1. ঐ সকল ঘটনার পরে অহশ্বেরশ রাজা অগাগীয় হম্মদাথার পুত্র হামনকে উন্নত করিলেন, উচ্চপদান্বিত করিলেন, এবং তাহার সঙ্গী সমস্ত অধ্যক্ষ অপেক্ষা তাহাকে শ্রেষ্ঠ আসন প্রদান করিলেন।
|
2. তাহাতে রাজার যে দাসেরা রাজদ্বারে থাকিত, তাহারা সকলে হামনের কাছে নত হইয়া প্রণিপাত করিতে লাগিল, কারণ রাজা তাহার সম্বন্ধে সেইরূপ আজ্ঞা করিয়াছিলেন; কিন্তু মর্দখয় নতও হইতেন না, প্রণিপাতও করিতেন না।
|
4. এইরূপে তাহারা প্রতিদিন তাঁহাকে বলিত, তথাপি তিনি তাহাদের কথা শুনিতেন না। তাহাতে মর্দখয়ের কথা স্থির থাকে কি না, তাহা জানিবার ইচ্ছাতে তাহারা হামনকে তাহা জ্ঞাত করিল; কেননা মর্দখয় যে যিহূদী, ইহা তিনি তাহাদিগকে বলিয়াছিলেন।
|
6. কিন্তু সে কেবল মর্দখয়ের উপরে হস্তক্ষেপ করা লঘু বিষয় মনে করিল, বরং মর্দখয়ের জাতি অবগত হওয়াতে সে অহশ্বেরশ রাজার সমস্ত রাজ্যে সমস্ত যিহূদীকে মর্দখয়ের জাতি বলিয়া বিনষ্ট করিতে চেষ্টা করিল।
|
7. আর সেই বিষয়ে অহশ্বেরশ রাজার দ্বাদশ বৎসরের প্রথম মাসে অর্থাৎ নীষণ মাসে হামনের সাক্ষাতে ক্রমাগত প্রত্যেক দিনে ও প্রত্যেক মাসে অদর নামক দ্বাদশ মাস পর্য্যন্ত পূর অর্থাৎ গুলিবাঁট করা হইল।
|
8. পরে হানন অহশ্বেরশ রাজাকে কহিল, আপনার রাজ্যের সমস্ত প্রদেশস্থ জাতিগণের মধ্যে বিকীর্ণ অথচ পৃথক্কৃত এক জাতি আছে; অন্য সকল জাতির ব্যবস্থা হইতে তাহাদের ব্যবস্থা ভিন্ন, এবং তাহারা মহারাজের ব্যবস্থা পালন করে না; অতএব তাহাদিগকে থাকিতে দেওয়া মহারাজের অনুপযুক্ত।
|
9. যদি মহারাজের অভিমত হয়, তবে তাহাদিগকে বিনষ্ট করিতে লেখা যাউক; তাহাতে আমি রাজ-ভাণ্ডারে রাখিবার জন্য কার্য্যকারী লোকদের হস্তে দশ সহস্র তালন্ত রৌপ্য দিব।
|
11. আর রাজা হামনকে কহিলেন, সেই রৌপ্য ও সেই জাতি তোমাকে দত্ত হইল, তুমি তাহাদের প্রতি যাহা ভাল বুঝ, তাহাই কর।
|
12. পরে প্রথম মাসের ত্রয়োদশ দিনে রাজ-লেখকেরা আহূত হইল; সেই দিন হামনের সমস্ত আজ্ঞানুসারে রাজার নিযুক্ত ক্ষিতিপাল সকলের ও প্রত্যেক প্রদেশের অধ্যক্ষগণের, এবং প্রত্যেক জাতির প্রধানবর্গের কাছে, প্রত্যেক প্রদেশের অক্ষর ও প্রত্যেক জাতির ভাষানুসারে পত্র লিখিত হইল, তাহা অহশ্বেরশ রাজার নামে লিখিত ও রাজার অঙ্গুরীয়ে মুদ্রাঙ্কিত হইল।
|
13. আর এই মর্ম্মের পত্র ধাবকগণ দ্বারা রাজার অধীন সমস্ত প্রদেশে প্রেরিত হইল যে, এক দিনে অর্থাৎ অদর নামক দ্বাদশ মাসের ত্রয়োদশ দিনে যুবা ও বৃদ্ধ, শিশু ও স্ত্রী শুদ্ধ সমস্ত যিহূদী লোককে সংহার, বধ ও বিনাশ, এবং তাহাদের দ্রব্য লুট করিতে হইবে।
|
14. সেই আজ্ঞা যেন প্রত্যেক প্রদেশে প্রদত্ত হয়, এই জন্য সেই লিপির এক অনুলিপি সকল জাতির নিকটে প্রচারিত হইল, যাহাতে সেই দিনের জন্য সকলে প্রস্তুত হয়।
|
15. ধাবকগণ রাজাজ্ঞা পাইয়া সত্বর বাহিরে গেল; এবং সেই আজ্ঞা শূশন রাজধানীতে প্রচারিত হইল; পরে রাজা ও হামন পান করিতে বসিলেন, কিন্তু শূশন নগরের সকল লোক উদ্বিগ্ন হইল।
|