পবিত্র বাইবেল

গডস গ্রেইস গিফট
সামুয়েল ১
1. পরে দায়ূদ নোবে অহীমেলক যাজকের নিকটে উপস্থিত হইলেন; আর অহীমেলক কাঁপিতে কাঁপিতে আসিয়া দায়ূদের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন, ও তাঁহাকে কহিলেন, আপনি একা কেন? আপনার সঙ্গে কেহ নাই কেন?
2. দায়ূদ অহীমেলক যাজককে কহিলেন, রাজা একটী কর্ম্মের ভার দিয়া আমাকে বলিয়াছেন, আমি তোমাকে যে কার্য্যে প্রেরণ করিলাম ও যাহা আদেশ করিলাম, তাহার কিছুই যেন কেহ না জানে; আর আমি নিজের সঙ্গী যুবকদিগকে অমুক অমুক স্থানে আসিতে বলিয়াছি।
3. এখন আপনার কাছে কি আছে? পাঁচখানা রুটী হউক, কিম্বা যাহা থাকে, আমার হাতে দিউন।
4. যাজক দায়ূদকে উত্তর করিলেন, আমার কাছে সাধারণ রুটী নাই, কেবল পবিত্র রুটী আছে—যদি সেই যুবকেরা কেবল স্ত্রী হইতে পৃথক্‌ হইয়া থাকে।
5. দায়ূদ যাজককে উত্তর দিলেন, সত্যই তিন দিন আমাদের হইতে স্ত্রীলোক পৃথক্‌ রহিয়াছে; আমি যখন বাহির হইয়া আসি, তখন যাত্রা সাধারণ হইলেও যুবকদিগের পাত্র সকল পবিত্র ছিল; অতএব অদ্য তাহাদের পাত্র সকল আরও কত না পবিত্র।
6. তখন যাজক তাঁহাকে পবিত্র রুটী দিলেন; কেননা সেই স্থানে অন্য রুটী ছিল না, কেবল উহা তুলিয়া লইবার দিনে তপ্ত রুটী রাখিবার জন্য যে দর্শন-রুটী সদাপ্রভুর সম্মুখ হইতে স্থানান্তরীকৃত হইয়াছিল, তাহাই মাত্র ছিল।
7. সেই দিন শৌলের দাসগণের মধ্যে ইদোমীয় দোয়েগ নামে এক জন সদাপ্রভুর সাক্ষাতে নিবদ্ধ হইয়া সেই স্থানে ছিল, সে শৌলের প্রধান পশুপালক।
8. পরে দায়ূদ অহীমেলককে কহিলেন, এই স্থানে আপনার কাছে কি বড়শা বা খড়্‌গ নাই? কেননা রাজকার্য্যের তাড়াতাড়িতে আমি আপন খড়্‌গ বা অস্ত্র সঙ্গে আনি নাই।
9. যাজক কহিলেন, এলা তলভূমিতে আপনি যাহাকে বধ করিয়াছিলেন, সেই পলেষ্টীয় গলিয়াতের খড়্‌গ আছে; দেখুন, ইহা এফোদের পশ্চাদ্দিকে এখানে কাপড়ে জড়ান আছে; ইহা যদি লইতে চাহেন, লউন, কেননা ইহা ছাড়া আর কোন খড়্‌গ এখানে নাই। দায়ূদ কহিলেন, সেখানির তুল্য আর নাই; সেখানি আমাকে দিউন।
10. পরে দায়ূদ উঠিয়া সেই দিন শৌলের ভয়ে পলাইয়া গাতের রাজা আখীশের কাছে গেলেন।
11. তাহাতে আখীশের দাসগণ তাঁহাকে কহিল, এ ব্যক্তি কি দেশের রাজা দায়ূদ নয়? লোকেরা কি নাচিতে নাচিতে উহার বিষয় পরস্পর গাহিয়া বলে নাই, “শৌল বধিলেন সহস্র সহস্র, আর দায়ূদ বধিলেন অযুত অযুত”?
12. আর দায়ূদ সে কথা মনে রাখিলেন, এবং গাতের রাজা আখীশ হইতে অতিশয় ভীত হইলেন।
13. আর তিনি উহাদের সাক্ষাতে বুদ্ধির বৈকল্য দেখাইলেন; তিনি তাহাদের কাছে ক্ষিপ্তের ন্যায় ব্যবহার করিতেন, দ্বারের কবাট আঁচড়াইতেন, ও আপন দাড়ির উপরে লালা ক্ষরিতে দিতেন।
14. তখন আখীশ আপন দাসগণকে কহিলেন, দেখ, তোমরা দেখিতে পাইতেছ, এ ক্ষিপ্ত; তবে ইহাকে আমার নিকটে কেন আনিলে?
15. আমার কি ক্ষিপ্ত লোকের অভাব আছে যে, তোমরা ইহাকে আমার কাছে ক্ষিপ্তের ব্যবহার করিতে আনিয়াছ? এ কি আমার গৃহে আসিবে?

