2. সদাপ্রভু মম শৈল, মম দুর্গ, ও মম রক্ষাকর্ত্তা, মম ঈশ্বর, মম দৃঢ় শৈল, আমি তাঁহার শরণাগত; মম ঢাল, মম ত্রাণশৃঙ্গ, মম উচ্চদুর্গ।
|
6. সঙ্গটে আমি সদাপ্রভুকে ডাকিলাম, আমার ঈশ্বরের উদ্দেশে আর্ত্তনাদ করিলাম; তিনি নিজ মন্দির হইতে আমার রব শুনিলেন, তাঁহার সম্মুখে আমার আর্ত্তনাদ তাঁহার কর্ণে প্রবেশ করিল।
|
8. তাঁহার নাসারন্ধ্র হইতে ধূম উদগত হইল, তাঁহার মুখনির্গত অগ্নি গ্রাস করিল; তদ্দ্বারা অঙ্গার সকল প্রজ্বলিত হইল।
|
15. তখন জলরাশির প্রণালী সকল প্রকাশ পাইল, ভূমণ্ডলের মূল সকল অনাবৃত হইল, তোমার তর্জ্জনে, হে সদাপ্রভু, তোমার নাসিকার প্রশ্বাসবায়ুতে।
|
17. তিনি আমাকে উদ্ধার করিলেন আমার বলবান শত্রু হইতে, আমার বিদ্বেষিগণ হইতে, কেননা তাহারা আমা অপেক্ষা শক্তিমান ছিল।
|
35. তুমি আমাকে নিজ পরিত্রাণ-ঢাল দিয়াছ; তোমার দক্ষিণ হস্ত আমাকে ধারণ করিয়াছে, তোমার কোমলতা আমাকে মহান্ করিয়াছে।
|
39. কারণ তুমি যুদ্ধার্থে বল দিয়া আমার কটিবন্ধন করিয়াছ; যাহারা আমার বিরুদ্ধে উঠিয়াছিল, তাহাদিগকে তুমি আমার অধীনে নত করিয়াছ।
|
41. তাহারা আর্ত্তনাদ করিল, কিন্তু ত্রাণকর্ত্তা কেহ নাই; সদাপ্রভুকে ডাকিল, কিন্তু তিনি উত্তর দিলেন না।
|
43. তুমি আমাকে প্রজাদের দ্রোহ হইতে উদ্ধার করিয়াছ, জাতিগণের মস্তকরূপে নিযুক্ত করিয়াছ; আমার অপরিচিত জাতি আমার দাস হইবে।
|
48. তিনি আমার শত্রুগণ হইতে আমাকে উদ্ধার করেন; যাহারা আমার বিরুদ্ধে উঠে, তুমি তাহাদের উপরেও আমাকে উন্নত করিতেছ, তুমি দুর্ব্বৃত্ত লোক হইতে আমাকে উদ্ধার করিতেছ।
|
49. এই কারণ, হে সদাপ্রভু, আমি জাতিগণের মধ্যে তোমার স্তব করিব, তোমার নামের উদ্দেশে স্তোত্র গান করিব।
|
50. তিনি আপন রাজাকে মহাপরিত্রাণ দেন, আপন অভিষিক্ত ব্যক্তির প্রতি দয়া করেন, যুগে যুগে দায়ূদের ও তাহার বংশের প্রতি দয়া করেন।
|