1. {খ্রীষ্টীয় নূতন নিয়মের মহত্ত্ব। নূতন নিয়ম পুরাতন থেকে উৎকৃষ্ট। } [PS]আমাদের এই সব কথার বক্তব্য এই, আমাদের এমন এক মহাযাজক আছেন, যিনি স্বর্গে, মহিমা সিংহাসনের ডানদিকে বসে আছেন।
2. তিনি পবিত্র স্থানের এবং যে মিলাপ তাঁবু মানুষের মাধ্যমে না, কিন্তু প্রভুর মাধ্যমে স্থাপিত হয়েছে, সেই প্রকৃত তাঁবুর দাস।
3. ফলে প্রত্যেক মহাযাজক উপহার ও বলি উৎসর্গ করতে নিযুক্ত হন, অতএব এরও অবশ্য কিছু উৎসর্গ আছে।
4. এখন খ্রীষ্ট যদি পৃথিবীতে থাকতেন, তবে একবারে যাজকই হতেন না; কারণ যারা আইন অনুসারে উপহার উৎসর্গ করে, এমন লোক আছে।
5. তারা স্বর্গীয় বিষয়ের নকল ও ছায়া নিয়ে আরাধনা করে, যেমন মোশি যখন তাঁবুর নির্মাণ করতে সতর্ক ছিলেন, তখন এই আদেশ পেয়েছিলেন, [ঈশ্বর] বলেন, “দেখ, পর্বতে তোমাকে যে আদর্শ দেখান গেল, সেইভাবে সবই করো।”
6. কিন্তু এখন খ্রীষ্ট সেই পরিমাণে উৎকৃষ্টতর সেবকত্ব পেয়েছেন, যে পরিমাণে তিনি এমন এক নতুন নিয়মের মধ্যস্থ হয়েছেন, যা শ্রেষ্ঠ প্রতিজ্ঞার উপরে স্থাপিত হয়েছে।
7. কারণ ঐ প্রথম নিয়ম যদি নির্দোষ হত, তবে দ্বিতীয় এক নিয়মের জন্য জায়গার চেষ্টা করা যেত না।
8. যখন ঈশ্বর দোষ খুঁজে পেয়ে লোকদেরকে বলেন, “প্রভু বলেন, দেখ, এমন দিন আসছে, যখন আমি ইস্রায়েলীয়দের সাথে ও যিহূদাদের সাথে এক নতুন নিয়ম তৈরী করব,
9. সেই নিয়মানুসারে না, যা আমি সেই দিন তাদের পিতৃপুরুষদের সাথে করেছিলাম, যে দিন মিশর দেশ থেকে তাদেরকে হাত ধরে বের করে এনেছিলাম; কারণ তারা আমার নিয়মে স্থির থাকল না, আর আমিও তাদের প্রতি অবহেলা করলাম, একথা প্রভু বলেন।
10. কিন্তু সেই দিনের র পর আমি ইস্রায়েলীয়দের সাথে এই নতুন নিয়ম তৈরী করব, একথা প্রভু বলেন; আমি তাদের মনে আমার নিয়ম দেব, আর আমি তাদের হৃদয়ে তা লিখিব এবং আমি তাদের ঈশ্বর হব, ও তারা আমার প্রজা হবে।
11. আর তারা প্রত্যেকে নিজের নিজের প্রতিবেশীকে এবং প্রত্যেকে নিজের নিজের ভাইকে শিক্ষা দেবে না, বলবে না, ‘তুমি প্রভুকে জানো’; কারণ তারা ছোটো ও বড় সবাই আমাকে জানবে।
12. কারণ আমি তাদের সব অধার্মিকতার জন্য দয়া দেখাবো এবং আমি তাদের পাপ সব আর কখনও মনে করব না।”
13. নতুন নিয়ম বলাতে তিনি প্রথম চুক্তিকে পুরাতন করেছেন; কিন্তু যা পুরাতন ও জীর্ণ হচ্ছে, তা বিলীন হয়ে যাবে। [PE]