Notes

No Verse Added

Total 31 Chapters, Current Chapter 21 of Total Chapters 31
সামুয়েল ১ 21
1. পরে দায়ূদ নোবে অহীমেলক যাজকের নিকটে উপস্থিত হইলেন; আর অহীমেলক কাঁপিতে কাঁপিতে আসিয়া দায়ূদের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন, তাঁহাকে কহিলেন, আপনি একা কেন? আপনার সঙ্গে কেহ নাই কেন?
2. দায়ূদ অহীমেলক যাজককে কহিলেন, রাজা একটী কর্ম্মের ভার দিয়া আমাকে বলিয়াছেন, আমি তোমাকে যে কার্য্যে প্রেরণ করিলাম যাহা আদেশ করিলাম, তাহার কিছুই যেন কেহ না জানে; আর আমি নিজের সঙ্গী যুবকদিগকে অমুক অমুক স্থানে আসিতে বলিয়াছি।
3. এখন আপনার কাছে কি আছে? পাঁচখানা রুটী হউক, কিম্বা যাহা থাকে, আমার হাতে দিউন।
4. যাজক দায়ূদকে উত্তর করিলেন, আমার কাছে সাধারণ রুটী নাই, কেবল পবিত্র রুটী আছে—যদি সেই যুবকেরা কেবল স্ত্রী হইতে পৃথক্‌ হইয়া থাকে।
5. দায়ূদ যাজককে উত্তর দিলেন, সত্যই তিন দিন আমাদের হইতে স্ত্রীলোক পৃথক্‌ রহিয়াছে; আমি যখন বাহির হইয়া আসি, তখন যাত্রা সাধারণ হইলেও যুবকদিগের পাত্র সকল পবিত্র ছিল; অতএব অদ্য তাহাদের পাত্র সকল আরও কত না পবিত্র।
6. তখন যাজক তাঁহাকে পবিত্র রুটী দিলেন; কেননা সেই স্থানে অন্য রুটী ছিল না, কেবল উহা তুলিয়া লইবার দিনে তপ্ত রুটী রাখিবার জন্য যে দর্শন-রুটী সদাপ্রভুর সম্মুখ হইতে স্থানান্তরীকৃত হইয়াছিল, তাহাই মাত্র ছিল।
7. সেই দিন শৌলের দাসগণের মধ্যে ইদোমীয় দোয়েগ নামে এক জন সদাপ্রভুর সাক্ষাতে নিবদ্ধ হইয়া সেই স্থানে ছিল, সে শৌলের প্রধান পশুপালক।
8. পরে দায়ূদ অহীমেলককে কহিলেন, এই স্থানে আপনার কাছে কি বড়শা বা খড়্‌গ নাই? কেননা রাজকার্য্যের তাড়াতাড়িতে আমি আপন খড়্‌গ বা অস্ত্র সঙ্গে আনি নাই।
9. যাজক কহিলেন, এলা তলভূমিতে আপনি যাহাকে বধ করিয়াছিলেন, সেই পলেষ্টীয় গলিয়াতের খড়্‌গ আছে; দেখুন, ইহা এফোদের পশ্চাদ্দিকে এখানে কাপড়ে জড়ান আছে; ইহা যদি লইতে চাহেন, লউন, কেননা ইহা ছাড়া আর কোন খড়্‌গ এখানে নাই। দায়ূদ কহিলেন, সেখানির তুল্য আর নাই; সেখানি আমাকে দিউন।
10. পরে দায়ূদ উঠিয়া সেই দিন শৌলের ভয়ে পলাইয়া গাতের রাজা আখীশের কাছে গেলেন।
11. তাহাতে আখীশের দাসগণ তাঁহাকে কহিল, ব্যক্তি কি দেশের রাজা দায়ূদ নয়? লোকেরা কি নাচিতে নাচিতে উহার বিষয় পরস্পর গাহিয়া বলে নাই, “শৌল বধিলেন সহস্র সহস্র, আর দায়ূদ বধিলেন অযুত অযুত”?
12. আর দায়ূদ সে কথা মনে রাখিলেন, এবং গাতের রাজা আখীশ হইতে অতিশয় ভীত হইলেন।
13. আর তিনি উহাদের সাক্ষাতে বুদ্ধির বৈকল্য দেখাইলেন; তিনি তাহাদের কাছে ক্ষিপ্তের ন্যায় ব্যবহার করিতেন, দ্বারের কবাট আঁচড়াইতেন, আপন দাড়ির উপরে লালা ক্ষরিতে দিতেন।
14. তখন আখীশ আপন দাসগণকে কহিলেন, দেখ, তোমরা দেখিতে পাইতেছ, ক্ষিপ্ত; তবে ইহাকে আমার নিকটে কেন আনিলে?
15. আমার কি ক্ষিপ্ত লোকের অভাব আছে যে, তোমরা ইহাকে আমার কাছে ক্ষিপ্তের ব্যবহার করিতে আনিয়াছ? কি আমার গৃহে আসিবে?
Total 31 Chapters, Current Chapter 21 of Total Chapters 31
×

Alert

×

bengali Letters Keypad References