1. লেবীয় যাজকগণ, লেবির সমস্ত বংশ, ইস্রায়েলের সহিত কোন অংশ কি অধিকার পাইবে না, তাহারা সদাপ্রভুর অগ্নিকৃত উপহার ও তাঁহার অধিকৃত বস্তু ভোগ করিবে।
2. তাহারা আপন ভ্রাতাদের মধ্যে কোন অধিকার পাইবে না; সদাপ্রভুই তাহাদের অধিকার, যেমন তিনি তাহাদিগকে বলিয়াছেন।
3. আর প্রজাদের হইতে যাজকগণের প্রাপ্য বিষয়ের এই বিধি; যাহারা গোরু কিম্বা মেষ বলিদান করে, তাহারা বলির স্কন্ধ, দুই গাল ও পাকস্থলী যাজককে দিবে।
4. তুমি আপন শস্যের, দ্রাক্ষারসের ও তৈলের অগ্রিমাংশ, এবং মেষলোমের অগ্রিমাংশ তাহাকে দিবে।
5. কেননা সদাপ্রভুর নামে পরিচর্য্যা করিতে নিত্য দণ্ডায়মান হইবার জন্য তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সকল বংশের মধ্য হইতে তাহাকে ও তাহার সন্তানগণকে মনোনীত করিয়াছেন।
6. আর সমস্ত ইস্রায়েলের মধ্যে তোমার কোন নগর-দ্বারে যে লেবীয় প্রবাস করে, সে যদি আপন প্রাণের সম্পূর্ণ বাসনায় তথা হইতে সদাপ্রভুর মনোনীত স্থানে আইসে,
7. তবে সে সদাপ্রভুর সম্মুখে দণ্ডায়মান আপন লেবীয় ভ্রাতাদের ন্যায় আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে পরিচর্য্যা করিবে।
8. তাহারা ভোজনার্থে সমান অংশ পাইবে; তাহা ছাড়া সে আপন পৈতৃক অধিকার বিক্রয়ের মূল্যও ভোগ করিবে।
9. তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিতেছেন, সেই দেশে উপস্থিত হইলে তুমি তথাকার জাতিগণের ঘৃণার্হ কার্য্যের ন্যায় কার্য্য করিতে শিখিও না।
10. তোমার মধ্যে যেন এমন কোন লোক পাওয়া না যায়, যে পুত্র বা কন্যাকে অগ্নির মধ্য দিয়া গমন করায়,
11. যে মন্ত্র ব্যবহার করে, বা গণক, বা মোহক, বা মায়াবী, বা ঐন্দ্রজালিক, বা ভূতড়িয়া, বা গুণী বা প্রেতসাধক।
12. কেননা সদাপ্রভু এই সকল কার্য্যকারীকে ঘৃণা করেন; আর সেই ঘৃণার্হ কার্য্য প্রযুক্ত তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সম্মুখ হইতে তাহাদিগকে অধিকারচ্যুত করিবেন।
13. তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে সিদ্ধ হও।
14. কেননা তুমি যে জাতিগণকে অধিকারচ্যুত করিবে, তাহারা গণক ও মন্ত্রব্যবহারীদের কথায় কর্ণপাত করে, কিন্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকেই তাহা করিতে দেন নাই।
15. তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার মধ্য হইতে, তোমার ভ্রাতৃগণের মধ্য হইতে, তোমার জন্য আমার সদৃশ এক ভাববাদী উৎপন্ন করিবেন, তাঁহারই কথায় তোমরা কর্ণপাত করিবে।
16. কেননা হোরেবে সমাজের দিবসে তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে এই প্রার্থনাই ত করিয়াছিলে, যথা, আমি যেন আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর রব পুনর্ব্বার শুনিতে ও এই মহাগ্নি আর দেখিতে না পাই, পাছে আমি মারা পড়ি।
17. তখন সদাপ্রভু আমাকে কহিলেন, উহারা ভালই বলিয়াছে।
18. আমি উহাদের জন্য উহাদের ভ্রাতৃগণের মধ্য হইতে তোমার সদৃশ এক ভাববাদী উৎপন্ন করিব, ও তাঁহার মুখে আমার বাক্য দিব; আর আমি তাঁহাকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিব, তাহা তিনি উহাদিগকে বলিবেন।
19. আর আমার নামে তিনি আমার যে সকল বাক্য বলিবেন, তাহাতে যে কেহ কর্ণপাত না করিবে, তাহার কাছে আমি পরিশোধ লইব।
20. কিন্তু আমি যে বাক্য বলিতে আজ্ঞা করি নাই, আমার নামে যে কোন ভাববাদী দুঃসাহসপূর্ব্বক তাহা বলে, কিম্বা অন্য দেবতাদের নামে যে কেহ কথা বলে, সেই ভাববাদীকে মরিতে হইবে।
21. আর তুমি যদি মনে মনে বল, সদাপ্রভু যে বাক্য বলেন নাই, তাহা আমরা কি প্রকারে জানিব?
22. [তবে শুন,] কোন ভাববাদী সদাপ্রভুর নামে কথা কহিলে যদি সেই বাক্য পরে সিদ্ধ না হয়, ও তাহার ফল উপস্থিত না হয়, তবে সেই বাক্য সদাপ্রভু বলেন নাই; ঐ ভাববাদী দুঃসাহসপূর্ব্বক তাহা বলিয়াছে, তুমি তাহা হইতে উদ্বিগ্ন হইও না।