1. এই জন্য যাহা যাহা শুনিয়াছি, তাহাতে অধিক আগ্রহের সহিত মনোযোগ করা আমাদের উচিত, পাছে কোন ক্রমে ভাসিয়া চলিয়া যাই।
2. কেননা দূতগণ দ্বারা কথিত বাক্য যদি দৃঢ় হইল, এবং লোকে কোন প্রকারে তাহা লঙ্ঘন করিলে কিম্বা তাহার অবাধ্য হইলে যদি ন্যায়সিদ্ধ প্রতিফল দত্ত হইল,
3. তবে এমন মহৎ এই পরিত্রাণ অবহেলা করিলে আমরা কি প্রকারে রক্ষা পাইব? ইহা ত প্রথমে প্রভুর দ্বারা কথিত, ও যাহারা শুনিয়াছিল, তাহাদের দ্বারা আমাদের নিকটে দৃঢ়ীকৃত হইল;
4. ঈশ্বরও সাক্ষ্য প্রদান করিতেছেন, নানা চিহ্ন, অদ্ভুত লক্ষণ ও বহুরূপ পরাক্রম-কার্য্য এবং পবিত্র আত্মার বর বিতরণ দ্বারা আপন ইচ্ছানুসারেই করিতেছেন।
5. বাস্তবিক যে ভাবী জগতের কথা আমরা কহিতেছি, তাহা তিনি দূতগণের অধীন করেন নাই।
6. বরং কোন স্থানে কেহ সাক্ষ্য দিয়া বলিয়াছেন, “মনুষ্য কি যে তুমি তাহাকে স্মরণ কর? মনুষ্যসন্তানই বা কি যে তাহার তত্ত্বাবধান কর?
7. তুমি দূতগণ অপেক্ষা তাহাকে অল্পই ন্যূন করিয়াছ, প্রতাপ ও সমাদর-মুকুটে বিভূষিত করিয়াছ; এবং তোমার হস্তকৃত বস্তু সকলের উপরে তাহাকে স্থাপন করিয়াছ;
8. সকলই তাহার পদতলে তাহার অধীন করিয়াছ।” বস্তুতঃ সকলই তাহার অধীন করাতে তিনি তাহার অনধীন কিছুই অবশিষ্ট রাখেন নাই; কিন্তু এখন এ পর্য্যন্ত, আমরা সকলই তাহার অধীনীকৃত দেখিতেছি না।
9. কিন্তু দূতগণ অপেক্ষা যিনি অল্পই ন্যূনীকৃত হইলেন, সেই ব্যক্তিকে অর্থাৎ যীশুকে দেখিতেছি, তিনি মৃত্যুভোগ হেতু প্রতাপ ও সমাদরমুকুটে বিভূষিত হইয়াছেন, যেন ঈশ্বরের অনুগ্রহে সকলের নিমিত্ত মৃত্যুর আস্বাদ গ্রহণ করেন।
10. কেননা যাঁহার কারণ সকলই ও যাঁহার দ্বারা সকলই হইয়াছে, ইহা তাঁহার উপযুক্ত ছিল যে, তিনি অনেক পুত্রকে প্রতাপে আনয়ন সম্বন্ধে তাহাদের পরিত্রাণের আদিকর্ত্তাকে দুঃখভোগ দ্বারা সিদ্ধ করেন।
11. কারণ যিনি পবিত্র করেন ও যাহারা পবিত্রীকৃত হয়, সকলে এক হইতে উৎপন্ন; এই হেতু তিনি তাহাদিগকে ভ্রাতা বলিতে লজ্জিত নহেন।
12. তিনি বলেন, “আমি আমার ভ্রাতৃগণের কাছে তোমার নাম প্রচার করিব, মণ্ডলীর মধ্যে তোমার প্রশংসা গান করিব।”
13. আবার “আমি তাঁহারই শরণাপন্ন থাকিব।” আবার, “দেখ, আমি ও সেই সন্তানগণ, যাহাদিগকে ঈশ্বর আমায় দিয়াছেন।”
14. ভাল, সেই সন্তানগণ যখন রক্তমাংসের ভাগী, তখন তিনি আপনিও তদ্রূপ তাহার ভাগী হইলেন, যেন মৃত্যু দ্বারা মৃত্যুর কর্ত্তৃত্ববিশিষ্ট ব্যক্তিকে অর্থাৎ দিয়াবলকে শক্তিহীন করেন,
15. এবং যাহারা মৃত্যুর ভয়ে যাবজ্জীবন দাসত্বের অধীন ছিল, তাহাদিগকে উদ্ধার করেন।
16. কারণ তিনি ত দূতগণের সাহায্য করেন না, কিন্তু অব্রাহামের বংশের সাহায্য করিতেছেন।
17. অতএব সর্ব্ববিষয়ে আপন ভ্রাতৃগণের তুল্য হওয়া তাঁহার উচিত ছিল, যেন তিনি প্রজাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিবার নিমিত্ত ঈশ্বরের উদ্দেশ্য কার্য্যে দয়ালু ও বিশ্বস্ত মহাযাজক হন।
18. কেননা তিনি আপনি পরীক্ষিত হইয়া দুঃখভোগ করিয়াছেন বলিয়া পরীক্ষিতগণের সাহায্য করিতে পারেন।