1. বিলিয়ম যখন দেখিল, ইস্রায়েলকে আশীর্ব্বাদ করিতে সদাপ্রভুর তুষ্টি আছে, তখন আর পূর্ব্বের ন্যায় মন্ত্র পাইবার জন্য গমন করিল না, কিন্তু প্রান্তরের দিকে মুখ করিল।
|
2. আর বিলিয়ম চক্ষু তুলিয়া দেখিল, ইস্রায়েল বংশশ্রেণীক্রমে বাস করিতেছে; এবং ঈশ্বরের আত্মা তাহার উপরে আসিলেন।
|
3. তখন সে আপন মন্ত্র গ্রহণ করিয়া কহিল, বিয়োরের পুত্র বিলিয়ম কহিতেছে, যাহার চক্ষু মুদ্রিত ছিল, সেই পুরুষ কহিতেছে;
|
6. সেগুলি উপত্যকার ন্যায় বিস্তারিত, নদী তীরস্থ উদ্যানের তুল্য, সদাপ্রভুর রোপিত অগুরু বৃক্ষ-রাজির সদৃশ, জল-পার্শ্বস্থ এরস বৃক্ষ-রাজির ন্যায়।
|
7. উহার কলস হইতে জল উথলিয়া উঠিবে, উহার বীজ অনেক জলে সিক্ত হইবে, উহার রাজা অগাগ অপেক্ষাও উচ্চ হইবেন, উহার রাজ্য উন্নত হইবে।
|
8. ঈশ্বর মিসর হইতে উহাকে আনিতেছেন, সে গবয়ের ন্যায় শক্তিশালী; সে আপনার বিপক্ষ জাতিগণকে গ্রাস করিবে, তাহাদের অস্থি চূরমার করিবে, আপন বাণ দ্বারা তাহাদিগকে ভেদ করিবে।
|
9. সে শয়ন করিল, গুঁড়ি মারিল, সিংহের ন্যায়, ও সিংহীর ন্যায়; কে তাহাকে উঠাইবে? যে তোমাকে আশীর্ব্বাদ করে, সে আশীঃপ্রাপ্ত, যে তোমাকে শাপ দেয়, সে শাপগ্রস্ত।
|
10. তখন বিলিয়মের প্রতি বালাকের ক্রোধ প্রজ্বলিত হইলে তিনি আপন করে করপ্রহার করিলেন; বালাক বিলিয়মকে কহিলেন, আমার শত্রুগণকে শাপ দিতে আমি আপনাকে আনাইয়াছিলাম, আর দেখুন, এই তিন বার আপনি সর্ব্বতোভাবে তাহাদিগকে আশীর্ব্বাদ করিলেন।
|
11. এখন স্বস্থানে পলায়ন করুন; আমি বলিয়াছিলাম, আপনাকে অতিশয় গৌরবান্বিত করিব, কিন্তু দেখুন, সদাপ্রভু আপনাকে গৌরব বিরহিত করিলেন।
|
13. যদ্যপি বালাক স্বর্ণ ও রৌপ্যে পরিপূর্ণ আপন গৃহ আমাকে দেন, তথাপি আমি আপন ইচ্ছায় ভাল কি মন্দ করিবার জন্য সদাপ্রভুর আজ্ঞা লঙ্ঘন করিতে পারিব না, সদাপ্রভু যাহা বলিবেন, আমি তাহাই বলিব;
|
14. এখন দেখুন, আমি স্বজাতীয়দের নিকটে যাই; আইসুন, এই জাতি উত্তরকালে আপনার জাতির প্রতি কি করিবে, তাহা আপনাকে জ্ঞাত করি।
|
15. পরে সে আপন মন্ত্র গ্রহণ করিয়া কহিল; বিয়োরের পুত্র বিলিয়ম কহিতেছে, যাহার চক্ষু মুদ্রিত ছিল, সেই পুরুষ কহিতেছে;
|
16. যে ঈশ্বরের বাক্য সকল শুনে, যে পরাৎপরের তত্ত্ব জানে, যে সর্ব্বশক্তিমানের দর্শন পায়, সে পতিত ও উন্মীলিতচক্ষু হইয়া কহিতেছে;
|
17. আমি তাঁহাকে দেখিব, কিন্তু এক্ষণে নয়, তাঁহাকে দর্শন করিব কিন্তু নিকটে নয়; যাকোব হইতে এক তারা উদিত হইবে, ইস্রায়েল হইতে এর রাজদণ্ড উঠিবে, তাহা মোয়াবের দুই পার্শ্ব ভগ্ন করিবে, কলহের সন্তান সকলকে সংহার করিবে।
|
20. পরে সে অমালেকের প্রতি দৃষ্টি করিল, এবং আপন মন্ত্র গ্রহণ করিয়া কহিল, অমালেক জাতিগণের মধ্যে প্রথম ছিল, কিন্তু বিনাশ ইহার শেষ দশা হইবে।
|
21. পরে সে কেনীয়দের প্রতি দৃষ্টি করিল এবং আপন মন্ত্র গ্রহণ করিয়া কহিল, তোমার নিবাস অতি দৃঢ়, তোমার বাসা শৈলে স্থাপিত।
|
24. কিন্তু কিত্তীমের তীর হইতে জাহাজ আসিবে, তাহারা অশূরকে দুঃখ দিবে, এবরকে দুঃখ দিবে, কিন্তু তাহারও বিনাশ ঘটিবে।
|