1. 1 যীশু পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হইয়া যর্দ্দন হইতে ফিরিয়া আসিলেন, এবং চল্লিশ দিন পর্য্যন্ত সেই আত্মার আবেশে প্রান্তর মধ্যে চালিত হইলেন,
|
2. আর দিয়াবল দ্বারা পরীক্ষিত হইলেন। সেই সকল দিন তিনি কিছুই আহার করেন নাই; পরে সেই সকল দিন শেষ হইলে ক্ষুধিত হইলেন।
|
6. আর দিয়াবল তাঁহাকে বলিল, তোমাকেই আমি এই সমস্ত কর্ত্তৃত্ব ও এই সকলের প্রতাপ দিব; কেননা ইহা আমার কাছে সমর্পিত হইয়াছে, আর আমার যাহাকে ইচ্ছা, তাহাকে দান করি;
|
8. যীশু উত্তর করিয়া তাহাকে কহিলেন, লেখা আছে, “তোমার ঈশ্বর প্রভুকেই প্রণাম করিবে, কেবল তাঁহারই আরাধনা করিবে”।
|
9. আর সে তাঁহাকে যিরূশালেমে লইয়া গেল, ও ধর্ম্মধামের চূড়ার উপরে দাঁড় করাইল, এবং তাঁহাকে কহিল, তুমি যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, তবে এ স্থান হইতে নীচে পড়;
|
14. তখন যীশু আত্মার পরাক্রমে গালীলে ফিরিয়া গেলেন, এবং তাঁহার কীর্ত্তি চারিদিকের সমুদয় অঞ্চলে ব্যাপিল।
|
16. আর তিনি যেখানে পালিত হইয়াছিলেন, সেই নাসরতে উপস্থিত হইলেন, এবং আপন রীতি অনুসারে বিশ্রামবারে সমাজ-গৃহে প্রবেশ করিলেন, ও পাঠ করিতে দাঁড়াইলেন।
|
17. তখন যিশাইয় ভাববাদীর পুস্তক তাঁহার হস্তে সমর্পিত হইল, আর তিনি পুস্তকখানি খুলিয়া সেই স্থান পাইলেন, যেখানে লেখা আছে,
|
18. “প্রভুর আত্মা আমাতে অধিষ্ঠান করেন, কারণ তিনি আমাকে অভিষিক্ত করিয়াছেন, দরিদ্রদের কাছে সুসমাচার প্রচার করিবার জন্য; তিনি আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন, বন্দিগণের কাছে মুক্তি প্রচার করিবার জন্য, অন্ধদের কাছে চক্ষুর্দ্দান প্রচার করিবার জন্য, উপদ্রুতদিগকে নিস্তার করিয়া বিদায় করিবার জন্য,
|
20. পরে তিনি পুস্তকখানি বন্ধ করিয়া ভৃত্যের হস্তে দিয়া বসিলেন। তাহাতে সমাজ-গৃহে সকলের চক্ষু তাঁহার প্রতি স্থির হইয়া রহিল।
|
22. তাহাতে সকলে তাঁহার বিষয়ে সাক্ষ্য দিল, ও তাঁহার মুখনির্গত মধুর বাক্যে আশ্চর্য্য বোধ করিল; আর কহিল, এ কি যোষেফের পুত্র নহে?
