1. পরে সদাপ্রভু আমাকে কহিলেন, তুমি একখানা বৃহৎ ফলক লও, এবং প্রচলিত অক্ষরে তাহাতে লিখ, ‘মহের-শালল-হাশ-বসের উদ্দেশে’;
|
2. ইহার প্রমাণের জন্য আমি ঊরিয় যাজক ও যিবেরিখিয়ের পুত্র সখরিয়, এই দুই বিশ্বস্ত পুরুষকে আপনার সাক্ষী করিব।
|
3. পরে আমি আপন স্ত্রী ভাববাদিনীতে গমন করিলে তিনি গর্ভবতী হইয়া পুত্র প্রসব করিলেন। তখন সদাপ্রভু আমাকে কহিলেন, উহার নাম মহের-শালল-হাশ-বস শীঘ্র-লুট-ত্বরা-অপহরণ রাখ;
|
4. কেননা বালকটীর বাপ, মা, এই কথা উচ্চারণ করিবার জ্ঞান না হইতে হইতে দম্মেশকের ধন ও শমরিয়ার লুট অশূর-রাজের অগ্রে অগ্রে বহন করা যাইবে।
|
7. এই কারণ দেখ, প্রভু ফরাৎ নদীর প্রবল ও প্রচুর জল, অর্থাৎ অশূর-রাজ ও তাহার সমস্ত প্রতাপকে, তাহাদের উপরে আনিবেন; সে ফাঁপিয়া সমস্ত খাল পূর্ণ করিবে, ও সমস্ত তীরভূমির উপর দিয়া যাইবে;
|
8. যে যিহূদার দেশ দিয়া বেগে বহিবে, উথলিয়া উঠিয়া বাড়িতে থাকিবে, কণ্ঠ পর্য্যন্ত উঠিবে; আর, হে ইম্মানূয়েল, তোমার দেশের প্রস্থ তাহার পক্ষ দুইটীর বিস্তার দ্বারা ব্যাপ্ত হইবে।
|
9. হে জাতিগণ, কোলাহল কর, কিন্তু তোমরা ভগ্ন হইবে; হে দূরদেশীয় সকল লোক, কর্ণপাত কর; খড়্গ বাঁধ, কিন্তু তোমরা ভগ্ন হইবে, খড়্গ বাঁধ, কিন্তু তোমরা ভগ্ন হইবে,
|
10. একসঙ্গে মন্ত্রণা কর, কিন্তু তাহা নিষ্ফল হইবে; কথা কহ, কিন্তু তাহা স্থির থাকিবে না, কেননা ‘ঈশ্বর আমাদের সহিত’।
|
11. কারণ সদাপ্রভু বলবান হস্ত অর্পণপূর্ব্বক আমাকে এই কথা কহিলেন, এবং আমাকে বলিয়া দিলেন যে, এই লোকদের পথে গমন করা আমার অকর্ত্তব্য;
|
12. তিনি বলিলেন, এই লোকেরা যে সমস্ত বিষয়কে চক্রান্ত বলে, তোমরা সে সমস্তকে চক্রান্ত বলিও না; এবং ইহাদের ভয়ে ভীত হইও না, ত্রাসযুক্ত হইও না।
|
13. বাহিনীগণের সদাপ্রভুকেই পবিত্র বলিয়া মান, তিনিই তোমাদের ভয়স্থান হউন, তিনিই তোমাদের ত্রাসভূমি হউন।
|
14. তাহা হইলে তিনি পবিত্র আশ্রয় হইবেন; কিন্তু ইস্রায়েলের উভয় কুলের জন্য তিনি বিঘ্নজনক প্রস্তর ও বাধাজনক পাষাণ হইবেন, যিরূশালেম-নিবাসীদের জন্য পাশ ও ফাঁদস্বরূপ হইবেন।
|
17. আমি সদাপ্রভুর আকাঙ্ক্ষা করিব, যিনি যাকোবের কুল হইতে আপন মুখ আচ্ছাদন করেন, এবং তাঁহার অপেক্ষায় থাকিব।
|
18. এই দেখ, আমি ও সেই সন্তানগণ, যাহাদিগকে সদাপ্রভু আমাকে দিয়াছেন, সিয়োন-পর্ব্বত-নিবাসী বাহিনীগণের সদাপ্রভু নিরূপণক্রমে আমরা ইস্রায়েলের মধ্যে চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণস্বরূপ।
|
19. আর যখন তাহারা তোমাদিগকে বলে, তোমরা ভূতড়িয়া ও গুণীদিগের নিকটে, যাহারা বিড় বিড় ও ফুসফুস করিয়া বকে, তাহাদের নিকটে অন্বেষণ কর, তখন তোমরা বলিবে, প্রজাগণ কি আপনাদের ঈশ্বরের কাছে অন্বেষণ করিবে না? তাহারা জীবিতদের জন্য কি মৃতদের কাছে অন্বেষণ করিবে?
|
20. ব্যবস্থার কাছে ও সাক্ষ্যের কাছে অন্বেষণ কর; ইহার অনুরূপ কথা যদি তাহারা না বলে, তবে তাহাদের পক্ষে অরুণোদয় নাই।
|
21. আর তাহারা ক্লিষ্ট ও ক্ষুধিত হইয়া দেশের মধ্য দিয়া গমন করিবে, এবং ক্ষুধিত হইলে রাগ করিয়া আপনাদের রাজাকে ও আপনাদের ঈশ্বরকে শাপ দিবে, এবং ঊর্দ্ধদিকে মুখ তুলিবে;
|
22. আর তাহারা ভূমির দিকে চাহিবে, এবং দেখ, সঙ্কট ও অন্ধকার, যাতনার তিমির; আর তাহারা নিবিড় অন্ধকারে দূরীকৃত হইবে।
|