার্থে কিম্বা তোমাদের নিরূপিত পর্ব্বে গোমেষাদি পাল হইতে সদাপ্রভুর উদ্দেশে সৌরভ করিবার জন্য সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহাররূপে হোম কিম্বা বলি উৎসর্গ করিবে;
4. তখন উপহার উৎসর্গকারী ব্যক্তি সদাপ্রভুর উদ্দেশে এক হিনের চতুর্থাংশ তৈলে মিশ্রিত সূজির [এক ঐফার] দশমাংশ ভক্ষ্য-নৈবেদ্য আনিবে, এবং তুমি হোমবলির সহিত অথবা বলির জন্য, প্রত্যেক মেষশাবকের জন্য,
5. পেয় নৈবেদ্য বলিয়া এক হিনের চতুর্থাংশ দ্রাক্ষারস প্রস্তুত করিবে।
6. অথবা এক মেষের জন্য তুমি ভক্ষ্য-নৈবেদ্য বলিয়া এক হিনের তৃতীয়াংশ তৈলমিশ্রিত সূক্ষ্ম সূজির [এক ঐফার] দুই দশমাংশ প্রস্তুত করিবে,
7. এবং পেয় নৈবেদ্যের জন্য এক হিনের তৃতীয়াংশ দ্রাক্ষারস সদাপ্রভুর উদ্দেশে সৌরভার্থে উৎসর্গ করিবে।
8. আর যখন তুমি সদাপ্রভুর উদ্দেশে হোমবলির জন্য বা মানত পূরণ জন্য বলিদানার্থে, কিম্বা মঙ্গলার্থক বলির জন্য গোবৎস উৎসর্গ করিবে,
9. তখন গোবৎসের সহিত অর্দ্ধ হিন তৈলে মিশ্রিত [এক ঐফার] তিন দশমাংশ সূজির ভক্ষ্য-নৈবেদ্য আনিবে।
10. আর পেয় নৈবেদ্যার্থে সদাপ্রভুর উদ্দেশে সৌরভার্থক অগ্নিকৃত উপহার জন্য অর্দ্ধ হিন দ্রাক্ষারস আনিবে।
11. এক এক গোবৎস, মেষ, মেষবৎস ও ছাগবৎসের জন্য এইরূপ করিতে হইবে।
12. তোমরা যত পশু উৎসর্গ করিবে, তাহাদের সংখ্যানুসারে প্রত্যেকের জন্য এইরূপ করিবে।
13. দেশজাত লোক সকল সদাপ্রভুর উদ্দেশে সৌরভার্থক অগ্নিকৃত উপহার নিবেদন করিবার সময়ে এই নিয়মানুসারে এই সকল প্রস্তুত করিবে।
14. আর তোমাদের মধ্যে প্রবাসকারী কোন বিদেশী কিম্বা তোমাদের মধ্যে তোমাদের পুরুষানুক্রমে বাসকারী কোন ব্যক্তি যদি সদাপ্রভুর উদ্দেশে সৌরভার্থে অগ্নিকৃত উপহার নিবেদন করিতে চাহে, তবে তোমরা যেরূপ, সেও তদ্রূপ করিবে।
15. সমাজের জন্য, তোমরা এবং তোমাদের মধ্যে প্রবাসকারী বিদেশী লোক, উভয়ের জন্য একই ব্যবস্থা হইবে; ইহা তোমাদের পুরুষানুক্রমে পালনীয় চিরস্থায়ী বিধি; সদাপ্রভুর সমক্ষে তোমরা ও বিদেশীয়েরা, উভয়ে সমান।
16. তোমাদের ও তোমাদের মধ্যে প্রবাসকারী বিদেশীয়দের জন্য একই ব্যবস্থা ও একই শাসন হইবে।
17. আর সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন,
18. তুমি ইস্রায়েল-সন্তানগণকে কহ, তাহাদিগকে বল, আমি তোমাদিগকে যে দেশে লইয়া যাইতেছি,
19. সে দেশে প্রবেশ করিলে পর তোমরা সেই দেশের খাদ্য ভক্ষণ কালে সদাপ্রভুর উদ্দেশে উত্তোলনীয় উপহার নিবেদন করিবে।
20. তোমরা উত্তোলনীয় উপহারের জন্য তোমাদের ছানা ময়দার অগ্রিমাংশ বলিয়া এক এক পিষ্টক নিবেদন করিবে; যেমন খামারের উত্তোলনীয় উপহার উত্তোলন করিয়া থাক, ইহাও সেইরূপ করিবে।
21. তোমরা পুরুষানুক্রমে আপন আপন ছানা ময়দার অগ্রিমাংশ হইতে সদাপ্রভুর উদ্দেশে উত্তোলনীয় উপহার নিবেদন করিবে।
22. আর তোমরা যদি প্রমাদবশতঃ পাপ কর, মোশির কাছে সদাপ্রভু এই যে সকল আজ্ঞা দিয়াছেন, এই সকল যদি পালন না কর, এমন কি,
23. সদাপ্রভু যে দিনে তোমাদিগকে আজ্ঞা দিয়াছেন, তদবধি তোমাদের পুরুষপরম্পরার জন্য সদাপ্রভু মোশির হস্তে তোমাদিগকে যত আজ্ঞা করিয়াছেন, সেই সকল যদি পালন না কর,
