1. পরে আমি পুনর্ব্বার চক্ষু তুলিয়া দৃষ্টিপাত করিলাম, আর দেখ, দুই পর্ব্বতের মধ্য হইতে চারি রথ বাহির হইল; সেই দুই পর্ব্বত পিত্তলের পর্ব্বত।
|
5. সে দূত উত্তর করিয়া আমাকে কহিলেন, ইহাঁরা স্বর্গের চারি বায়ু, সমস্ত পৃথিবীর প্রভুর সাক্ষাতে দাঁড়াইয়া থাকিবার পরে বাহির হইয়া আসিতেছেন।
|
6. যে রথে কৃষ্ণবর্ণ অশ্বগণ আছে, তাহা উত্তর দেশে যাইতেছে; ও শ্বেতবর্ণ অশ্বগণ তাহাদের পশ্চাতে পশ্চাতে চলিল, এবং বিন্দুচিত্রিত অশ্বগণ দক্ষিণ দেশে চলিল।
|
7. আর বলবান অশ্বগণ চলিল, এবং পৃথিবীতে ইতস্ততঃ ভ্রমণ করিবার অনুমতি প্রার্থনা করিল; তাহাতে তিনি কহিলেন, চলিয়া যাও, পৃথিবীতে ইতস্ততঃ ভ্রমণ কর; তাহাতে তাহারা পৃথিবীতে ইতস্ততঃ ভ্রমণ করিল।
|
8. তখন তিনি আমাকে ডাকিয়া কহিলেন, দেখ, যাহারা উত্তর দেশে যাইতেছে, তাহারা উত্তর দেশে আমার আত্মাকে সুস্থির করিয়াছে।
|
10. তুমি নির্ব্বাসিত লোকদের কাছে, অর্থাৎ হিল্দয়, টোবিয় ও যিদায়ের কাছে রৌপ্য ও স্বর্ণ গ্রহণ কর; সেই দিন যাও, সফনিয়ের পুত্র যোশিয়ের বাটীতে গমন কর, বাবিল হইতে তাহারা তথায় আসিয়াছে;
|
11. তুমি রৌপ্য ও স্বর্ণ গ্রহণ করিয়া মুকুট নির্ম্মাণ কর, এবং যিহোষাদকের পুত্র যিহোশূয় মহাযাজকের মস্তকে দেও।
|
12. আর তাহাকে বল, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা কহেন, দেখ, সেই পুরুষ, যাঁহার নাম ‘পল্লব,’ তিনি আপন স্থানে পল্লবের ন্যায় বৃদ্ধি পাইবেন, এবং সদাপ্রভুর মন্দির গাঁথিবেন;
|
13. হাঁ, তিনিই সদাপ্রভুর মন্দির গাঁথিবেন, তিনিই প্রভা ধারণ করিবেন, আপন সিংহাসনে বসিয়া কর্ত্তৃত্ব করিবেন, এবং আপন সিংহাসনের উপরে উপবিষ্ট যাজক হইবেন, তাহাতে এই দুইয়ের মধ্যে শান্তির মন্ত্রণা থাকিবে।
|
14. পরন্তু হেলেমের, টোবিয়ের ও যিদায়ের নিমিত্ত, এবং সফনিয়ের পুত্রের সৌজন্যের নিমিত্ত, এই মুকুট স্মরণার্থে সদাপ্রভুর মন্দিরে থাকিবে।
|
15. আর দূরস্থ লোকেরা আসিয়া সদাপ্রভুর মন্দির-নির্ম্মাণে সাহায্য করিবে; আর তোমরা জানিবে যে, বাহিনীগণের সদাপ্রভুই তোমাদের কাছে আমাকে পাঠাইয়াছেন। তোমরা যদি যত্নপূর্ব্বক আপনাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বাক্যে মনোযোগ কর, তবে ইহা সিদ্ধ হইবে।
|