2. তখন যাকোব তাঁদেরকে দেখে বললেন, “এ ঈশ্বরের সেনাদল, তাই সেই জায়গার নাম মহন * দুই শিবিরের সেনাদল য়িম রাখলেন।”
|
4. তিনি তাদেরকে এই আজ্ঞা করলেন, “তোমরা আমার প্রভু এষৌকে বলবে, আপনার দাস যাকোব আপনাকে জানালেন, আমি লাবনের কাছে বাস করছিলাম, এ পর্যন্ত থেকেছি।
|
5. আমার গরু, গাধা, ভেড়ার পাল ও দাস দাসী আছে, আর আমি প্রভুর অনুগ্রহ দৃষ্টি পাবার জন্য আপনাকে খবর পাঠালাম।”
|
6. পরে দূতেরা যাকোবের কাছে ফিরে এসে বলল, “আমরা আপনার ভাই এষৌর কাছে গিয়েছিলাম; আর তিনি চারশো লোক সঙ্গে নিয়ে আপনার সঙ্গে দেখা করতে আসছেন।”
|
7. তখন যাকোব খুব ভয় পেলেন ও চিন্তিত হলেন, আর যে সব লোক তাঁর সঙ্গে ছিল, তাদেরকে ও গরু ও ভেড়ার দল সমস্ত পাল ও উটদেরকে বিভক্ত করে দুটি দল করলেন,
|
9. তখন যাকোব বললেন, “হে আমার বাবা অব্রাহামের ঈশ্বর ও আমার বাবা ইসহাকের ঈশ্বর, তুমি সদাপ্রভু নিজে আমাকে বলেছিলে, তোমার দেশে আত্মীয়দের কাছে ফিরে যাও, তাতে আমি তোমার মঙ্গল করব।
|
10. তুমি এই দাসের প্রতি যে সমস্ত চুক্তির বিশ্বস্ততা ও যে সমস্ত সত্যাচরণ করেছ, আমি তার কিছুরই যোগ্য নই; কারণ আমি আমার এই লাঠিটি নিয়ে এই যর্দ্দন পার হয়েছিলাম, এখন দুই দল হয়েছি।
|
11. অনুরোধ করি, আমার ভাইয়ের হাত থেকে, এষৌর হাত থেকে আমাকে রক্ষা কর, কারণ আমি তাকে ভয় করি, যদি সে এসে আমাকে, ছেলেদের সঙ্গে মাকে হত্যা করে।
|
12. তুমিই তো বলেছ, আমি অবশ্য তোমার মঙ্গল করব এবং সমুদ্রতীরে অবস্থিত যে বালি তার মতো তোমার বংশ বৃদ্ধি করব, যা গোনা যায় না।”
|
13. পরে যাকোব সেই জায়গায় রাত কাটালেন ও তার কাছে যা ছিল, তার কিছু নিয়ে তাঁর ভাই এষৌর জন্য এই উপহার প্রস্তুত করলেন;
|
16. পরে তিনি নিজের এক এক দাসের হাতে এক এক পাল সমর্পণ করে দাসদেরকে এই আদেশ দিলেন, “তোমরা আমার আগে পার হয়ে যাও এবং মাঝে মাঝে জায়গা রেখে প্রত্যেক পাল আলাদা কর।”
|
17. পরে তিনি প্রথম দাসকে এই আদেশ দিলেন, “আমার ভাই এষৌর সঙ্গে তোমার দেখা হলে তিনি যখন জিজ্ঞাসা করবেন, তুমি কার দাস? কোথায় যাচ্ছ? আর তোমার আগে অবস্থিত এই সব কার?”
|
18. তখন তুমি উত্তর করবে, “এই সব আপনার দাস যাকোবের; তিনি উপহার হিসাবে এই সব আমার প্রভু এষৌর জন্য পাঠালেন;” আর দেখুন, তিনিও আমাদের পিছনে আসছেন।
|
19. পরে তিনি দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রভৃতি পালের পিছনে চলা দাস সবাইকেও আদেশ দিয়ে বললেন, “এষৌর সঙ্গে দেখা হলে তোমরা এই এই ধরনের কথা বল।
|
20. আরো বল, দেখুন, আপনার দাস যাকোবও আমাদের পিছনে আসছেন।” কারণ তিনি বললেন, “আমি আগে উপহার পাঠিয়ে তাঁকে শান্ত করব, পরে তাঁর সঙ্গে দেখা করব, তাতে তিনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করলেও করতে পারেন।”
|
22. {যাকোব ঈশ্বরের সঙ্গে মল্ল যুদ্ধ করলেন} PS পরে তিনি রাতে উঠে নিজের দুই স্ত্রী, দুই দাসী ও এগারো জন ছেলেকে নিয়ে যব্বোক নদীর অগভীর অংশ দিয়ে পার হলেন
|
25. কিন্তু তাঁকে জয় করতে পারলেন না দেখে, তিনি যাকোবের ঊরুসন্ধিতে আঘাত করলেন। তাঁর সঙ্গে এরকম মল্লযুদ্ধ করাতে যাকোবের ঊরুসন্ধির হাড় সরে গেল।
|
26. পরে সেই পুরুষ বললেন, “আমাকে ছাড়, কারণ ভোর হল।” যাকোব বললেন, “আপনি আমাকে আশীর্বাদ না করলে আপনাকে ছাড়ব না।”
|
28. তিনি বললেন, “তুমি যাকোব নামে আর আখ্যাত হবে না, কিন্তু ইস্রা † ঈশ্বরের সঙ্গে লড়াই য়েল ঈশ্বরের সঙ্গে যুদ্ধকারী নামে আখ্যাত হবে; কারণ তুমি ঈশ্বরের ও মানুষদের সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হয়েছ।”
|
29. তখন যাকোব জিজ্ঞাসা করে বললেন, “অনুরোধ করি, আপনার নাম কি? বলুন।” তিনি বললেন, “কি জন্য আমার নাম জিজ্ঞাসা কর?” পরে সেখানে যাকোবকে আশীর্বাদ করলেন।
|
30. তখন যাকোব সেই জায়গার নাম পনূ ‡ ঈশ্বরের মুখ য়েল ঈশ্বরের মুখ রাখলেন; কারণ তিনি বললেন, “আমি ঈশ্বরকে সামনাসামনি হয়ে দেখলাম, তবুও আমার প্রাণ বাঁচল।”
|
32. এই কারণ ইস্রায়েল-সন্তানেরা আজও ঊরুসন্ধির হাড়ের উপরের ঊরুসন্ধির শিরা খায় না, কারণ তিনি যাকোবের ঊরুসন্ধির হাড় অর্থাৎ ঊরুসন্ধির শিরা স্পর্শ করেছিলেন। PE
|