1. সদাপ্রভু, যাহারা আমার সঙ্গে বিবাদ করে, তাহাদের সহিত বিবাদ কর, যাহারা আমার সঙ্গে যুদ্ধ করে, তাহাদের সহিত যুদ্ধ কর।
|
4. যাহারা আমার প্রাণের অন্বেষণ করে, তাহারা লজ্জিত ও অপমানিত হউক; যাহারা আমার অনিষ্টের সঙ্কল্প করে, তাহারা ফিরিয়া যাউক, হতাশ হউক।
|
7. কেননা তাহারা অকারণে আমার জন্য গর্ত্তমধ্যে গুপ্ত জাল পাতিয়াছে, অকারণে আমার প্রাণের জন্য খাত খুঁড়িয়াছে।
|
8. অজ্ঞাতসারে তাহার সর্ব্বনাশ উপস্থিত হউক; সে গোপনে পাতা আপনার জালে আপনি ধৃত হউক, সেই সর্ব্বনাশে সে পতিত হউক।
|
10. আমার সকল অস্থি বলিবে, সদাপ্রভু, তোমার তুল্য কে? তুমিই দুঃখীকে তদপেক্ষা বলবান ব্যক্তি হইতে, দুঃখী দরিদ্রকে তাহার লুণ্ঠনকারী হইতে, উদ্ধার করিয়া থাক।
|
13. কিন্তু তাহাদের পীড়ার সময়ে আমি চট পরিতাম, আমি উপবাস দ্বারা আপন প্রাণকে দুঃখ দিতাম, আমার প্রার্থনা আমার বক্ষে ফিরিয়া আসিবে।
|
14. আমি তাহাদিগকে নিজ বন্ধু বা নিজ ভ্রাতা বলিয়া মনে করিতাম, আমি মাতৃশোকাতুরের ন্যায় শোকার্ত্ত হইয়া অধোমুখে থাকিতাম।
|
15. তথাপি তাহারা আমার পদস্খলনে আনন্দিত হইল, ও সকলে একত্র হইল; অধম লোকেরা আমার অজ্ঞাতসারে আমার বিরুদ্ধে একত্র হইল, তাহারা আমাকে বিদীর্ণ করিল, ক্ষান্ত হইল না।
|
17. হে প্রভু, তুমি কত কাল দেখিবে? রক্ষা কর আমার প্রাণ তাহাদের ধ্বংস হইতে, আমার একমাত্র আত্মা সিংহগণ হইতে।
|
19. আমার শত্রুগণকে আমার বিষয়ে অন্যায় আনন্দ করিতে দিও না, যাহারা অকারণে আমাকে দ্বেষ করে, তাহাদিগকে ভ্রূকুটি করিতে দিও না।
|
26. যাহারা আমার বিপদে আনন্দিত হয়, তাহারা একসঙ্গে লজ্জিত ও হতাশ হউক; যাহারা আমার বিরুদ্ধে শ্লাঘা করে, তাহারা লজ্জায় ও অপমানে আচ্ছন্ন হউক।
|
27. যাহারা আমার ধার্ম্মিকতায় প্রীত, তাহারা আনন্দধ্বনি করুক, আহ্লাদিত হউক, নিত্য নিত্য বলুক, সদাপ্রভু মহিমান্বিত হউন, যিনি নিজ দাসের কুশলে প্রীত।
|