1. আমি সর্ব্বসময়ে সদাপ্রভুর ধন্যবাদ করিব; তাঁহার প্রশংসা নিরন্তর আমার মুখে থাকিবে।
2. আমার প্রাণ সদাপ্রভুরই শ্লাঘা করিবে; তাহা শুনিয়া নম্রগণ আনন্দিত হইবে।
3. আমার সহিত সদাপ্রভুর মহিমা কীর্ত্তন কর; আইস, আমরা একসঙ্গে তাঁহার নামের প্রতিষ্ঠা করি।
4. আমি সদাপ্রভুর অন্বেষণ করিলাম, তিনি আমাকে উত্তর দিলেন, আমার সকল আশঙ্কা হইতে উদ্ধার করিলেন।
5. উহারা তাঁহার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া দীপ্যমান হইল; তাহাদের মুখ কখনও বিবর্ণ হইবে না।
6. এই দুঃখী ডাকিল, সদাপ্রভু শ্রবণ করিলেন, ইহাকে সকল সঙ্কট হইতে নিস্তার করিলেন।
7. সদাপ্রভুর দূত, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, তাহাদের চারিদিকে শিবির স্থাপন করেন, আর তাহাদিগকে উদ্ধার করেন।
8. আস্বাদন করিয়া দেখ, সদাপ্রভু মঙ্গলময়; ধন্য সেই ব্যক্তি, যে তাঁহার শরণাপন্ন।
9. হে তাঁহার পবিত্রগণ, সদাপ্রভুকে ভয় কর, কেননা তাঁহার ভয়কারীদের অভাব হয় না।
10. যুবসিংহদের অনাটন ও ক্ষুধায় ক্লেশ হয়, কিন্তু যাহারা সদাপ্রভুর অন্বেষণ করে, তাহাদের কোন মঙ্গলের অভাব হয় না।
11. আইস, বৎসগণ, আমার বাক্য শুন, আমি তোমাদিগকে সদাপ্রভুর ভয় শিক্ষা দিই।
12. কোন্ ব্যক্তি জীবনে প্রীত হয়, মঙ্গল দেখিবার জন্য দীর্ঘায়ু ভালবাসে?
13. তুমি হিংসা হইতে তোমার জিহ্বাকে, ছলনা-বাক্য হইতে তোমার ওষ্ঠকে সাবধানে রাখ।
14. মন্দ হইতে দূরে যাও, যাহা ভাল তাহাই কর; শান্তির অন্বেষণ ও অনুধাবন কর।
15. ধার্ম্মিকগণের প্রতি সদাপ্রভুর দৃষ্টি আছে, তাহাদের আর্ত্তনাদের প্রতি তাঁহার কর্ণ আছে।
16. সদাপ্রভুর মুখ দুরাচারদের প্রতিকূল; তিনি ভূতল হইতে তাহাদের স্মরণ উচ্ছেদ করিবেন।
17. [ধার্ম্মিকেরা] ক্রন্দন করিল, সদাপ্রভু শুনিলেন, তাহাদের সকল সঙ্কট হইতে তাহাদিগকে উদ্ধার করিলেন।
18. সদাপ্রভু ভগ্নচিত্তদের নিকটবর্ত্তী, তিনি চূর্ণমনাদের পরিত্রাণ করেন।
19. ধার্ম্মিকের বিপদ অনেক, কিন্তু সেই সকল হইতে সদাপ্রভু তাহাকে উদ্ধার করেন।
20. তিনি তাহার অস্থি সকল রক্ষা করেন; তাহার মধ্যে একখানিও ভগ্ন হয় না।
21. দুষ্টতা দুর্জ্জনকে সংহার করিবে, ধার্ম্মিকের বিদ্বেষিগণ দোষীকৃত হইবে।
22. সদাপ্রভু আপন দাসদের প্রাণ মুক্ত করেন; তাঁহার শরণাগত কেহই দোষীকৃত হইবে না।