1. {খ্রীষ্ট যীশুর উত্তম যোদ্ধার কর্তব্য। } [PS]অতএব, হে আমার পুত্র, তুমি খ্রীষ্ট যীশুর অনুগ্রহে বলবান হও।
2. আর অনেক সাক্ষীর মুখে যে সমস্ত বাক্য আমার কাছে শুনেছ, সে সব এমন বিশ্বস্ত লোকদের কাছে সমর্পণ কর, যারা অন্য অন্য লোককেও শিক্ষা দিতে সক্ষম হবে।
3. তুমি খ্রীষ্ট যীশুর উত্তম যোদ্ধার মত আমার সঙ্গে কষ্ট সহ্য কর।
4. কেউ যুদ্ধ করার দিনের নিজেকে সাংসারিক জীবনে জড়াতে দেয় না, যেন তাকে যে ব্যক্তি যোদ্ধা করে নিযুক্ত করেছে, তাঁকে খুশি করতে পারে।
5. আবার কোন ব্যক্তি যদি কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এবং সে যদি ব্যবস্থা না মানে, তবে সে মুকুটে সম্মানিত হয় না।
6. যে চাষী পরিশ্রম করে, সেই প্রথমে ফলের ভাগ পায়, এটা তার অধিকার।
7. আমি যা বলি, সেই বিষয়ে চিন্তা কর, কারণ প্রভু সব বিষয়ে তোমাকে বুদ্ধি দেবেন।
8. যীশু খ্রীষ্টকে স্মরণ কর, আমার সুসমাচার অনুযায়ী তিনি মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়েছেন, দায়ূদ বংশে যার জন্ম,
9. সেই সুসমাচারের জন্য আমি অপরাধীদের মতো শিকলে বন্দী হয়ে কষ্ট সহ্য করছি, কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য শিকলে বন্দী হয়নি।
10. এই জন্য আমি মনোনীতদের জন্য সব কিছু সহ্য করি, যেন তারাও খ্রীষ্ট যীশুতে যে পাপের ক্ষমা তা চিরকালের জন্য মহিমার সঙ্গে লাভ করে।
11. এই কথা বিশ্বস্ত, কারণ আমরা যদি তাঁর সঙ্গে মরে থাকি, তাঁর সঙ্গে জীবিতও হব,
12. যদি সহ্য করি, তাঁর সঙ্গে রাজত্বও করব, যদি তাঁকে অস্বীকার করি, তিনিও আমাদেরকে অস্বীকার করবেন,
13. আমরা যদি অবিশ্বস্ত হই, তিনি বিশ্বস্ত থাকেন, কারণ তিনি নিজেকে অস্বীকার করতে পারেন না।
14. এই সমস্ত কথা তাদের স্মরণ করিয়ে দাও, প্রভুর সামনে তাদের সাবধান কর, যেন লোকেরা তর্ক বিতর্ক না করে, কারণ তাতে কোন লাভ নেই, বরং যারা শোনে তাদের ক্ষতি হয়।
15. তুমি নিজেকে ঈশ্বরের কাছে পরীক্ষাসিদ্ধ লোক হিসাবে দেখাতে যত্ন কর, এমন সেবক হও, যার লজ্জা পাওয়ার প্রয়োজন নেই, যে সত্যের বাক্য ভালোভাবে ব্যবহার করতে জানে।
16. কিন্তু মন্দ ও মূল্যহীন কথাবার্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখো, কারণ এরকম লোকেরা ঈশ্বর প্রতি অনেক বেশী ভক্তিহীন হয়ে পড়বে।
17. তাদের কথাবার্তা পচা ঘায়ের মতো, যা আরো দিনের দিনের ক্ষয় করবে। হুমিনায় ও ফিলীতও তাদের মধ্য আছে।
18. এরা সত্য থেকে দূরে সরে গেছে, এরা বলে, মৃতদের পুনরুত্থান হয়েছে এবং কারও কারও বিশ্বাসে ক্ষতি করছে।
19. তবুও ঈশ্বর যে দৃঢ় ভিত্তিমূল স্থাপন করেছেন তা স্থির আছে এবং তার উপরে এই কথা লেখা আছে, “প্রভু জানেন, কে কে তাঁর” এবং “যে কেউ প্রভুর নাম করে, সে অধার্মিকতা থেকে দূরে থাকুক।”
20. কোনো ধনীর বাড়িতে খালি সোনা ও রূপার পাত্র নয়, কাঠের ও মাটির পাত্রও থাকে, তার মধ্য কিছু মূল্যবান, আর কিছু সস্তা পাত্রও থাকে।
21. অতএব যদি কেউ নিজেকে এই সব থেকে শুচি করে, তবে সে মূল্যবান পাত্র, পবিত্র, মালিকের কাজের উপযোগী ও সমস্ত ভাল কাজের জন্য প্রস্তুত হবে।
22. কিন্তু তুমি যৌবনকালের মন্দ কামনা বাসনা থেকে পালাও এবং যারা শুদ্ধ হৃদয়ে প্রভুকে ডাকে, তাদের সঙ্গে ধার্ম্মিকতা, বিশ্বাস, প্রেম ও শান্তির অনুসরণ কর।
23. কিন্তু যুক্তিহীন ও বাজে তর্ক বিতর্ক থেকে দূরে থাক, কারণ তুমি জান, এসব ঝগড়ার সৃষ্টি করে।
24. আর ঝগড়া করা প্রভুর দাসের উপযুক্ত নয়, কিন্তু সবার প্রতি কোমল, শিক্ষাদানে নিপুন, সহনশীল হওয়া
25. এবং নম্র ভাবে যারা তাঁর বিরুদ্ধে যায় তাদের শাসন করা তার উচিত, হয়তো ঈশ্বর তাদের মন পরিবর্তন করবেন,
26. যেন তারা সত্যের জ্ঞান পায় এবং তাঁর ইচ্ছা পালনের জন্য প্রভুর দাসের মাধ্যমে শয়তানের ফাঁদ থেকে জীবনের জন্য পবিত্র হয় এবং চেতনা পেয়ে বাঁচে। [PE]