|
23. তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, তোমরা আমাকে অবশ্য এই প্রবাদবাক্য বলিবে, চিকিৎসক, আপনাকেই সুস্থ কর; কফরনাহূমে যাহা যাহা করা হইয়াছে শুনিয়াছি, এখানে এই স্বদেশেও কর।
|
25. আর আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, এলিয়ের সময় যখন তিন বৎসর ছয় মাস পর্য্যন্ত আকাশ রুদ্ধ ছিল, ও সমুদয় দেশে মহা-দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হইয়াছিল, তখন ইস্রায়েলের মধ্যে অনেক বিধবা ছিল;
|
26. কিন্তু এলিয় তাহাদের কাহারও নিকটে প্রেরিত হন নাই, কেবল সীদোন দেশের সারিফতে এক বিধবা স্ত্রীলোকের নিকটে প্রেরিত হইয়াছিলেন।
|
27. আর ইলীশায় ভাববাদীর সময়ে ইস্রায়েলের মধ্যে অনেক কুষ্ঠী ছিল, কিন্তু তাহাদের কেহই শুচীকৃত হয় নাই, কেবল সুরীয় নামান হইয়াছিল।
|
29. আর তাহারা উঠিয়া তাঁহাকে নগরের বাহিরে ঠেলিয়া লইয়া চলিল, এবং যে পর্ব্বতে তাহাদের নগর নির্ম্মিত হইয়াছিল, তাহার অগ্রভাগ পর্য্যন্ত লইয়া গেল, যেন তাঁহাকে নীচে ফেলিয়া দিতে পারে।
|
34. সে উচ্চরবে চেঁচাইয়া কহিল, আহা, হে নাসরতীয় যীশু, আপনার সহিত আমাদের সম্পর্ক কি? আপনি কি আমাদিগকে বিনাশ করিতে আসিলেন? আমি জানি, আপনি কে, ঈশ্বরের সেই পবিত্র ব্যক্তি।
|
35. তখন যীশু তাহাকে ধম্কাইয়া কহিলেন, চুপ কর, এবং উহা হইতে বাহির হও, তখন সেই ভূত তাহাকে মাঝখানে ফেলিয়া দিয়া তাহা হইতে বাহির হইয়া গেল, তাহার কোন হানি করিল না।
|
36. তখন সকলে চমৎকৃত হইল, এবং পরস্পর বলাবলি করিতে লাগিল, এ কেমন কথা? ইনি ক্ষমতায় ও পরাক্রমে অশুচি আত্মাদিগকে আজ্ঞা করেন, আর তাহারা বাহির হইয়া যায়।
|
38. পরে তিনি সমাজ-গৃহ হইতে উঠিয়া শিমোনের বাটীতে প্রবেশ করিলেন; তখন শিমোনের শাশুড়ী ভারী জ্বরে পীড়িতা ছিলেন, তাই তাঁহারা তাঁহার নিমিত্তে তাঁহাকে বিনতি করিলেন।
|
39. তখন তিনি তাঁহার নিকটে দাঁড়াইয়া জ্বরকে ধমক্ দিলেন, তাহাতে তাঁহার জ্বর ছাড়িয়া গেল; আর তিনি তৎক্ষণাৎ উঠিয়া তাঁহাদের পরিচর্য্যা করিতে লাগিলেন।
|
40. পরে সূর্য্য অস্ত যাইবার সময়ে, নানা রোগে রোগী যাহাদের ছিল, তাহারা সকলে তাহাদিগকে তাঁহার নিকটে আনিল; আর তিনি প্রত্যেক জনের উপরে হস্তার্পণ করিয়া তাহাদিগকে সুস্থ করিলেন।
|
41. আর অনেক লোক হইতে ভূতও বাহির হইল, তাহারা চিৎকার করিয়া কহিল, আপনি ঈশ্বরের পুত্র; কিন্তু তিনি তাহাদিগকে ধমক্ দিয়া কথা কহিতে দিলেন না, কারণ তাহারা জানিত যে তিনিই সেই খ্রীষ্ট।
|
42. পরে প্রভাত হইলে তিনি বাহির হইয়া কোন নির্জ্জন স্থানে গমন করিলেন; আর লোকেরা তাঁহার অন্বেষণ করিল, এবং তাঁহার নিকটে আসিয়া তাঁহাকে নিবারণ করিতে চাহিল, যেন তিনি তাহাদের নিকট হইতে চলিয়া না যান।
|
43. কিন্তু তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, অন্য অন্য নগরেও আমাকে ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করিতে হইবে; কেননা সেই জন্যই আমি প্রেরিত হইয়াছি।
|