1. আমি নিদ্রিতা ছিলাম, কিন্তু আমার হৃদয় জাগিয়াছিল; আমার প্রিয়ের স্বর, তিনি দ্বারে আঘাত করিয়া কহিলেন,
|
2. ‘আমায় দুয়ার খুলিয়া দেও; অয়ি মম ভগিনি! মম প্রিয়ে! মম কপোতি! মম শুদ্ধমতি! কারণ আমার মস্তক ভিজিয়া গিয়াছে শিশিরে, আমার কেশপাশ রাত্রির জলবিন্দুতে।’
|
3. ‘আমি আমার অঙ্গরক্ষিণী খুলিয়াছি, কেমন করিয়া পরিধান করিব? আমি পা দুখানি ধুইয়াছি, কেমন করিয়া মলিন করিব?’
|
5. আমি আপন প্রিয়ের জন্য দুয়ার খুলিতে উঠিলাম; তখন গন্ধরসে আমার হস্ত ভিজিল, আমার অঙ্গুলি দ্রব গন্ধরসে ভিজিল, অর্গলের হাতলের উপরে।
|
6. আমি আপন প্রিয়ের জন্য দুয়ার খুলিয়া দিলাম; কিন্তু আমার প্রিয় ফিরিয়া গিয়াছিলেন, চলিয়া গিয়াছিলেন; তিনি কথা কহিলে আমার প্রাণ উড়িয়া গিয়াছিল; আমি তাঁহাকে অন্বেষণ করিলাম, কিন্তু পাইলাম না, আমি তাঁহাকে ডাকিলাম, তিনি আমাকে উত্তর দিলেন না।
|
7. নগরে ভ্রমণকারী প্রহরীরা আমাকে দেখিতে পাইল, তাহারা আমাকে প্রহার করিল, ক্ষতবিক্ষত করিল, প্রাচীরের প্রহরিবর্গ আমার বস্ত্র কাড়িয়া লইল।
|
8. অয়ি যিরূশালেমের কন্যাগণ! আমি তোমাদিগকে দিব্য দিয়া বলিতেছি, তোমরা যদি আমার প্রিয়তমের দেখা পাও, তবে তাঁহাকে বলিও যে, আমি প্রেমপীড়িতা।
|
9. অন্য প্রিয় হইতে তোমার প্রিয় কিসে বিশিষ্ট? অয়ি নারীকুল-সুন্দরি! অন্য প্রিয় হইতে তোমার প্রিয় কিসে বিশিষ্ট যে, তুমি আমাদিগকে এরূপ দিব্য দিতেছ?
|
12. তাঁহার নয়নযুগল জলপ্রণালীর তীরস্থ কপোতযুগলের ন্যায়, যাহারা দুগ্ধে স্নাত ও পয়ঃপূর্ণ স্থানে উপবিষ্ট।
|
13. তাঁহার গণ্ডদেশ সুগন্ধি ওষধির চৌকা ও আমোদকারী লতার স্তম্ভস্বরূপ; তাঁহার ওষ্ঠাধর শোশন পুষ্পের ন্যায়, দ্রব গন্ধরস ক্ষরণকারী।
|
14. তাঁহার হস্ত বৈদূর্য্যমণিতে খচিত সুবর্ণের অঙ্গুরীয়স্বরূপ; তাঁহার কায় নীলকান্তমণিতে খচিত গজদন্তময় শিল্পকর্ম্মের ন্যায়।
|
15. তাঁহার ঊরুদ্বয় সুবর্ণ চুঙ্গিতে বসান শ্বেতপ্রস্তরময় স্তম্ভদ্বয়ের ন্যায়; তাঁহার দৃশ্য লিবানোনের সদৃশ, এরস বৃক্ষের ন্যায় উৎকৃষ্ট।
|
16. তাঁহার মুখ অতীব মধুর; হাঁ, তিনি সর্ব্বতোভাবে মনোহর। অয়ি যিরূশালেমের কন্যাগণ! এই আমার প্রিয়, এই আমার সখা।
|