1. আমরা কি পুনর্ব্বার আপনাদের প্রশংসা করিতে আরম্ভ করিতেছি? অথবা তোমাদের প্রতি কিম্বা তোমাদের হইতে সুখ্যাতি-পত্রে কি অন্য কাহারও কাহারও ন্যায় আমাদেরও প্রয়োজন আছে?
2. তোমরাই আমাদের পত্র, আমাদের হৃদয়ে লিখিত পত্র, যাহা সকল মনুষ্য জানে ও পাঠ করে;
3. ফলতঃ তোমরা খ্রীষ্টের পত্র, আমাদের পরিচর্য্যায় সাধিত পত্র বলিয়া প্রকাশ পাইতেছ; তাহা কালী দিয়া নয়, কিন্তু জীবন্ত ঈশ্বরের আত্মা দিয়া, প্রস্তর-ফলকে নয়, কিন্তু মাংসময় হৃদয়ফলকে লিখিত হইয়াছে।
4. আর খ্রীষ্ট দ্বারা ঈশ্বরের প্রতি আমাদের এইরূপ দৃঢ় বিশ্বাস হইয়াছে।
5. আমরা যে আপনারাই কিছুর মীমাংসা করিতে নিজ গুণে উপযুক্ত তাহা নয়; কিন্তু আমাদের উপযোগিতা ঈশ্বর হইতে উৎপন্ন;
6. তিনিই আমাদিগকে নূতন নিয়মের পরিচারক, অক্ষরের নয়, কিন্তু আত্মার পরিচারক হইবার উপযুক্তও করিয়াছেন; কারণ অক্ষর বধ করে, কিন্তু আত্মা জীবনদায়ক।
7. কিন্তু মৃত্যুর যে পরিচর্য্যা-পদ প্রস্তরে লিখিত ও ক্ষোদিত, তাহা যদি এমন তেজযুক্ত হইয়া আসিল যে, ইস্রায়েল-সন্তানগণ মোশির মুখের তেজ প্রযুক্ত তাঁহার মুখের দিকে একদৃষ্টে চাহিতে পারিল না, —
8. সেই তেজ ত লোপ পাইতেছিল—তবে কেন আত্মার পরিচর্য্যা-পদ বরং আরও তেজযুক্ত হইবে না?
9. কেননা দণ্ডাজ্ঞার পরিচর্য্যা-পদ যদি তেজস্বরূপ হইল, তবে ধার্ম্মিকতার পরিচর্য্যা-পদ তেজে আরও অধিক উপচিয়া পড়ে।
10. কারণ যাহা তেজযুক্ত করা হইয়াছিল, তাহা এ বিষয়ে সেই অতিরিক্ত তেজ প্রযুক্ত তেজযুক্ত হয় নাই।
11. কেননা যাহা লোপ পাইতেছে, তাহা যদি তেজযুক্ত হইল, তবে যাহা স্থায়ী, তাহা কত অধিক তেজযুক্ত।
12. অতএব, আমাদের এই প্রকার প্রত্যাশা থাকাতে আমরা অতি স্পষ্ট কথা ব্যবহার করি;
13. আর মোশির মত করি না; তিনি ত আপন মুখে আবরণ দিতেন, যেন ইস্রায়েল-সন্তানগণ একদৃষ্টে চাহিয়া যাহা লোপ পাইতেছিল, তাহার পরিণাম না দেখে।
14. কিন্তু তাহাদের মন কঠিনীভূত হইয়াছিল। কেননা পুরাতন নিয়মের পাঠে সেই আবরণ অদ্য পর্য্যন্ত রহিয়াছে, খোলা যায় না, কেননা তাহা খ্রীষ্টেই লোপ পায়;
15. কিন্তু অদ্য পর্য্যন্ত যে কোন সময়ে মোশি পাঠ করা হয়, তখন তাহাদের হৃদয়ের উপরে আবরণ থাকে।
16. কিন্তু হৃদয় যখন প্রভুর প্রতি ফিরে, তখন আবরণ উঠাইয়া ফেলা হয়।
17. আর প্রভুই সেই আত্মা; এবং যেখানে প্রভুর আত্মা, সেইখানে স্বাধীনতা।
18. কিন্তু আমরা সকলে অনাবৃত মুখে প্রভুর তেজ দর্পণের ন্যায় প্রতিফলিত করিতে করিতে তেজ হইতে তেজ পর্য্যন্ত যেমন প্রভু হইতে, আত্মা হইতে হইয়া থাকে, তেমনি সেই মূর্ত্তিতে স্বরূপান্তরীকৃত হইতেছি।