24. এবং তাহা যদি মণ্ডলীর অগোচরে প্রমাদবশতঃ হইয়া থাকে, তবে সমস্ত মণ্ডলী সদাপ্রভুর উদ্দেশে সৌরভার্থক হোমের জন্য এক গোবৎস ও বিধিমতে তাহার সহিত ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্য, এবং পাপার্থক বলির জন্য এক ছাগ উৎসর্গ করিবে।
25. আর যাজক ইস্রায়েল-সন্তানগণের সমস্ত মণ্ডলীর জন্য প্রায়শ্চিত্ত করিবে; তাহাতে তাহাদিগকে ক্ষমা করা যাইবে, কেননা উহা প্রমাদ, এবং তাহারা সেই প্রমাদ প্রযুক্ত আপনাদের উপহার, ও সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহার, ও সদাপ্রভুর সম্মুখে পাপার্থক বলি আনিল।
26. তাহাতে ইস্রায়েল-সন্তানগণের সমস্ত মণ্ডলীকে ও তাহাদের মধ্যে প্রবাসী বিদেশীদিগকে ক্ষমা করা যাইবে; কেননা সকল লোক প্রমাদবশতঃ ঐ কর্ম্ম করিল।
27. আর যদি কোন এক ব্যক্তি প্রমাদবশতঃ পাপ করে, তবে সে পাপার্থক বলিরূপে একবর্ষীয়া এক ছাগবৎসা আনিবে।
28. আর যাজক সদাপ্রভুর সাক্ষাতে ঐ প্রমাদী ব্যক্তির জন্য তাহার প্রমাদকৃত পাপপ্রযুক্ত প্রায়শ্চিত্ত করিবে; তাহাতে তাহার প্রায়শ্চিত্ত হইলে তাহার পাপ ক্ষমা হইবে।
29. ইস্রায়েল-সন্তানগণের স্বজাতীয় হউক, কিম্বা তাহাদের মধ্যে প্রবাসী বিদেশী হউক, তোমাদের জন্য প্রমাদীর একই ব্যবস্থা হইবে।
30. কিন্তু স্বজাতীয় কি বিদেশী যে ব্যক্তি ঊর্দ্ধহস্তে পাপ করে, সে সদাপ্রভুর নিন্দা করে; সেই ব্যক্তি আপন লোকদের মধ্য হইতে উচ্ছিন্ন হইবে।
31. কেননা সে সদাপ্রভুর বাক্য অবজ্ঞা করিল ও তাঁহার আজ্ঞা লঙ্ঘন করিল; সেই ব্যক্তি একেবারে উচ্ছিন্ন হইবে, তাহার অপরাধ তাহারই উপরে বর্ত্তিবে।
32. ইস্রায়েল-সন্তানগণ যখন প্রান্তরে ছিল, তখন বিশ্রামদিনে এক জনকে কাষ্ঠ সংগ্রহ করিতে দেখিল।
33. যাহারা তাহাকে কাষ্ঠ সংগ্রহ করিতে দেখিয়াছিল, তাহারা মোশি, হারোণ ও সমস্ত মণ্ডলীর নিকটে তাহাকে আনিল।
34. আর তাহারা তাহাকে রুদ্ধ করিয়া রাখিল; কেননা তাহার প্রতি কি কর্ত্তব্য, তাহা ব্যক্ত হয় নাই।
35. পরে সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন, সেই ব্যক্তির প্রাণদণ্ড অবশ্য হইবে; সমস্ত মণ্ডলী তাহাকে শিবিরের বাহিরে প্রস্তরাঘাতে বধ করিবে।
36. পরে মোশির প্রতি সদাপ্রভুর আজ্ঞানুসারে সমস্ত মণ্ডলী তাহাকে শিবিরের বাহিরে লইয়া গিয়া প্রস্তরাঘাত করিল; তাহাতে সে মরিয়া গেল।
37. পরে সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন,
38. তুমি ইস্রায়েল-সন্তানগণকে কহ, তাহাদিগকে বল, তাহারা পুরুষানুক্রমে আপন আপন বস্ত্রের কোণে থোপ দিউক, ও কোণস্থ থোপে নীল সূত্র বদ্ধ করুক।
39. তোমাদের জন্য সেই থোপ থাকিবে, যেন তাহা দেখিয়া তোমরা সদাপ্রভুর সমস্ত আজ্ঞা স্মরণ করিয়া পালন কর, এবং আপনাদের যে হৃদয় ও চক্ষুর অনুগমনে তোমরা ব্যভিচারী হইয়া থাক, তদনুগমনে ভ্রমণ না কর;
40. যেন আমার সমস্ত আজ্ঞা স্মরণ কর, ও পালন কর, এবং আপন ঈশ্বরের উদ্দেশে পবিত্র হও।
41. আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর; আমি তোমাদের ঈশ্বর হইবার জন্য তোমাদিগকে মিসর দেশ হইতে বাহির করিয়া আনিয়াছি; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।